‘পাঠান’ চালাতে হলে থাকতে হবে নারী টয়লেট
৪ মে ২০২৩ ১৯:১৯ | আপডেট: ৪ মে ২০২৩ ১৯:২২
শাহরুখ খানের ‘পাঠান’ বাংলাদেশে প্রদর্শনের জন্য বিনা কর্তনে সেন্সর ছাড়পত্র পাচ্ছে। ৪ মে সেন্সর বোর্ড ছবিটির জন্য বিশেষ শোয়ের আয়োজন করা হয়। সেখানেই সর্বসম্মতিক্রমে ছবিটিকে ছাড়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী সপ্তাহে ছবিটির আমদানিকারকের হাতে সেন্সর সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হবে। সেন্সর বোর্ডের কয়েকজন সদস্য সারাবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
৫ মে মুক্তির কথা থাকলেও এবারের ঈদে মুক্তি পাওয়া ৮ ছবির পরিচালকের অনুরোধে এক সপ্তাহ পিছিয়ে ১২ মে মুক্তি পাবে ছবিটি। তবে দেশের সকল সিনেমা হল মালিক চাইলে ছবিটি চালাতে পারবেন না।
একজন হল মালিক ‘পাঠান’ তার প্রতিষ্ঠানে চালাতে চাইলে মানতে হবে কয়েকটি শর্ত। এর মধ্য অন্যতম শর্ত হচ্ছে— নারী দর্শকদের জন্য থাকতে হবে আলাদা টয়লেট এবং সেটি ব্যবহার উপযোগী হতে হবে।
বাংলাদেশে শাহরুখ খানের ছবিটির আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান একশন কাট এন্টারটেইনমেন্টের কর্ণধার অনন্য মামুন এমনটাই জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘হিন্দি ছবি চালাতে হলে প্রজেকশন, সাউন্ড সিস্টেম, পর্দা— একটা মিনিমাম স্ট্যান্ডার্ডে থাকতে হবে। আবার থাকতে হবে ই-টিকেটিং সিস্টেম। যার কারণে আমরা ত্রিশটির বেশি হলে ছবিটি মুক্তি দিতে চাইছি না। যদিও আমাদের কাছে শতাধিক হল মালিক ছবিটি চালাতে চেয়েছেন। আর নারী দর্শকদের জন্য টয়লেট না থাকলেও দিতে চাইছি না।’
কারণ হিসেবে তিনি জানান, এ দেশে বিশাল পরিমাণে শাহরুখ খানের ভক্ত রয়েছে। আবার এর আশি শতাংশই নারী। এখন তারা যদি সুস্থ, সুন্দর পরিবেশ না পান তাহলে তো সিনেমা হলে আসবেন না। এজন্য তাদের জন্য মানসম্পন্ন টয়লেটের শর্ত।
সাফটা চুক্তির আওতায় সরকার গেল ১১ এপ্রিল ৫ শর্তে ২ বছরের জন্য ১৮টি হিন্দি ছবি আমদানির অনুমতি দিয়েছে। এর ফলে সিনেমা হল মালিকদের প্রায় আড়াই দশকের দাবি মেনে নিয়েছে সরকার। অবশ্য এর জন্য চলচ্চিত্রের ১৯ সংগঠনের কর্তাব্যক্তিদের হিন্দি ছবি আমদানিতে কোনো আপত্তি নেই এ মর্মে লিখিত দিতে হয়েছে।
সার্কভুক্ত দেশসমুহের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিকেই সংক্ষেপে এবং ইংরেজিতে সাফটা (SAFTA) বলা হয়। ২০০৪ সালের জানুয়ারি মাসে ইসলামাবাদে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশে হিন্দি ছবি সরকারি নিষেধাজ্ঞার কারণে সরাসরি আনা যায় না। তবে এ চুক্তির আওতায় চাইলেই আনা যায়। এ চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকেও একটি ছবি ভারতে মুক্তি পাওয়ার কথা।
২০১৯ সালেই বাংলাদেশ থেকে শাকিব খান অভিনীত ‘পাঙ্কু জামাই’ ছবিটি রফতানি করা হয়েছিলো। সেটির রফতানিকারক ছিলেন অনন্য মামুন। ‘পাঙ্কু জামাই’ রফতানির পর অনন্য মামুন আরেকটি ভারতীয় ছবি আমদানির অনুমতি পেয়েছিলেন। ২০২০ সালে সেটি আমদানির কথা ছিলো। কিন্তু সে সময় করোনা মহামারীর কারণে তিনি তা পারেননি। তাই গেল জানুয়ারিতে মামুন ‘পাঙ্কু জামাই’-এর বিনিময়ে ‘পাঠান’ আমদানির অনুমতি চেয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন।
২০১৮ সালের ১৬ জুন আবদুল মান্নান পরিচালিত ‘পাঙ্কু জামাই’ বাংলাদেশে মুক্তি পায়। ছবিটিতে শাকিবের বিপরীতে ছিলেন অপু বিশ্বাস। অন্যদিকে সিদ্ধার্থ আনন্দ পরিচালিত ‘পাঠান’-এ শাহরুখ খান ছাড়াও রয়েছেন দীপিকা পাড়ুকোন, জন আব্রাহাম। ক্যামিও হিসেবে আছেন সালমান খান। ২৫ জানুয়ারি মুক্তি পাওয়া ছবিটি রেকর্ড এক হাজার কোটি টাকা আয় করেছে।
আরও পড়ুন: বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যার পর ‘পাঠান’ নিয়ে সিদ্ধান্ত
মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় ‘পাঠান’ আমদানিকারক
সেন্সর পেলে এ শুক্রবারেই মুক্তি ‘পাঠান’!
বাংলা ছবিই ভালো চলবে, হিন্দি না: সোহান
‘পাঠান’ মুক্তি দুই সপ্তাহ পেছানোর অনুরোধ
এক সপ্তাহ পেছালো ‘পাঠান’ মুক্তি
সারাবাংলা/এজেডএস