Friday 10 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মারা গেছেন হুমায়রা হিমু

এন্টারটেইনমেন্ট করেসপনডেন্ট
২ নভেম্বর ২০২৩ ১৭:৫৯ | আপডেট: ২ নভেম্বর ২০২৩ ১৮:৪০

জনপ্রিয় অভিনেত্রী হুমায়রা হিমু মারা গিয়েছেন। তার মরদেহ বর্তমানে উত্তরার বাংলাদেশ মেডিকেল হাসপাতালে রাখা হয়েছে। তার মৃত্যুর খবরটি টেলিভিশন নাটক পরিচালকদের সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান সাগর সারাবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ধারণা করা হচ্ছে হিমু আত্মহত্যা করেছেন।

তার মৃত্যুকে ঘিরে তৈরি হয়েছে রহস্য। কেউ বলছে আত্মহত্যা, কেউ হত্যা। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এ বিষয়ে পুলিশ বা ডাক্তারের তরফ থেকে এ বিষয়ে কোনো নিশ্চিত বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

বিজ্ঞাপন

হুমাইরা হিমু ১৯৮৫ সালের ২৩ নভেম্বর লক্ষীপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ইস্পাহানি কলেজ থেকে এইচএসসি সম্পন্ন করেন। হিমু ইডেন মহিলা কলেজে ভর্তি হন এবং এ কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। মঞ্চনাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি প্রথম নাট্য জগতে প্রবেশ করেন।

ফ্রেঞ্চ নামক নাট্য দলের হয়ে তিনি অভিনয় করেন। তার মামা মূর্শেদ নাটকটিতে নির্দেশনা দিয়েছিলেন।

১৯৯৯ সালে এসএসসি পরীক্ষার পর ঢাকায় আসেন হিমু। প্রথমে ভর্তি হন নাগরিক নাট্যাঙ্গনে। এরপর কাজ করেন আরও কয়েকটি নাটকের দলে।

এরপর এক বড় ভাইয়ের পরামর্শে ফটোশুট করে বিভিন্ন বিজ্ঞাপনী সংস্থায় মডেলিংয়ের জন্য জমা দেন। তখন এইডস নিয়ে সচেতনতামূলক একটি বিজ্ঞাপনে কাজ করেন। পরে দেখা যায় আরও কয়েকটি বিজ্ঞাপনচিত্রে। একটি চায়ের বিজ্ঞাপনচিত্রে তাকে দেখার পর প্রথম হিমুকে নাটকে সুযোগ দেন নির্মাতা তাহের শিপন। নাটকের নাম ছিল ‘পি আই’। তার প্রথম সহশিল্পী ছিলেন প্রয়াত দিলীপ চক্রবর্তী।

২০০৫ সালে বিনোদন দুনিয়ায় কাজ শুরু করেন হুমায়রা হিমু। এই সময়ে তার আসল নাম হুমায়রা নুসরাত হিমু থেকে হোমায়রা হিমু হয়। তার এই নাম বদলের পেছনে রয়েছে অভিনেতা টনি ডায়েসের ভূমিকা। এ প্রসঙ্গে দেশ টিভিকে দেওয়া একই সাক্ষাৎকারে হিমু বলেছিলেন, ‘টনি ভাইয়ের সঙ্গে প্রথম একটা টেলিফিল্ম করি। উনি তখন আমাকে বলেন, “তুমি দুই অক্ষয়ের নাম দাও।” এর আগে আমি কেবল “হিমু” বলে পরিচয় দিতাম। তখন টনি ভাই বলেন, “পৃথিবীর যত বিখ্যাত মানুষ আছে সবার নাম দুই অক্ষয়ের।” এর পর থেকেই আমি হোমায়রা হিমু হয়ে যাই।’

বিজ্ঞাপন

হিমু যখন স্কুলের ছাত্রী, তখন তার স্কুলের এক বড় বোন শ্যাম্পুর বিজ্ঞাপন করেন। ঢাকা থেকে শুটিং করে স্কুলে ফেরার পর সবাই তাকে দেখতে আসেন। তখন তাকে দেখেই টিভিতে কাজ করার ইচ্ছা হয়। তবে ছোটবেলায় হিমুর ইচ্ছা ছিল এয়ার হোস্টেজ হওয়ার। কিন্তু ঘটনাচক্রে হয়ে ওঠেন অভিনেত্রী।

টিভি নাটকে অভিনয় শুরুর পর নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষায় তার অভিনয় দর্শকের মধ্যে সাড়া ফেলে। ‘সোনাঘাট’, ‘চেয়ারম্যান বাড়ি’, ‘বাটিঘর’, ‘শোনে না সে শোনে না’, ‘কমেডি-৪২০’, ‘চাপাবাজ’, ‘অ্যাকশান গোয়েন্দা’, ‘ছায়াবিবি’, ‘এক কাপ চা’, ‘এ কেমন প্রতিদান’, ‘হুলো বিড়াল’, ‘ছন্নছাড়া ৪২০’, ‘অ্যাম্বুলেন্স ডাক্তার’, ‘পাগলা প্রেমিক’ ইত্যাদি নাটকে দেখা গেছে তাকে।

২০১১ সালে মুক্তি পাওয়া ‘আমার বন্ধু রাশেদ’ দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় হিমুর। সিনেমাটিতে তরু আপা চরিত্রে দেখা যায় তাকে।

সারাবাংলা/এজেডএস

টপ নিউজ হুমায়রা হিমু

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর