যে তিন কারণে ভয়ংকর হতে পারে সিত্রাং
২৪ অক্টোবর ২০২২ ২০:২৬ | আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০২২ ২০:৩৬
প্রবল ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের অগ্রভাগ ইতোমধ্যেই ঢুকে পড়েছে বাংলাদেশের সীমানায়। আন্দামান সাগরে সৃষ্টি হওয়া এই নিন্মচাপটি এখন বঙ্গোপসাগরের সীমানায়। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে দেশের সাতটি বিভাগে ভারি বৃষ্টিপাত চলছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানাচ্ছে, মূলত তিনটি কারণে ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারে সিত্রাং। কী সেই তিনটি কারণ এই বিষয়ে আজ সোমবার বিকেলে সারাবাংলার সঙ্গে কথা বলেছেন আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান। সারাবাংলাকে আবদুল মান্নান জানান, যে তিনটি কারণে এই ঘূর্ণিঝড়টি অন্য ঘূর্ণিঝড়ের চাইতে আলাদা সেগুলো হলো-
১. বিশাল ক্ষেত্র নিয়ে আগানো ঘূর্ণিঝড়টির সামনের অংশ
২. ঘূর্ণিঝড়টির অবস্থানে বায়ুচাপের বিশাল তারতম্য
৩. চলমান অমাবস্যা তিথিতে আঘাত হানা
সিত্রাং আয়তনের দিক থেকেও বেশ বড় আকারের ঘূর্ণিঝড়। আর এই ধরণের বড় আয়তনের ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষেত্রে এর সামনের অংশের আচরণ গুরুত্বপূর্ণ। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার পর পটুয়াখালী হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রভাগ ঢুকে পড়েছে বাংলাদেশের সীমানায়। অথচ ঘূর্ণিঝড়টির শক্তিশালী অংশটি বিচ্ছিন্নভাবে অবস্থান করছে কেন্দ্রের আশেপাশে। এই অংশের আঘাত শক্তিশালী হতে পারে বলে আবহাওয়াবিদরা ধারণা করছেন।
ঘূর্ণিঝড়টির অবস্থানে বায়ুচাপের বিশাল তারতম্য আশংকার কারণ। বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে বায়ুমণ্ডলে একধরনের চাপ সৃষ্টি হয়, যা জলভাগের ওপর চাপ তৈরি করে। আর এই কারণে জলোচ্ছ্বাসের প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। আর তাই আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় পাঁচ থেকে আট ফুটের বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।
আরেকটি বিষয় ঘূর্ণিঝড়টির সময়ে চলমান অমাবস্যা তিথি। অমাবস্যার সময় চন্দ্র ও সূর্য একই দিক থেকে পৃথিবীকে আকর্ষণ করে। যার কারণে পৃথিবীর বুকে যে জলভাগ আছে, তার ওপর অতিরিক্ত আকর্ষণ তৈরি হয়। এতে জলভাগ উত্তাল হয়ে পড়ে। আর অমাবস্যা তিথির এই সময়ে ঘুর্ণঝড়টির উপকূলে আঘাত হানা সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
সারাবাংলা/এসবিডিই