চম্পা: অভিনেত্রী হতে না চেয়েও যিনি ছিলেন দেশের এক নম্বর নায়িকা
৫ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:১৮
তার কখনোই ইচ্ছে ছিলোনা অভিনেত্রী হওয়ার। চেয়েছিলেন নামজাদা মডেল হবেন তিনি। কিন্তু ভাগ্যের কি খেলা। অভিনেত্রী হয়েই পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জয় করে নিলেন তিনি। নাম তার চম্পা। পুরো নাম গুলশান আরা চম্পা।
৫ জানুয়ারি এই অভিনেত্রীর জন্মদিন।
আশির দশকে অভিনয়ের শুরু, শিবলী সাদিক পরিচালিত ‘তিন কন্যা’ সিনেমা দিয়েই রাজকীয় অভিষেক ঘটে তার। সঙ্গে ছিলেন অগ্রজ দুইবোন সুচন্দা এবং ববিতা। ‘তিন কন্যা’ তার প্রথম ছবি হলেও তার অভিনয় জগতে প্রবেশ ১৯৮১ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে আবদুল্লাহ আল মামুন রচিত ও প্রযোজিত ‘ডুব সাঁতার’ নামে একটি নাটকের মধ্য দিয়ে।
আশির দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে নব্বই দশকের প্রথমার্ধ পর্যন্ত বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রের এক নম্বর নায়িকা ছিলেন চম্পা। তিন কন্যার পরপরই প্রচন্ড সাফল্য আসে ‘সহযাত্রী’ এবং ‘ভেজা চোখ’ ছবিতেও। এর পর তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। সামাজিক, অ্যাকশন বা ফোক- সব ধরনের ছবিতেই সফলতা পান তিনি। দর্শকদের একে একে অসংখ্য জনপ্রিয় ও কালজয়ী সিনেমা উপহার দেন এ চিত্রনায়িকা। অসংখ্য ছবিতে বৈচিত্রময় চরিত্রে অভিনয় করে তৎকালীন সময়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন সেরা নায়িকাদের অন্যতম হিসেবে।
ওপার বাংলার খ্যাতিমান চলচ্চিত্র নির্মাতা গৌতম ঘোষের ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ ও ‘মনের মানুষ’ ছবিতে অভিনয় চম্পাকে একটি আলাদা স্থানে নিয়ে যায়। তার খ্যাতির সীমানা দেশ ছাড়িয়ে বিস্তৃত হয় বিদেশেও। তার পরিচিতি ছড়িয়ে পড়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের চলচ্চিত্র শিল্পেও।
এই গুণী শিল্পী সেরা অভিনেত্রী হিসেবে ১৯৯৩ সালে গৌতম ঘোষের ‘পদ্মা নদীর মাঝি’, ১৯৯৫ সালে শাহজাহান চৌধুরীর ‘উত্তরের খেপ’ ও ২০০০ সালে শেখ নেয়ামত আলীর ‘অন্যজীবন’ ছবির জন্য তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছেন। এছাড়াও সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী হিসেবে ২০০৫ সালে চাষী নজরুলের ‘শাস্তি’ এবং ২০০৮ সালে মুরাদ পারভেজের ‘চন্দ্রগ্রহণ’ ছবির জন্য আরও দুবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন তিনি। পেয়েছেন ‘জিয়া স্বর্ণপদক’ ও ‘শেরেবাংলা পদক’। ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ ছবিতে অভিনয়ের দক্ষতার জন্য পুরস্কৃত হয়েছিলেন ভারতেও। ‘শঙ্খনীল কারাগার’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য পেয়েছেন তাসখন্দ ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল পুরস্কার।
সারাবাংলা/এএসজি