Friday 10 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মার্কিন বোমায় ইরানের যেসব বিশ্বঐতিহ্য ‘ধ্বংস’ হতে পারে!


৭ জানুয়ারি ২০২০ ২০:১৯ | আপডেট: ৭ জানুয়ারি ২০২০ ২০:৩১

কোনো দেশের ঐতিহ্যবাহী স্থাপনায় হামলা চালালে আন্তর্জাতিক আইনে তা যুদ্ধাপরাধ হিসেবে গণ্য হয়। জাতিসংঘের এই প্রস্তাবনায় সই করেছে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানও। তবে দুদেশের বর্তমান যুদ্ধাবস্থায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানিয়েছেন, প্রয়োজনে ইরানের ঐতিহ্যবাহী ৫২ স্থাপনায় হামলা চালাবে মার্কিন সেনারা। প্রায় ৫ হাজার বছরের পুরনো সভ্যতার দেশ ইরানে রয়েছে ২০টিরও বেশি ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্বঐতিহ্য। যদিও পশ্চিমা পর্যটকরা রাজনৈতিক কারণেই মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটি থেকে দূরে থাকে। যুক্তরাষ্ট্র সত্যি বোমা ছুড়লে যেসব ইরানীয় স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে সেগুলো হচ্ছে,

বিজ্ঞাপন

পারসেপোলিস

প্রাচীন পারস্যের রাজধানী পারসেপোলিস অবস্থিত উত্তরপূর্বের রাজ্য ফার্স প্রদেশের সিরাজ শহরে। খ্রিস্টপূর্ব সাড়ে ৫০০ বছর আগে এখানো সভ্যতা গড়ে উঠেছিল। অনেকটা ধ্বংসপ্রাপ্ত এই শহরকে ১৯৭৯ সালে ইউনেস্কো বিশ্বঐতিহ্য ঘোষণা করে। যদিও এখনো কারুকার্য খচিত সিঁড়ি, দেয়াল, মন্দির ও মার্বেল স্থাপনার অবশিষ্ট অংশের দেখা পাওয়া যায়।

শাহ চেরাগ মসজিদ, সিরাজ

‘আহমেদ’ ও ‘মুহাম্মদ’ নামে দুই ভাইয়ের সমাধির ওপর গড়ে তোলা হয়েছে পারস্য স্থাপত্যরীতিতে তৈরি নান্দনিক শাহ চেরাগ মসজিদ। মোজায়িক টাইলসে আলোর খেলা ও নিখুঁত জ্যামিতিক আকৃতির নকশার এই মসজিদ ইরানের সুন্দরতম স্থাপত্যগুলোর একটি।

ভ্যাঙ্ক ক্যাথেড্রাল

ইরানে খ্রিস্টধর্মের ইতিহাসও প্রাচীন। দেশটির উত্তরপশ্চিম এলাকায় ৩টি প্রাচীন গির্জা ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্বঐতিহ্য। তেহরান থেকে ৪০০ কিলোমিটার দক্ষিণের ইসফাহানে অবস্থিত ভ্যাঙ্ক ক্যাথেড্রাল। অনিন্দ্যসুন্দর এই গির্জাটি তৈরি করে আর্মেনিয়রা।

ইসফাহান ব্রিজ

জায়েন্দ নদীর ওপর স্থাপিত ইসফাহান ব্রিজটি খাজু ব্রিজ নামেও পরিচিত। ১৩০মিটার দীর্ঘ এই ব্রিজ ড্যাম ও স্লুইস নামেও পরিচিত। ইরানের সপ্তম রাজা আব্বাস ২ এর শাসনামলে ১৬৫০ সালে এটি নির্মিতি হয়। ব্রিজের পথ তৈরি ইট ও পাথরের। চিত্তবিনোদনের জন্য ভ্রমণপিপাসুরা এখানে জড়ো হন। পশ্চিমাদের কাছেও খাজু ব্রিজ বেশ জনপ্রিয়।

শেখ লুতফাল্লাহ মসজিদ, ইসফাহান

এটি শহরের সবচেয়ে বড় মসজিদ নয় তবে সৃষ্টিশৈলীর জন্য বিখ্যাত। নির্মিত হয়েছিল সাফাবিদ সাম্রাজ্যকালে। ১৬০৩ সালে নির্মাণ শুরু হয়ে মসজিদটির কাজ শেষ হয় ১৬ বছর পর ১৬১৯ সালে। মসজিদটি গড়ে তোলা হয়েছিল রাজকীয় বিচারালয় হিসেবে ব্যবহারের জন্য। মসজিদ নির্মাণে ব্যবহৃত হয়েছে মার্বেল পাথর, সাতরঙা টাইলস ও ক্যালিগ্রাফি।

বিজ্ঞাপন

ইমাম রেজার মাজার

ইরানের খোরাসান-ই-রাজভি প্রদেশের মাসাদ শহরে অবস্থিত ইমাম রেজার মাজার। এখানে একসঙ্গে প্রায় ২লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লি প্রার্থনা করতে পারে। ইরানের জনপ্রিয় টুরিস্ট স্পটগুলোর একটি ইমাম রেজার মাজার। পুরো মাজার এলাকাটির আয়তন প্রায় ৬৪ লাখ বর্গফুট।

পাসাগ্রেদ

খ্রিস্টপূর্ব ৬০০ দশকের পাসাগ্রেদ স্থাপনার নিদর্শন রয়েছে ফার্স প্রদেশে। এখানে রয়েছে সাইরুস দ্য গ্রেটের সমাধি। ভারতের বিখ্যাত তাজমহল ও স্পেনের আহামব্রাসহ বিখ্যাত অনেক স্থাপত্য এখানের নির্মাণশৈলী থেকে অনুপ্রাণিত।


এছাড়া, সুসা শহরে ড্যানিয়েলের সমাধি, কেরমান প্রদেশে আর্গ ই বাম দুর্গ, গণবাদ ই কাভুস ইরানের ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্যের অন্যতম।

দ্য গার্ডিয়ান থেকে অনূদিত।

ইরান ইরানীয় ঐতিহ্য টপ নিউজ বিশ্বঐতিহ্য মার্কিন বোমা যুক্তরাষ্ট্র সাংস্কৃতিক স্থাপনা

বিজ্ঞাপন

রিয়েলি এবার রিয়েলিই খুশি
১০ জানুয়ারি ২০২৫ ১০:০০

আরো

সম্পর্কিত খবর