তেঁতুলিয়ায় ৬.২ ডিগ্রি, কাল সারাদেশে বৃষ্টির শঙ্কা
২৫ ডিসেম্বর ২০১৯ ১০:৩২ | আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৬:২৫
শীতের কাঁপুনি এবার থামছেই না। ক্যালেন্ডারের হিসেবে আজ বুধবার ১০ পৌষ। এই ১০ দিনে নিজের চেহারা বেশ ভালোভাবেই দেখিয়েছে পৌষ মাস। গত কয়েকবছর শীত পড়ে না, শীত পড়ে না বলে যারা মাতম করেছেন, এবার তাদেরও যেন একহাত দেখিয়ে দিল সে।
এই যেমন আজকের সকালের রাজধানীর কথাই ধরুন না কেন, ঘন কুয়াশায় ঢেকে আছে চারপাশ। বাড়ির বাইরে বের হলে শীতের বাতাসে একেবারে সুইয়ের মতো বিঁধছে। তারওপর আজ বড়দিন উপলক্ষে সরকারি ছুটি, তাই রাস্তাঘাটও বেশ ফাঁকা। খুব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাহিরমুখো হচ্ছেন না। কী দরকার, বাড়িতে লেপের নিচের ওমই তো ভালো।
ঢাকায় এখন তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবু আমরা শীতে জবুথবু। একবার ভাবুন তো, উত্তরাঞ্চলের মানুষের অবস্থা কেমন তাহলে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, সকালে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক সারাবাংলাকে বলেন, উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে কুয়াশা কাটতে শুরু করেছে। ঢাকাতেও দুপুরের পর সূর্যের দেখা মিলবে। তখন কমে আসবে ঠাণ্ডাও। এই মুহূর্তে রংপুর আর রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে একটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
এই আবহাওয়াবিদ মনে করিয়ে দিলেন, কাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। এই বৃষ্টিই কুয়াশাকে কমিয়ে দেবে। বিশেষ করে ঢাকাতে বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি।
সে কারণে আগামী অন্তত দুদিন ব্যাগে বর্ষাতি বা ছাতা রাখতে হবে। হঠাৎ বৃষ্টিতে যদি শীতের পোশাক ভিজে যায় তাহলে বিষয়টা কেমন হবে সেইটা নিশ্চয়ই কাউকে বুঝিয়ে বলতে হবে না। তাই সাবধান থাকাটা জরুরি।
আরেকটি জরুরি বিষয় হলো, এই সময় শিশু আর বয়স্করা শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তারা যেন যথাযথ শীত পোশাক পরে থাকেন সেইটা নিশ্চিত করতে হবে। গোসলের জন্য ব্যবহার করতে হবে উষ্ণ গরম পানি। আর যে কোনো সমস্যায় দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
তো এই শীতে সবাই ভালো থাকুন, সারাবাংলার পক্ষ থেকে এটাই কামনা।