Monday 06 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

হীরে হবে পাসপোর্টধারী, থাকবে জীবন বৃত্তান্ত!


২৯ জুন ২০১৯ ১৫:০২ | আপডেট: ২৯ জুন ২০১৯ ১৫:০৩

হাতে, কানে, নাকে কিংবা গলায় যে পাথরটি ঝিলিক মেরে জানান দিচ্ছে, সে এক হীরের টুকরো- কখনো কী ভেবেছেন কোথা থেকে খুঁড়ে বের করে আনা হয়েছে এই দামি টুকরোটি? কে কোথায় বসে এটিকে ঘষে ঘষে এমন ঝিলিক মারা বস্তুতে পরিণত করেছেন? বিশেষ বড় বড় হীরে প্রস্তুতকারীরা এখন এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে প্রস্তুত।

রাশিয়ার আলরোসা পিজেএসসি বলছে এখন থেকে ক্রেতারা দোকানে গিয়ে কেবল হীরে কিনে নেবেন, তা নয়। তারা একই সঙ্গে এই হীরের জন্ম ও জীবন বৃত্তান্ত সবই জানতে পারবেন। হীরের টুকরোর প্রতিটিরই থাকছে একটি আইডেন্টিটি নম্বর এবং ইলেক্ট্রনিক ও ভিডিও পাসপোর্টও ইস্যু করা হবে প্রতিটি হীরের জন্য।

বিজ্ঞাপন

এরই মধ্যে ২০০০ টুকরো হীরের জীবন বৃত্তান্ত ও সেগুলোর পাসপোর্ট আইডি নম্বর বসিয়েছে আলরোসা।

নকল হীরে আর জালিয়াতির যুগে সত্যিকারের হীরে খননকারী ও বিক্রেতারা এখন ক্রেতার আস্থা অর্জনটাকেই বেশি গুরুত্বের সাথে দেখছেন। ফলে খনি থেকে খুঁড়ে আনার পর তা জুয়েলারি দোকানে পৌঁছতে কোথায় কী হয়, কোথা থেকে কোথায় যায় তা খোলাসা করে তুলে ধরতে চান। এতদিন এই পথ-পরিক্রমা ছিলো অনেকটাই অজানা। ডি বিয়ারস নামের আরেকটি বড় কোম্পানি তাদের হীরেগুলো কোথা থেকে কোথায় যায় তার ট্র্যাকিং শুরু করেছে। এ বছরের গোড়ার দিকে টিফানি অ্যান্ড কোং বলেছে তারা হীরের উত্তোলন থেকে শুরু করে ক্রেতার হাতে তুলে দেওয়ার পুরো পথ-পরিক্রমা জানানোর উদ্যোগ নিয়েছে। হীরে বিক্রয় প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ করতেই এই ব্যবস্থা। টিফানি তার সকল হীরের আংটির সাথে ঝোলানো ট্যাগে কোথা থেকে এই হীরের উৎস তা উল্লেখ করছে।

আলরোসা বলছে প্রতিটি হীরের টুকরোর এই পরিচয়পত্র থাকবে। ওই পরিচয় নম্বর ধরে ওয়েবসাইটে খুঁজলেই ক্রেতা হীরেটির পূর্ণ জীবন বৃত্তান্ত দেখতে পাবে। এছাড়া দেওয়া হবে ইলেক্ট্রনিক পাসপোর্ট। যাতে কোন অঞ্চলের খনি থেকে উত্তোলিত হীরে তা উল্লেখ থাকবে। এছাড়া এটি পোলিশ করার আগে আকারে কতটুকু ছিলো, কে এই হীরেটিকে কাটলেন তার নাম, এই কাজে তার অভিজ্ঞতা এসব উল্লেখ থাকবে।

বিজ্ঞাপন

ক্যারেটভিত্তিক হীরের সবচেয়ে বড় বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান এই আলরোসা। এ বছরের শেষের দিক থেকে প্রতিষ্ঠানটি অনলাইন শপিংয়ের মাধ্যমেও হীরে বিক্রি শুরু করবে।

সাম্প্রতিক সময়ে হীরের বাজারে একটু মন্দাই দেখা দিয়েছে। ফলে কাচা হীরে কিনে যারা ঘষে-মেজে বাজারে এনে ব্যবসা করতে চাইছেন তাদের বেশ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে। ডি বিয়ারস বলছে তাদের বিক্রি এক বছর আগের চেয়ে ৩৩ শতাংশ পড়ে গেছে। আর আলরোসাও একই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি।

২০১৯ সালে যে ৩৮ মিলিয়ন ক্যারেট হীরে বিক্রির টার্গেট এই রুশ কোম্পানিটি নিয়েছে তা বোধ হয় পূর্ণ হচ্ছে না। তবে এই শরতে অনলাইনে বিক্রি শুরু হলে, আর ক্রেতার আস্থা ফিরে পেলে হয়তো এ পরিস্থিতি থেকে উৎরে যেতে পারবে বলে মনে করছে আলরোসা।

সারাবাংলা/এমএম

জুয়েলারি টপ নিউজ পাসপোর্ট হীরা হীরে