নদীতে সাবধান, গাছতলায় না
২ এপ্রিল ২০১৯ ০০:২৫
ঢাকা: দেশজুড়ে আগাম বৃষ্টি, বজ্রপাত এবং ঝড়ো হাওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। বিভিন্ন জেলাগুলো থেকে আসছে বজ্রপাতে মৃত্যুর সংবাদ। কখনো কখনো ঝড়ো বাতাসে গাছের ডাল ভেঙে পড়ে কিংবা নির্মাণাধীন ভবন থেকে ইট পড়ে হচ্ছে মৃত্যু।
আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সারাদেশে আবহাওয়া প্রায় একই থাকবে। দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে থাকবে, ঝড়-বৃষ্টি-বজ্রপাত-শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা।
আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, রাতেই যশোর, খুলনা, নোয়াখালী, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদী বন্দরগুলোতে ২ নম্বর নৌ- হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া দেশের অন্য অঞ্চলগুলোতে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদী বন্দরগুলোতে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
সোমবার (১ এপ্রিল) রাত ৯টা থেকে পরদিন মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত এই সতর্কতা জারি থাকবে- জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
উপগ্রহের পাঠানো তথ্য বলছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও এর আশে পাশের এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। অন্যদিকে মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
এর প্রভাবে ময়মনসিংহ, সিলেট, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে বৃষ্টি কিংবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে।
সোমবার সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয় কুমিল্লায়, ৪৮ মিলিমিটার। এছাড়া চাঁদপুরে ৪০ মিলিমিটার; ঢাকা, শ্রীমঙ্গল, রংপুর ও তাড়াশে ৩৮; টাঙ্গাইলে ৩৭; মাইজদীকোর্টে ৩৩; ভোলায় ৩১; নেত্রকোনায় ২৯; সাতক্ষীরা ও ফেনীতে ২৮; চট্টগ্রামে ২৬; রাজশাহীতে ২৫; মংলায় ২৪; নিকলিতে ২৩; সীতাকুণ্ডে ২২; পটুয়াখালী, বগুড়া ও যশোরে ১৮; সৈয়দপুর ও ময়মনসিংহে ১৭; দিনাজপুরে ১৬; খুলনা, সিলেট, ঈশ্বরদী ডিমলা ও বদলগাছীতে ১৪; মাদারীপুরে ১৩; বরিশালে ১১; হাতিয়া ও রাজারহাটে ১০; গোপালগঞ্জ ও তেঁতুলিয়ায় ৭; চুয়াডাঙ্গা ও খেপুপাড়ায় ৫; কক্সবাজার ও কুতুবদিয়ায় ৪; টেকনাফে ৩ এবং ফরিদপুর ও কুমারখালীতে ১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।
এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে, ৩৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল টাঙ্গাইলে, ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ছবি- মাইশা মুবাশশিরাহ সৃজন
সারাবাংলা/এটি