আশা-নিরাশার নতুন প্রজেকশন সিস্টেম
২৪ জুন ২০১৮ ১৯:০৭ | আপডেট: ২৪ জুন ২০১৮ ১৯:১৩
এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট ।।
দেশীয় চলচ্চিত্রাঙ্গনের জন্য খবরটি ভালো না খারাপ? তার উত্তর এক কথায় বলা না গেলেও, নতুন একটি পথ বাড়লো, এটা নিশ্চিত। প্রেক্ষাগৃহে প্রজেক্টর, সার্ভার মেশিন ও পর্দা সরবরাহ করবে লাইভ টেকনোলজিস, এমন উদ্যোগে কিছুটা হলেও সম্মৃদ্ধ হলো চলচ্চিত্রাঙ্গন।
চালু থাকা এবং নিয়মিত সিনেমা প্রদর্শন করা অধিকাংশ সিনেমা হলেই ব্যবহৃত হচ্ছে জাজ মাল্টিমিডিয়া থেকে সরবরাহ করা প্রজেক্টর মেশিন। এর পাশাপাশি এখন লাইভ টেকনোলজিসও হল মালিকদের দেবেন একই ধরনের সুবিধা। তবে আর্থিকভাবে দুই প্রতিষ্ঠানের পন্থা ভিন্ন।
এই পুরো প্রকল্পটির তত্ত্বাবধায়ক লাইভ টেকনোলজিসের পরিচালক ইয়াসির আরাফাত। প্রাথমিকভাবে একশো সিনেমা হলে এই সেবা দেয়ার লক্ষ তাদের বলে জানান তিনি। প্রজেক্টর, সার্ভার মেশিন ও পর্দা- এই তিনটি পন্য সরবরাহ করবে তারা। হল মালিক চাইলে তিনটি একসঙ্গে অথবা প্রয়োজনমতো একটি একটি সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন হল মালিক।
এ বিষয়ে সারাবাংলাকে বিস্তারিত জানিয়েছেন ইয়াসির আরাফাত। তিনি বলেন, ‘এই সেবা আমরা সিনেমা হল মালিকদের চাহিদা অনুযায়ী দেবো। নেয়ার জন্য কাউকে জোর করবো না। আমাদের এখন পঞ্চাশটির মতো মেশিন প্রস্তুত রয়েছে। বাকি পঞ্চাশটি প্রস্তুত হচ্ছে। প্রজেক্টর মেশিনগুলি জাপান থেকে আমদানির প্রক্রিয়া চলছে। সেগুলো দেশে আসতে সময় লাগবে দুই মাসের মতো।’
এই সুবিধা দেয়ার জন্য দুটি উপায়ে টাকা নেবে প্রতিষ্ঠানটি। তবে এখানেও মূল্য পরিশোধের চাপ থাকবে দর্শকদের ওপর। এখানেও আরামে থাকবেন হল মালিকেরা।
প্রজেক্টর, সার্ভার মেশিন ও পর্দা এই তিন ধরনের পণ্যের জন্য টিকিট প্রতি তিন টাকা করে নেয়া হবে। কেউ যদি শুধু একটি সেবা গ্রহণ করেন, সেক্ষেত্রে টিকিটি থেকে শুধু এক টাকা নেবে প্রতিষ্ঠানটি।
এই মাধ্যমে প্রযোজকরা বেঁচে যেতে পারছেন না পুরোপুরি। নতুন সিনেমার ক্ষেত্রে কিছু টাকা দিতে হচ্ছেই তাদের। ইয়াসির আরাফাত বলেন, ‘নতুন ছবির জন্য প্রযোজকের কাছ থেকে এককালীন পঞ্চাশ হাজার টাকা নেয়া হবে। পরবর্তীতে আর কোনো টাকা তাকে দিতে হবে না। পুরনো সিনেমা মুক্তি দিলে কোনো টাকা লাগবে না। তবে সব ক্ষেত্রেই টিকিট থেকে নির্ধারিত মূল্য কেটে রাখা হবে।’
বেশিরভাগ বড় প্রেক্ষাগৃহে জাজ মাল্টিমিডিয়ার মেশিন বসানো। সেখানে ছোট সিনেমা হলগুলো ডিজিটালাইজড করা নতুন প্রতিষ্ঠানের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জের। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সিনেমা হলকে উন্নত করতেই আমাদের এই পদক্ষেপ। সবকিছু একবারে হয় না। আমরা ধীরে ধীরে এগিয়ে যেতে চাই। আমাদের এই সুবিধা গ্রহণ করে যদি নিম্নমানের সিনেমা হলগুলো মেরুদন্ড সোজা করে দাঁড়াতে পারে তাহলে সেটাই হবে আমাদের বড় পাওয়া।’
সারাবাংলা/আরএসও/পিএ