ম্যাজিক দেখাতে গিয়ে ট্র্যাজিক পরিণতি লাহিড়ীর (ভিডিও)
১৮ জুন ২০১৯ ১৯:৪২ | আপডেট: ১৮ জুন ২০১৯ ২০:০৪
জাদুকর বলেছিলেন, ‘আমি সফল হলে সেটাই হবে জাদু (ম্যাজিক), নইলে বরণ করতে হবে ট্র্যাজিক পরিণতি।’ সাফল্য আর জীবনের সন্ধিক্ষণ যেন। সেই দোলাচলেই ঝাঁপ দিয়েছিলেন হুগলি নদীর বুকে। তাতে ম্যাজিকের নয়, শেষ পর্যন্ত জয় হয়েছে ট্র্যাজিকের। জাদুকর চঞ্চল লাহিড়ী (ম্যানড্রেক নামেই যিনি বেশি পরিচিত) বরণ করে নিয়েছেন সলিল সমাধি। ডুবে মরলেন হুগলি নদীর জলে। পানিতে নামার স্পট থেকে ১ কিলোমিটার দূরে সোমবার (১৮ জুন) তার মৃতদেহ খুঁজে পায় পুলিশ। খবর বিবিসির।
এর আগে রোববার, চঞ্চল লাহিড়ী হ্যারি হুডিনির বিশ্ববিখ্যাত জাদু-কৌশলের অনুকরণে লাল-হলুদ পোশাক পরে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় জাদু দেখাতে নেমেছিলেন পানিতে। হাত পায়ে শিকল বাঁধা এবং ছয়টি তালা বন্ধ অবস্থায় তাকে হুগলি নদীতে ডুবানো হয়। হাওড়া ব্রিজে এসময় উপস্থিত ছিলেন হাজার হাজার দর্শনার্থী। দুইটি নৌকা থেকে লাহিড়ীর ওপর নজর রাখা হয়েছিল। কথা ছিল কৌশলে শিকল খুলে পানিতে ভেসে উঠবেন। আগেও অনেকবার এই জাদু দেখিয়েই সবাইকে বিমোহিত করেছিলেন তিনি। তবে এবার আর ভাগ্য সহায় হয়নি। দশ মিনিটের মাথায়ও জাদুকর লাহিড়ী আর ভেসে না উঠলে উপস্থিত জনতা পুলিশকে খবর দেয়।
স্থানীয় একটি পত্রিকার ফটো-সাংবাদিক এবং এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী জয়ন্ত শাও বলেন, প্রদর্শনীর ঠিক আগমুহূর্তে তিনি চঞ্চল লাহিড়ীকে এই জাদুর ঝুঁকি বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেছিলেন। উত্তরে জাদুকর বলেছিলেন, ‘আমি সফল হলেই এটা জাদু হবে, ব্যর্থ হলে হবে ট্র্যাজেডি’।
জাদুকর চঞ্চল এর আগেও এধরনের ঝুঁকিপূর্ণ কৌশলের মাধ্যমে জাদু দেখিয়েছেন। এই হুগলি নদীতেই ২০ বছর আগে তিনি বন্ধ কাচের বাক্সের ভিতরে ঢুকে, পরে আবার নিরাপদেই বেরিয়ে আসতে পেরেছিলেন। তবে এবার আর পারেননি।
কলকাতা পুলিশ এবং বন্দর কর্তৃপক্ষ ইন্ডিয়ান প্রেস ট্রাস্টকে জানিয়েছে যে, জাদুকর নৌকা এবং ভেসেল ব্যবহার করে জাদু-প্রদর্শনীর অনুমতি চেয়েছিলেন, সেই হিসেবে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি যে পানিতে নামবেন এ বিষয়টা আমাদের অজানা ছিল, তদন্ত শেষে আসল ঘটনা জানা যাবে।
সারাবাংলা/এনএইচ