হলিউডের দেড় লক্ষাধিক শিল্পী-কুশলীর ধর্মঘট
১৪ জুলাই ২০২৩ ১৫:৪১ | আপডেট: ১৪ জুলাই ২০২৩ ১৭:৪৫
বড় সম্প্রচার কোম্পানিগুলোর রাজস্ব ভাগাভাগিতে ন্যায্য হিস্যা ও বেতন বৃদ্ধিসহ নানা দাবিতে এবার ধর্মঘটে নেমেছেন হলিউডের অভিনয় শিল্পী ও চলচ্চিত্রের কলাকুশলীরা। হলিউডের অভিনেতা–অভিনেত্রী ও কলাকুশলীদের সংগঠন দ্য স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ডের (স্যাগ) প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার সদস্য আমেরিকান সময় বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকেই কর্মবিরতি পালন শুরু করেন।
অনলাইনে প্রকাশিত এসএজির এক নোটিশে বলা হয়, অভিনয়, নাচ ও গানের সঙ্গে সম্পৃক্ত শিল্পী, স্টান্ট পারফরমার এবং অ্যানিমেশন নির্মাতা ও ফিল্ম চিত্রগ্রহণকারী কর্মীদের ক্ষেত্র কর্মবিরতি পালন বাধ্যতামূলক। একই সঙ্গে চলচ্চিত্রের নির্মাণ ও প্রমোশনাল কার্যক্রমে যুক্ত অন্যান্য শিল্পীদের ক্ষেত্রেও এই আদেশ প্রয়োজ্য হবে।
মার্কিন সময় গত বুধবারেই অভিনয় শিল্পী ও চলচ্চিত্র নির্মাণে যুক্ত কলাকুশলীদের ধর্মঘটে যাওয়ার বিষয়টি প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায়। যখন স্ক্রিন অ্যাক্টর্স গিল্ড–আমেরিকান ফেডারেশন অব টেলিভিশন অ্যান্ড রেডিও আর্টিস্ট যেটা সংক্ষেপে ‘স্যাগ–আফট্রা’ হিসেবে পরিচিত, ঘোষণা দেয় বৃহৎ স্টুডিওগুলোর সঙ্গে তারা চুক্তিতে উপনীত হতে ব্যর্থ হয়েছে। পরে সংগঠনটির নেগোশিয়েটর কমিটির সদস্যদের সবাই ইউনিয়নকে ধর্মঘটের পক্ষে সুপারিশ করেন।
অন্যদিকে চিত্রনাট্যকারেরা কয়েক মাস আগেই ধর্মঘটে বসেছিলেন। এদিন ধর্মঘটী চিত্রনাট্যকারেরা নেটফ্লিক্সের হলিউডের অফিসের সামনে গিয়ে অভিনেতাদের সমর্থনে স্লোগান দেন।
বুধবার গভীর রাত পর্যন্ত একাধিক স্টুডিও-র কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক হয়েছে অভিনেতা ইউনিয়নের। কিন্তু ইউনিয়নের প্রতিটি দাবি মেনে নিতে পারেনি স্টুডিও কর্তৃপক্ষ।
অভিনেতাদের দাবি, তাদের বেতন বাড়াতে হবে। পাশাপাশি অনলাইন স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মগুলিকে জনপ্রিয়তা অনুযায়ী, ইনসেনটিভ দিতে হবে। আগে টেলিভিশনের জনপ্রিয় সিরিয়ালগুলি ভিউ অনুযায়ী অভিনেতাদের ইনসেনটিভ দিত। ইউনিয়নের অভিযোগ, নেটফ্লিক্স-সহ অন্যান্য অনলাইন স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মগুলি ভিউয়ের হিসেব পর্যন্ত দেয় না। ফলে কোনটি জনপ্রিয় হচ্ছে, তা বোঝাও যায় না। ইনসেনটিভও দেওয়া হয় না।
৬৩ বছর পর এভাবে হলিউড ইন্ডাস্ট্রি কার্যত বন্ধ হয়ে গেল। ১৯৬০ সালে শেষবার এমন ঘটনা ঘটেছিল। বস্তুত, স্ট্রাইক শুরু হওয়ার খবর পেয়ে লন্ডনে ওপেনহাইমারের প্রিমিয়ার শো ছেড়ে অভিনেতাদের বেরিয়ে যেতে দেখা হয়। হলিউডের সমস্ত স্তরের অভিনেতা এই ধর্মঘটে যোগ দিচ্ছেন বলে ইউনিয়ন দাবি করেছে।
ইউনিয়ন জানিয়েছে, এর ফলে একদিকে যেমন শুটিং বন্ধ থাকবে, অন্যদিকে বড় বড় ছবির প্রিমিয়ারে অভিনেতারা উপস্থিত হবেন না। ছবির প্রোমোশনেও তাদের দেখা যাবে না। এর অর্থ, বেশ কয়েকটি ছবি মুক্তি পেয়েও প্রোমোশনে যেতে পারবে না
সারাবাংলা/এজেডএস