Thursday 23 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ভক্সহল অ্যানিমেল পার্কেও বিস্ময়


৩১ মে ২০১৯ ২২:০৮ | আপডেট: ১ জুন ২০১৯ ১৬:১৯

বিশ্বকাপে খেলতে যাওয়া বাংলাদেশের টিম হোটেল পার্ক প্লাজা রিভার ব্যাংক থেকে সংবাদ সংগ্রহের পর কেনিংটন ওভালে ফিরছিলাম। উদ্দেশ্য সেখান থেকে টিউবে আমাদের হোটেলে ফেরা। পার্ক প্লাজা থেকে ওভাল হেঁটে গেলে মিনিট ২০ এর দূরত্ব। তাই ট্যাক্সি বা উবার ডাকার প্রয়োজন বোধ করলাম না। বাংলাদেশ থেকে আসা তিন সংবাদ কর্মী কথা বলতে বলতে পথ চললে তা যত লম্বা পথই হোক না কেন সংক্ষিপ্ত হতে বাধ্য এবং বেশ চনমনে একটি অনুভূতি শরীর ও মনে খেলে যায়।

বিজ্ঞাপন

কিন্তু কেন যেন ২০ মিনিট আর শেষ হচ্ছিল না। ক্রমেই গন্তব্য দূরে মনে হচ্ছিল। এদিকে সকাল থেকে টানা ভ্রমণে ততক্ষণে শরীরে ক্লন্তি ভর করেছে।

পায়ে হেঁটে রিভার সাইড থেকে ওভালের একটি সংক্ষিপ্ত পথ আছে। পেছনের পার্ক ধরে জোনাথান স্ট্রিট, এরপর ডান দিকে ঘুরে সোজা ভক্সহলের রাস্তা ধরে স্টেডিয়াম। আমরাও সেই পথটি বেছে নিলাম। পার্ক ও সুদীর্ঘ জোনাথান স্ট্রিট পার হয়ে মাত্রই ভক্সহলের রাস্তায় পড়েছি অমনি রাস্তার দুই পাশে দাঁড়ানো মানুষ দেখে চোখ আটকে গেল। আমরাও একটু ঢুঁ মারলাম। কী এমন হচ্ছে যে ব্যস্ত ইংলিশদের পথ রুদ্ধ করে দিয়েছে। মুহূর্তেই ক্লান্তি উবে গেল।

একটু মনোযোগী হয়ে ডান দিকে তাকাতে দেখি বেশ বড়সড় একটি ফার্ম। তার মধ্যে একটি গাধা হাঁটাহাঁটি করছে। লাগোয়া আরেকটি ফার্মে আরোও একটি। কিছুটা বিস্মিত হই, সেন্ট্রাল লন্ডনে অ্যানিমেল ফার্ম! উল্টো দিকে ঘুরতেই বিস্ময় আরো বেড়ে যায়। আরে! এতো সত্যিই অ্যানিমেল ফার্ম!

হরেক রকমের পশু ও পাখি নিয়ে ফার্মটি গড়ে তোলা হয়েছে। একটু ভালো এই ফার্মের ভেতরে তাকাতে দেখি বড় বড় ছাগল ও অ্যালপাকা নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত ফার্ম হাউজের দুই কর্মী। পরম মমতায় তারা তাদের খাইয়ে দিচ্ছেন, শরীরে হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন।

বিজ্ঞাপন

ছাগল চিনলেও অ্যালপাকা ঠিক চিনতে পারছিলাম না। কী প্রাণী এটা। নাম কী? জানতে চাইলে প্রাণীর নাম না বলে ওদের ছদ্মনাম বলতে লাগলেন ফার্ম হাউজ কর্মীরা। একজন এগিয়ে এসে বলেন ওই যে ডান দিকেরটা দেখতে পাচ্ছেন ওর নাম টম, মাঝেরটি বেন ও বাঁয়েরটি জেরি। পরে পাশে দাঁড়ানো এক ভিনদেশির কাছ থেকে জেনে নিলাম যে অচেনা এই প্রাণীটির নাম অ্যালপাকা।

ভীষণ শান্ত স্বভাবের অ্যালপাকা। অনেকটা ছাগলের মতোই। নড়ে তো নড়ে না… অলসের মতো সারাক্ষণ শুয়ে বসে খেতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করে। ছাগল ও অ্যালপাকা দর্শন শেষে কিছুটা পেছনে এসে কবুতর ও নাম না জানা পাখিদের সাথে কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে ক্লান্ত শরীর কিছুটা চাঙ্গা করে গন্তব্যে রওনা দেই।

সারাবাংলা/এমআরএফ/এমআরপি

অ্যালপাকা ওভাল পার্ক প্লাজা ফার্ম হাউজ ভক্সহল