জিনোম ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে অবদান, রসায়নের নোবেল ২ নারী বিজ্ঞানীর
৭ অক্টোবর ২০২০ ১৭:৫০ | আপডেট: ৭ অক্টোবর ২০২০ ২১:০৭
এ বছর রসায়ন বিজ্ঞানে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পেলেন দুই বিজ্ঞানী— এমানুয়েলে কার্পেন্তিয়ের ও জেনিফার এ. দোদনা। জিন প্রযুক্তির ‘সিআরআরএসপিআর/ক্যাস৯ জেনেজিক সিসর’ আবিষ্কার করে তারা এ পুরস্কারে ভূষিত হলেন।
বুধবার (০৭ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায় (সুইডেনের স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে) তাদের নাম ঘোষণা করে রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস।
নোবেল কর্তৃপক্ষ জানায়, জিনোম এডিটিং বা জিনোম ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের একটি পদ্ধতি বিকাশে অবদান রেখেছেন এমানুয়েলে কার্পেন্তিয়ের ও জেনিফার এ. দোদনা। এর ফলস্বরূপ দুই বিজ্ঞানীকে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে।
নোবেল কমিটি জানায়, গুরুত্বপূর্ণ এই আবিষ্কার জীববিজ্ঞানকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। এ আবিষ্কার উদ্ভিদের বংশবিস্তারের ক্ষেত্রে নতুন সুযোগ তৈরি করেছে। এই আবিষ্কারের প্রভাব নতুন ক্যান্সার চিকিৎসাতেও পড়বে। এছাড়া জেনেটিক রোগের চিকিৎসায় কাজে আসবে এই আবিষ্কার।
উল্লেখ্য, এমানুয়েলে কার্পেন্তিয়ের ফ্রান্সের নাগরিক। বর্তমানে তিনি জার্মানির ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইউনিট ফর দ্য সায়েন্স অব প্যাথজেনস, বার্লিন-এ কর্মরত আছেন। জেনিফার দোদনা যুক্তরাষ্ট্রের একজন জীববিজ্ঞানী। ১৯৬৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি’তে জন্ম তার। বর্তমানে তিনি ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ায় কর্মরত।
মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে এবার নোবেল পুরস্কার দেওয়ার রাজকীয় অনুষ্টান আয়োজন করছেন না কর্তৃপক্ষ। পুরস্কার জয়ীরা নিজ নিজ দেশে থেকে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।