Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ব্রাজিল কিভাবে ডিজিটাল রূপান্তরের বিশ্ব নেতা হয়ে উঠেছে

মো. সাইফুল আলম তালুকদার
৬ জুলাই ২০২৪ ১৬:২২ | আপডেট: ৬ জুলাই ২০২৪ ২০:০৮

ব্রাজিল ডিজিটাল রূপান্তরে বিশ্বে শীর্ষস্থানীয় দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। ফুটবল, সাম্বা, চিনি, কফি এবং এজেন্ট ব্যাংকের জন্য বিখ্যাত ব্রাজিল। কিন্তু এখন আপনি এই তালিকায় ব্রাজিলের ডিজিটাল রূপান্তরকেও রাখতে পারেন।‌

সাড়ে ২১ কোটি জনসংখ্যা অধ্যুষিত দেশটি তাদের গ্রাহকদের মধ্যে ডিজিটাল সংযোগ বাস্তবায়নে বিশ্বের অগ্রগণ্য দেশ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। দেশটি বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্রুতগতিতে ডিজিটাল প্রযুক্তি গ্রহণ করেছে এবং তা জীবনের বিভিন্ন দিককে পরিবর্তন করছে।

বিজ্ঞাপন

ব্রাজিল সরকার ডিজিটাল উদ্যোগ ও নীতিমালা বাস্তবায়নে গুরুত্ব দিচ্ছে, যা তাদের অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী ও আধুনিক করে তুলছে। তাৎক্ষণিক পেমেন্ট ব্যবস্থা, ডিজিটাল ব্যাংকিং, ই-কমার্স এবং অনলাইন শিক্ষা ক্ষেত্রে তারা উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করেছে।

তুলনামূলক কম আয়ের জনসংখ্যা বেশি থাকা সত্ত্বেও ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারে ব্রাজিল অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের পথে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে, যা তাদের বিশ্বে ডিজিটাল রূপান্তরে পরিবর্তিত একটি শীর্ষস্থানীয় দেশ হিসেবে অন্যতম মডেল ভাবা হচ্ছে।

তাদের রূপান্তরের পথচলা কিভাবে কিভাবে সাধিত হলো, তার বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হলো:

তাৎক্ষণিক পেমেন্ট ব্যবস্থা: ২০২০ সালে ব্রাজিলের কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাৎক্ষণিক পেমেন্ট অ্যাপ ‘পিক্স’ চালু করে। এর ব্যাপক ব্যবহার ডিজিটাল উদ্ভাবনে দেশের সাফল্য যাত্রায় অসাধারণ মাত্রায় গতির সঞ্চার করেছে। সাধারণ জনগণ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি সংস্থাগুলো এখন পেমেন্ট প্রদান এবং গ্রহণ করতে পারছে মাত্র কয়েক সেকেন্ডে। এমনকি বন্ধের দিনেও কার্যক্রম চালু থাকে পুরোদমে। মাত্র অল্প কয়েকটি মধ্যস্থতাকারীর সঙ্গে কাজ করার কারণে এর খরচও অনেক কম। বর্ধিত নিরাপত্তা এবং উন্নত গ্রাহকসেবা প্রদানে ও এটির সুনাম রয়েছে। পিক্স প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগে ব্রাজিলের ৩০ শতাংশ জনগণ ব্যাংকিং সেবার বাইরে ছিল, যা বর্তমানে ১৬ শতাংশে নেমে এসেছে। ৪৩ শতাংশ ব্রাজিলিয়ান বর্তমানে তাদের দৈনন্দিন লেনদেন সম্পন্ন করছে পিক্সের মাধ্যমে। খরচ কম হওয়ার কারণে জি-২০ গ্রুপ আন্তঃসীমান্ত লেনদেন ত্বরান্বিত এবং‌ খরচ হ্রাস করার জন্য পিক্সকে গ্রহণ করার কথা বিবেচনা করছে।‌ পিক্স বিশ্বের তাৎক্ষণিক পেমেন্ট ব্যবস্থা বাজারের প্রায় ১৫ শতাংশ দখলে নিয়েছে। পিক্সকে বিশ্বের সেরা পেমেন্ট ব্যবস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করায় ২০২১ সালে ব্রাজিলের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ‘ফিনটেক এবং রেগটেক গ্লোবাল অ্যাওয়ার্ডস’ পেয়েছেন। সেইসঙ্গে ২০২১ সালের ‘সেন্ট্রাল ব্যাংকার অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কারে ভূষিত হন।

বিজ্ঞাপন

ডিজিটাল ব্যাংকিং: ব্রাজিল ডিজিটাল ব্যাংকিং খাতে বিশাল অগ্রগতি সাধন করেছে। নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীকে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির আওতায় আনার জন্য ব্রাজিল সরকার ও বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল পেমেন্ট ও ব্যাংকিং সেবা শুরু করেছে। ব্রাজিলের শীর্ষ ডিজিটাল ব্যাংক, ‘নুব্যাংক’ এর গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটিতে এবং গত বছরের শেষে তারা প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার নিট মুনাফা আয় করেছে। তাদের ডিজিটাল মডেল গ্রাহকদের ২০২৩ সালে ১১ বিলিয়ন ডলারের বেশি ব্যাংকিং ফি এবং গত সাত বছরে পরিষেবা গ্রহণ সারিতে অপেক্ষা করা থেকে ৪৪০ মিলিয়ন ঘণ্টার বেশি সময় বাঁচাতে সাহায্য করেছে। দ্রুত গ্রাহক সংগ্রহ, সাশ্রয়ী মূল্যে ব্যাংকিং সেবা প্রদান, খরচ নিয়ন্ত্রণ, পরিচালন দক্ষতা এবং বিশাল গ্রাহক সংখ্যা সংক্রান্ত সাফল্য তাদের সারা বিশ্বে ডিজিটাল ব্যাংকের মধ্যে সেরা ব্যাংক হিসেবে তুলে এনেছে। এছাড়া ব্রাজিলের সেরা ডিজিটাল ব্যাংকের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্যাংকগুলো হচ্ছে ব্যাংকো ইন্টার, সিসিক্স, নিয়ন, অরিজিনাল, নেক্সট, পেগসেগুরো, বিএসটু, মোডালমেইস, উইল ব্যাংক ইত্যাদি। ব্যাংকো ইন্টার ১৯৯৪ সালের প্রতিষ্ঠিত হলেও ডিজিটাল রূপান্তর যাত্রায় এটি ডিজিটাল ব্যাংক হয়ে ওঠে ২০১৪ সালে।

ই-কমার্স: ব্রাজিলের ই-কমার্স ক্ষেত্র উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ব্রাজিলের বড় বড় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলো যেমন: মেরকাডো লিভ্রে, ম্যাগাজিন লুইজা এবং আমাজন ব্রাজিল ক্রমবর্ধমান অনলাইন কেনাকাটার চাহিদা পূরণ করছে। মহামারির সময় ই-কমার্সের বৃদ্ধি আরও দ্রুত হয়েছে, তখন মানুষ ঘরে বসে নিরাপদে কেনাকাটা  বাড়ায়। ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রসার, মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার বৃদ্ধি এবং ক্রেতাদের অনলাইন শপিংয়ের প্রতি আগ্রহ জাগায় ২০১৮ সালে যেখানে ব্রাজিলের ই-কমার্স বাজারের আকার ছিল ১৪ বিলিয়ন ডলার তা ২০২৩ সালের হিসেবে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলারে। আগামী বছরগুলোতে ই-কমার্স ব্যবসা আরও বৃদ্ধি পাবে, কারণ বেশি সংখ্যক মানুষ এখন অনলাইন কেনাকাটার সুবিধা গ্রহণ করছে। ২০২২ সালের আগস্ট মাসে টেকক্রাঞ্চের একটি খবরে জানা গেছে, ব্রাজিলের মোবাইল গ্রাহকরা প্রতিদিন পাঁচ ঘণ্টা সময় ব্যয় করে ব্যাংকিং, কেনাকাটা, খবর সংগ্রহ বা বিনোদনের জন্য।

স্টার্টআপ: ব্রাজিলে স্টার্টআপ খাত উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২৩ সালের হিসাবে ব্রাজিলে প্রায় ১৩ হাজার ৪০০ স্টার্টআপ নিবন্ধিত রয়েছে। এই স্টার্টআপগুলো বিভিন্ন সেক্টরে সক্রিয়, যেমন ফিনটেক, এডুটেক, হেলথটেক, এগ্রিটেক এবং আরও অনেক কিছু। গুরুত্বপূর্ণ স্টার্টআপ হাব হিসাবে  ব্রাজিলের অনেকগুলো শহর সুনাম কুড়িয়েছে। সাও পাওলো ব্রাজিলের প্রধান স্টার্টআপ কেন্দ্র, যেখানে প্রায় দুই হাজার ৭০০ স্টার্টআপ রয়েছে। অন্যদিকে রাজধানী রিও ডি জেনিরোতে সক্রিয় প্রায় ৭০০ স্টার্টআপ। ব্রাজিলের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের এই শক্তিশালী বৃদ্ধি প্রযুক্তি উন্নয়ন, উদ্যোক্তা কার্যক্রম এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে সম্ভব হয়েছে। গত পাঁচ বছরে ব্রাজিলের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ আকর্ষণ করেছে, যা ল্যাটিন আমেরিকার একটি শীর্ষস্থানীয় স্টার্টআপ হাব হিসেবে দেশের ভূমিকার প্রতিফলন ঘটিয়েছে।

২০১৮ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ব্রাজিলিয়ান স্টার্টআপ শিল্প প্রায় ২১.৩ বিলিয়ন ডলার ভেঞ্চার ক্যাপিটাল তহবিল গ্রহণ করেছে। সর্বোচ্চ বিনিয়োগের বছরটি ছিল ২০২১ সাল, সে বছর প্রায় ৯.৪ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হয়েছিল। তবে, ২০২২ সালে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং বাজার সংশোধনের কারণে বিনিয়োগের পরিমাণ হ্রাস পেয়ে প্রায় ৪.৪৮ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। অন্যদিকে ২০১৮ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ‘ফিনটেক’ খাত বিনিয়োগ অর্জন করেছে প্রায় ৭.২ বিলিয়ন ডলার। এই খাতটি ডিজিটাল আর্থিক পরিষেবা এবং উদ্ভাবনের উচ্চ চাহিদা দ্বারা চালিত হয়েছে—যা বৃহৎ জনশক্তিকে ব্যাংকিং সেবার আওতায় নিয়ে এসেছে— যারা আগে এই ব্যবস্থার বাইরে ছিল। এই বিনিয়োগগুলো ব্রাজিলকে বৈশ্বিক স্টার্টআপ এবং ফিনটেক ল্যান্ডস্কেপে একটি প্রধান খেলোয়াড় হিসেবে স্থাপন করে অসংখ্য সফল স্টার্টআপ তৈরি করেছে এবং আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ লাভ করেছে।​

অনলাইন শিক্ষা: ব্রাজিলে অনলাইন শিক্ষা খাতেও বিপুল অগ্রগতি হয়েছে। ব্রাজিলের অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও স্টার্টআপ অনলাইন শিক্ষা সেবা প্রদান করছে, যা দেশের শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ করে দিচ্ছে। মহামারির সময়ে স্কুল এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনলাইন শিক্ষায় পরিবর্তিত হয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের নিরবচ্ছিন্ন শিক্ষার সুযোগ দিয়েছে। ২০২৩ সালে ব্রাজিলের অনলাইন শিক্ষা খাতের বাজারের আকার প্রায় পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে, যা ২০১৮ সালের তুলনায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। কোর্সেরা, এডএক্স, উদেমির মতো বিখ্যাত প্ল্যাটফর্মের পাশাপাশি ব্রাজিলের নিজস্ব প্ল্যাটফর্ম যেমন দেসক্লমপিকা, এস্টাসিও, ক্রোতন প্রভৃতিরা অনলাইন শিক্ষা প্রদান করছে এবং অনেকেই ব্রাজিলের প্রধান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর অনলাইন কোর্স ও ডিগ্রি প্রদান করছে। এই খাতের ভবিষ্যৎ অত্যন্ত উজ্জ্বল কেননা প্রযুক্তির উন্নতি এবং শিক্ষার ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে আরও বেশি শিক্ষার্থী এবং পেশাদাররা অনলাইন শিক্ষা গ্রহণ করবে।

ডিজিটাল সরকার: ব্রাজিল সরকার ডিজিটাল রূপান্তরের অংশ হিসেবে বিভিন্ন ডিজিটাল পরিষেবা চালু করেছে। যেমন: ইলেকট্রনিক ভোটিং সিস্টেম, ডিজিটাল সনদপত্র প্রদান, এবং অনলাইন ট্যাক্স ফাইলিং সুবিধা। এই উদ্যোগগুলো দেশের জনগণকে সহজে ও দ্রুত সেবা প্রদান করছে এবং সরকারের কার্যক্রমকে আরও স্বচ্ছ ও দক্ষ করছে। ২০২৪ সালে ব্রাজিল ডিজিটাল সরকার কার্যক্রমে বৈশ্বিকভাবে সপ্তম স্থানে রয়েছে। ব্রাজিলকে সরকারি সেবার ডিজিটাল রূপান্তরে শীর্ষস্থানীয় দেশগুলোর মধ্যে গণ্য করা হয়।

মোবাইল ইন্টারনেট ও প্রযুক্তি: অন্যান্য দেশের মতো ব্রাজিলের জনগণের একটি বড় অংশ মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করে ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। তাদের ৯২ শতাংশ জনগণের ফোর-জি নেটওয়ার্ক ব্যবহার করার সুবিধা রয়েছে। তবে যে তিনটি জিনিস ব্যবহারে সিঙ্গাপুরের জনগণ সবার চেয়ে এগিয়েছে সেগুলো হল: ফোর-জি (১০০ শতাংশ), ফাইভ-জি (৯৬ শতাংশ) এবং ব্রডব্যান্ড (৯৫ শতাংশ)। ২৮৪.১ এমবিপিএস গতি নিয়ে সিঙ্গাপুর ব্রডব্যান্ড সেবায় সবার চেয়ে এগিয়ে আছে, যেখানে ব্রাজিলের জনগণ পাচ্ছে ১৬১.৭ এমবিপিএস। তারপরেও ডিজিটাল মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনায় সিঙ্গাপুর ব্রাজিলের চেয়ে পিছিয়ে আছে। মোবাইল ইন্টারনেটের বিস্তৃতির ফলে বিভিন্ন ডিজিটাল সেবা, যেমন সোশ্যাল মিডিয়া, অনলাইন শপিং এবং ডিজিটাল পেমেন্ট সেবা ব্রাজিলের গ্রামাঞ্চলে পৌঁছে গেছে।‌

জনগণের ডিজিটাল কার্যক্রম: বিশ্বের ১১টি দেশের মধ্যে যারা সমগ্র বিশ্বের জিডিপির ৫০ শতাংশ দখলে রেখেছে, তাদের মধ্যে ডিজিটাল কার্যক্রম পরিচালনায় ব্রাজিল প্রথম স্থানে রয়েছে। এর প্রধান কারণ হচ্ছে ব্রাজিলের মোটামুটি বয়স্ক জনসংখ্যা অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় ডিজিটাল মাধ্যম বেশি ব্যবহার করছে। এই দেশগুলোর মধ্যে ব্রাজিলের জনগণ ডিজিটাল মাধ্যমে সর্বোচ্চ দৈনিক ১২টি কার্যক্রম সম্পাদন করে, যেখানে জাপানের জনগণ করে সর্বনিম্ন ৪.২টি কার্যক্রম, যদিও তাদের ৯৯ শতাংশ জনগণের ফোর-জি ব্যবহার করার সুবিধা রয়েছে। ডিজিটাল নির্ভর ব্যস্ত জীবনে ১১টি স্তম্ভের মধ্যে ৪০টি কার্যক্রম রয়েছে। সপ্তাহভিত্তিক এই সমস্ত কার্যক্রমের ভেতর ব্রাজিলের জনগণ সবচেয়ে বেশি ৬৯ শতাংশ ব্যস্ত থাকে ভিডিও স্ট্রিমিং করার কাজে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে মোবাইল ব্যাংকিং এবং মোবাইল গেমস ব্যবহার, যেখানে তাদের অংশগ্রহণের মাত্রা হচ্ছে যথাক্রমে ৬৩.২ শতাংশ ও ৬২.৫ শতাংশ। অন্যান্য জনপ্রিয় ক্রিয়াকলাপগুলোর মধ্যে রয়েছে সঙ্গীত স্ট্রিমিং (৬০.৮ শতাংশ), মেসেজিং (৫৯.৭ শতাংশ), অনলাইন ব্যাংকিং (৫৯.৪ শতাংশ) এবং সক্রিয় সামাজিক মিডিয়া ব্যবহার (৫৯.৩ শতাংশ)। এছাড়াও, ভোক্তাদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ লাইভস্ট্রিম দেখা (৫৮.২ শতাংশ) এবং অফিস কার্যক্রম শেষ হবার পরেও কাজ সম্পাদন (৫৫.৩ শতাংশ) করার কাজে জড়িত থাকে। ‌

ক্যাশলেস লেনদেন সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে ব্রাজিল জার্মানির চাইতেও এগিয়ে রয়েছে। ব্রাজিলে যেখানে মাত্র ১৩.৮ শতাংশ লোক ক্যাশে লেনদেন সম্পন্ন করে সেখানে জার্মানির প্রায় ৩৭.৩ শতাংশ লোক ক্যাশের উপর নির্ভরশীল। ব্রাজিল প্রযুক্তি ব্যবহারে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করায় তাদের বিশ্বে একটি উল্লেখযোগ্য ডিজিটাল নেতা হিসেবে প্রমাণ করছে। এই রূপান্তরের ফলে ব্রাজিলের জনগণও উন্নত জীবনযাত্রার সুবিধা ভোগ করছে এবং দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হচ্ছে।

রিটেইল ব্যাংকার, বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড

সারাবাংলা/আইই

টপ নিউজ ব্রাজিল

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর