Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শীতকে বসতে দেয়ার পিঁড়ি নেই?


৪ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৬:১০ | আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ২১:০৬

সারাবাংলা ডেস্ক

আজ অগ্রহায়ণ মাসের ২০ তারিখ। দিনের তারিখ যত হু হু করে বাড়ছে শীত যেন ততটাই লজ্জায় অবনত হয়ে আছে।
এদিকে, কদিন ধরে শীতের আগমনীকে উৎযাপন করতে অপেক্ষরতরা রাগে ফুঁসছে। আর এত রাগারাগিতে যে শক্তি খরচ হচ্ছে তাতে শরীর গরম হয়ে সবার একটু ঘাম ঘাম অনুভূতি হচ্ছে। তবে, শীত না বাড়লেও গরমও কিন্তু দুরে সরেই আছে।

গত কয়েকদিনে তাপমাত্রা মোটামুটি একই রকমের রয়েছে সর্বোচ্চ ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর সর্বোনিম্ন ১৫ ডিগ্রি। শীত কিন্তু তার নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে একটু একটু করে কমছে। এদিকে জেলাগুলো থেকে খবর আসছে সেদিকে নাকি বেজায় শীত। যদিও খাতা কলমে সেখানেও ঢাকার কাছাকাছি তাপমাত্রা দেখা যায়। সেসব জায়াগায় শীতের সত্যিকার অনুভূতি দুই তিন ডিগ্রি করে কম হয়। এ থেকে বোঝা যায় ঢাকায় যে সবার গরম গরম লাগে এটার দোষ শীতের না। শীত আসার কাজ সে এসেছে, তাকে বসতে দেওয়ার জন্য যে পরিবেশ ঢাকায় থাকা উচিত ছিল সেটা আর ঢাকায় নাই।

শীত নিজের মতো এসে গিয়েছে কিন্তু সে উপরে উপরে ঘুরে বেড়াচ্ছে, তাকে বসতে দেওয়ার মতো পিঁড়ি আমাদের নেই। তাই শীতের মধ্যে গরম এসে যদি আপনার গায়ে কাটা বিধেঁ করে তবে তা সহ্যের মধ্যেই নিন। যেভাবেই হোক কিছু গাছ লাগান আর সেই গাহগুলোকে বছরের পর বছর ধরে যত্ন করুন। এটা যদি আজ না করা যায় তবে আগামী দিনে শীতের গল্প হবে রুপকথার মত।

শীত কম কম লাগলেও আবহাওয়া খুব শুষ্ক হয়ে গিয়েছে। আকাশে মেঘের বংশ নাই, যদি এক দুইটা মেঘের ভেলা দেখাও যায় খুব বেশি সময় সেটা থাকে না। তবে বেলা তিনটার দিকে বেশ মেঘ সমাগমের পূর্বাভাষ পাওয়া যাচ্ছে। তবে তা বর্ষিত হওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই। সম্ভবত কোথাও যাওয়ার পথে তারা আকাশের এই অংশকে বেছে নিয়েছে মিটিং পয়েন্ট হিসেবে।
একে তো আর্দ্রতা কম তারওপর নেই বৃষ্টি। বেচারা প্রকৃতি তাই বেঁচে থাকার জন্য পানি নিয়ে টানাটানি করছে যা থেকে রেহাই পাচ্ছে না মুখের ত্বকও। এই টানাটানি থেকে বাঁচতে দুই স্থরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিতে হবে। এক. প্রচুর পানি ও অন্য তরল খেতে হবে। দুই. তেল বা তৈলাক্ত কিছু ত্বকে মাখতে হবে।

বিজ্ঞাপন

আকাশে মেঘ না থাকলে অন্য আরেকটা ভয় থাকে তা হচ্ছে সূর্যের অতিবেগুণী রশ্মি। এটা থেকে বাঁচতে অবশ্যই সানস্ক্রিন মাখতে হবে। শিশুরা কিন্তু এই রশ্মির মূল শিকার। তাদেরও বেশ করে সানস্ক্রিন মেখে দিন।

সারাদিন সূর্যের আলো মেখে, রাতে চাঁদের আলো মাখতে পারেন কৃষ্ণপক্ষ শুরু হয়ে গেলেও। চাঁদ বেশ বড় আর হলদে হয়ে আকাশে আছে। সন্ধ্যার কিছু পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত থাকবে। কুয়াশার প্রলেপ মাখা সেই হলদে চাঁদ দেখতেও লাগবে বেশ।

আপনাদের সারাদিন নিরাপদে কাটুক।

সারাবাংলা/ এমএ/ডিসেম্বর ১,২০১৭

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর