Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মাতৃমৃত্যু ঠেকাতে ধাত্রীদের ওপর ভরসা রাখছেন কৃষ্ণাঙ্গ নারীরা

রোকেয়া সরণি ডেস্ক
১৮ এপ্রিল ২০২১ ১৫:৫৮ | আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২১ ১৭:৩১

আমেরিকান কৃষ্ণাঙ্গ নারী ফ্যালন স্কট। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী মাসেই সন্তান জন্ম দিবেন। সম্প্রতি তার এক বোন সন্তান জন্মদানের পরপর মারা যায়। সেই ঘটনায় তারমধ্যেও উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠা কাজ করছে। কারণ, আমেরিকায় অন্যান্য নারীদের তুলনায় কৃষ্ণাঙ্গদের মাতৃত্বকালীন মৃত্যুর হার অনেক বেশি।

প্রায় প্রতিটি নারীকেই সন্তান জন্মদানের অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। তাই সন্তান জন্ম দেওয়ার সময় মৃত্যুর হার প্রতিরোধে এখন আমেরিকার অনেক কৃষ্ণাঙ্গ নারীই ধাত্রীর শরণাপন্ন হচ্ছেন।

বিজ্ঞাপন

সন্তান জন্ম দেওয়ার সময় পরামর্শ এবং সহযোগিতার উদ্দেশ্যে কৃষ্ণাঙ্গ গর্ভবতী নারীদের ধাত্রীদের সঙ্গে রাখা ও তাদের পরামর্শ নেওয়ার নতুন যে ভাবনা তারই একটি অংশ হচ্ছে ফ্যালন।

সন্তান জন্ম দেওয়ার সময় নিজেকে নিরাপদ রাখতে চান ফ্যালন। গর্ভকালীন ও সন্তান জন্ম দেওয়া পুরো সময়টিতে নিজের সুস্থ্যতা নিশ্চিত করতে তিনি একজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ধাত্রী ঠিক করে রেখেছেন। কোভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতির কারণে হাসপাতালগুলোতে চাপ থাকায় এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানান ফ্যালন। তিনি বলেন, ‘কোনকিছুতে অবহেলা হলে আমার জীবন শেষ হয়ে যেতে পারে।’

আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজাস্টার কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রেভেনশন এর তথ্য অনুযায়ী, শ্বেতাঙ্গ, এশিয়ান ও ল্যাটিন নারীদের তুলনায় কৃষ্ণাঙ্গদের মাতৃমৃত্যুর হার দ্বিগুণের বেশি। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, তাদের এই উচ্চ মৃত্যুহারের পেছনে অনেক কারণ রয়েছে।

গাইনোকলজিস্ট ডা. জুলিয়েন অ্যাডামস বার্ট বলেন, ‘ওষুধের ক্ষেত্রে বর্ণবাদের কথা আসলে অনেক বিষয় চলে আসে। অন্যান্য কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে দীর্ঘস্থায়ী রোগ, সঠিক স্বাস্থ্যসেবার সুযোগের অভাব ইত্যাদি।’

বিজ্ঞাপন

কৃষ্ণাঙ্গদের মাতৃমৃত্যু বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ১১ এপ্রিল থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত ‘ব্ল্যাক ম্যাটেরনাল হেলথ উইক’ ঘোষণা করেছেন।

ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসও কয়েকজন মায়ের সঙ্গে সভা করেছেন। সভায় মায়েরা তাদের সন্তান জন্মদানের অভিজ্ঞতা নিয়ে তার সঙ্গে আলোচনা করেছেন।

ধাত্রী হচ্ছে প্রশিক্ষিত একজন যিনি সন্তান জন্ম দেওয়ার আগে, জন্মদানের সময় ও পরে মাকে সহায়তা করে থাকেন। এরকম একজন ধাত্রী ডিজিফা রিচার্ডস বলেন, ‘প্রসবকালীন মায়েদের প্রথম কথাই হচ্ছে, ‘মাতৃমৃত্যুর হার বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি আমি জানি কিন্তু আমি তার মধ্যে একজন হতে চাই না।’ তিনি জানান, ‘গত দুই বছর ধরে এ ধরনের মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। ফ্যালনের মতো অনেক কৃষ্ণাঙ্গ নারী তার কাছে একই উদ্বেগ নিয়ে আসেন। তারা একজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ধাত্রীর খোঁজ করেন।’

রিচার্ডস আরো বলেন, ‘শুরু থেকে প্রসব পরবর্তী পর্যন্ত ধাত্রীরা সব ধরনের সেবা দিয়ে থাকে যা কৃষ্ণাঙ্গ নারীদের মাতৃমৃত্যুর হার কমিয়ে আনতে সহায়তা করতে পারে।’

এ বিষয়ে ডা. অ্যাডামস বার্ট বলেন, ‘গবেষণায় প্রমাণ হয়েছে, নারীরা সমর্থন পেলে অনেক ভালো কাজ করতে পারে। এক্ষেত্রে ধাত্রীরা গর্ভবতী নারীদের খুব ভালো সমর্থন হিসেবে কাজ করে।’

সারাবাংলা/এসএসএস

আমেরিকায় মাতৃমৃত্যু কৃষ্ণাঙ্গ নারী মাতৃমৃত্যু মাতৃমৃত্যু হ্রাস

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর