Thursday 09 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বিশ্বজুড়ে বেড়েছে মাংসের চাহিদা


১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৮:০৫ | আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৮:১০

।। বিচিত্রা ডেস্ক ।।

বিশ্বে মাংসের চাহিদা গত পঞ্চাশ বছরে ৫ গুণ বেড়েছে। ১৯৬০ সালে যেখানে ৭০ মিলিয়ন টন মাংস উৎপাদন হতো। সেখানে ২০১৭ সালে  চাহিদা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩০ মিলিয়ন টনে। খবর বিবিসির।

এজন্য বড় কারণ হিসেবে রয়েছে জনসংখ্যা বৃদ্ধি। একই সময়ে পূর্বে ৩ বিলিয়ন জনসংখ্যার বিপরীতে এখন পৃথিবীতে জনসংখ্যা ৭.৬ বিলিয়ন। এছাড়া, বেড়েছে জীবনযাত্রার ব্যয়ও। ১৯৬০ সালের তুলনায় পৃথিবীতে গড় আয় বেড়েছে তিনগুণের বেশি।

জরিপে দেখা যায়, ধনীদের খাবার তালিকায় মাংসের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। সবচেয়ে বেশি মাংস খাওয়া হয় যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও আর্জেন্টিনায়। এ চারটি দেশের নাগরিকরা বছরে গড়ে ১০০ কেজি করে মাংস আহার করেন। অপরদিকে ইউরোপে জনপ্রতি বছরে মাংস খাওয়ার হার ৮০ থেকে ৯০ কেজি করে।

তুলনামূলকভাবে আফ্রিকার দেশগুলোতে মাংস খাওয়া হয় সবচেয়ে কম। ইথোপিয়ায় ৭ কেজি, রুয়ান্ডায় ৮ কেজি, নাইজেরিয়ায় ৯ কেজি করে মাংস খাওয়া হয় সেখানের নাগরিকদের। অনুন্নয়নশীল দেশগুলোতে মাংস খাওয়াটা বিলাসিতার মতো।

চীনে ১৯৬০ সালে একজন ব্যক্তি গড়ে ৫ কেজি করে মাংস আহার করতেন। ১৯৮০ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ২০ কেজিতে। গত কয়েক দশকে তা বেড়ে হয়েছে ৬০ কেজি।

অর্থনীতিতে দ্রুত বর্ধনশীল ব্রাজিলের ক্ষেত্রেও এমনটি ঘটেছে। ১৯৯০ সালের তুলনায় বর্তমানে দেশটিতে মাংস ভোগের হার বেড়েছ দ্বিগুণ। মাংস আহারে তারা ছাড়িয়ে গেছে পশ্চিমা অনেক দেশকে।

এসব ক্ষেত্রে আবারও ব্যতিক্রম ভারত। ১৯৯০ সালের পর দেশটির আয় তিনগুণ বাড়লেও মাংস ভোগ বাড়েনি সেভাবে। অনেকে ভেজেটেরিয়ান বা নিরামিষাশী হওয়ায় ও ধর্মীয় রীতির কারণে ভারতে মাংস ভোগের হার সবচেয়ে কম। বছরে গড়ে ৪ কেজি করে মাংস খায় ভারতীয়রা।

বিজ্ঞাপন

খাদ্য হিসেবে লাল মাংস বা রেড মিট ক্ষতিকারক হওয়ায় আমেরিকাসহ ইউরোপের অনেক দেশ মাংস ভোগ কমিয়ে আনার চেষ্টা করছে। তবে বিভিন্ন জরিপে জানা যায়, শত প্রচারণা সত্ত্বেও মাংস খাওয়ার পরিমাণ মোটেই কমেনি।

দেহের চাহিদার চেয়ে বেশি মাংস খাওয়াটা যেন দৈনন্দিন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। যার কারণে হৃদরোগ, ক্যান্সার ও স্ট্রোক বেড়েছে। এজন্য ডাক্তাররা গরু বা শুকরের মাংস খাওয়া কমিয়ে প্রয়োজনে মুরগির মাংস খেতে পরামর্শ দিয়েছেন।

সারাবাংলা/এনএইচ

খাদ্যাভাস মাংসের চাহিদা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর