Thursday 16 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

দুরন্ত বৈশাখের পদধ্বনি


১৩ এপ্রিল ২০১৯ ০০:৫৪

ঢাকা: বাংলা সনের পয়লা মাস বৈশাখকে বরণ করার সময় এসে গেছে। বজ্রধ্বনি, দমকা বাতাস, বৃষ্টি আর শিলাবৃষ্টিতে আগমনী বার্তা দিচ্ছে দুরন্ত বৈশাখ। সেই ধারাবাহিকতায় ঝড়-বৃষ্টিতে কাটবে আজকের দিনটিও।

পূর্বাভাস বলছে, শনিবার (১৩ এপ্রিল) ঢাকা, ময়মনসিংহ, রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা কিংবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে বৃষ্টি ও বজ্রপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে।

বিজ্ঞাপন

সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) দেশে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে গোপালগঞ্জে, ২৮ মিলিমিটার। এছাড়া মাদারীপুরে ১৪ মিলিমিটার; চাঁদপুরে ১১; চুয়াডাঙ্গা ও টাঙ্গাইলে ৮; বরিশালে ৭; রাজশাহীতে ৫; ফরিদপুরে ৪; ময়মনসিংহ ও তাড়াশে ৩; নিকলিতে ২; ভোলায় ১ মিলিমিটার এবং ঢাকায় সামান্য বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় যশোরে, ৩৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল নিকলিতে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

যেমন কাটবে এপ্রিল

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক ও বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান সামছুদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, এপ্রিল মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। এ মাসে বঙ্গোপসাগরে ২টি নিম্নচাপের সৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। এপ্রিল মাসে দেশের উত্তর থেকে মধ্যাঞ্চল পর্যন্ত ৩ দিন মাঝারি কিংবা তীব্র বজ্রঝড় (কালবৈশাখী) ও দেশের অন্যখানে ৫ থেকে ৬ দিন হালকা থেকে মাঝারি বজ্রঝড় (কালবৈশাখী) হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, এপ্রিল মাসে দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে একটি তীব্র তাপপ্রবাহ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি এবং অন্য জায়গায় ২টি মৃদু (৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) কিংবা মাঝারি (৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে এপ্রিল মাসের শেষ দিকে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আকস্মিক বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে। দেশের অন্যান্য জায়গায় নদ-নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ থাকতে পারে। এই মাসে দেশের দৈনিক গড় বাষ্পীভবন ৪ থেকে ৫ মি.মি. এবং গড় উজ্জ্বল সূর্য কিরণকাল ৬ দশমিক ৭৫ থেকে ৭ দশমিক ৭৫ ঘণ্টা থাকতে পারে।

যেমন ছিল মার্চ

মার্চ মাসে সারাদেশে স্বাভাবিকের চেয়ে শতকরা ২ দশমিক ৬ ভাগ বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। তবে চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল বিভাগে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে কম। অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে, ময়মনসিংহ, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগে।

আবহাওয়া মানচিত্র, জলবায়ু মডেল, বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থাগুলোর প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, পশ্চিমা লঘুচাপের সঙ্গে পূবালী বায়ু প্রবাহের সংযোগ ঘটায় ৪ ও ৫ মার্চ ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায়; ১৭ ও ১৮ মার্চ এবং ২২ ও ২৬ মার্চ খুলনা, বরিশাল ঢাকা এবং চট্টগ্রাম বিভাগের দু’এক জায়গায় দমকা হাওয়া, বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি এবং হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হয়।

গত ৩১ মার্চ দেশের অধিকাংশ জায়গায় বজ্রঝড় (কালবৈশাখী) ও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি এবং হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হয়। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি বর্ষণ হয়। এ সময় দেশের বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টা ৮৩ কিলোমিটার। ২৬ মার্চ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রাঙ্গামাটিতে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।

সারাবাংলা/এটি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর