ছেলের কাঁধে শেষযাত্রা কে কে’র
২ জুন ২০২২ ১৭:১৪ | আপডেট: ২ জুন ২০২২ ১৭:৩৩
গান গাইতে গাইতেই না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন বলিউডের বিখ্যাত গায়ক কৃষ্ণকুমার কুনাথ, ‘কে কে’ নামেই যিনি ভক্তকূলের কাছে পরিচিত ছিলেন। কে কে’র অকাল মৃত্যুর খবরে শোকস্তব্ধ ভক্তরা। মঙ্গলবার (৩১ মে) কলকাতায় নজরুল মঞ্চে পারফর্ম করবার ঘন্টাখানেকের মধ্যেই থেমে যায় কেকে-র হৃদস্পন্দন। গানে গানেই বিদায় নিয়েছেন কেকে, তবে গায়ককে ‘আলবিদা’ জানাতে গিয়ে মন কাঁদছে অনুরাগীদের।
মুম্বাইয়ে ভারসোভা শ্মশানে কেকে-র শেষকৃত্যে সম্পন্ন হল বৃহস্পতিবার (০২ জুন)। এদিন সকাল থেকেই গায়কের ভারসোভার বাড়িতে ছিল উপচে পড়া ভিড়। কে কে’র অন্তিম দর্শনের জন্য হাজির ছিলেন বলিউড সংগীত জগতের রথী-মহারথীরা। প্রাণের বন্ধুকে বিদায় জানাতে এদিন পৌঁছেছিলেন অভিজিৎ, শ্রেয়া ঘোষাল, শংকর মহাদেবনরা। মাত্র ৫৪ বছর বয়সেই কে কে’র সুর চিরতরে থেমে যাবে, তা কেউ বুঝতে পারেননি! এদিন সবার চোখই ছিল অশ্রুসজল।
এদিন দুপুর ১টার পর ছেলে নকুলের কাঁধে করে শেষবারের মতো ভারসোভার বাড়ি থেকে বের করা হয় ফুল-মালা-চন্দনে সাজানো কে কে’র দেহ। যেন গভীরঘুমের দেশে রয়েছেন গায়ক। তার মৃত্যু নিয়ে এত বিতর্ক, এত প্রশ্ন- কিন্তু তিনি এখন ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। ভারসোভা মহাশ্মশানে কে কে’র শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন ছেলে নকুল, হাজির ছিলেন মেয়ে তামারা এবং কে কে’র স্ত্রী জ্যোতি।
মঙ্গলবার (৩১ মে) কলকাতার নজরুল মঞ্চে উল্টোডাঙার গুরুদাস মহাবিদ্যালয়ের মঞ্চে গান গাইছিলেন কে কে। হঠাৎ অসুস্থবোধ করলে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে। চিকিৎসকরা জানান, ততক্ষণে পৃথিবীর মায়া কাটিয়েছেন তিনি।
কে কে’র জন্ম ও বেড়ে ওঠা দিল্লিতে। ১৯৯৯ সালে ‘পাল’ অ্যালবাম দিয়ে যাত্রা শুরু করেন তিনি। প্রথম অ্যালবামের ‘হাম রাহে ইয়া না রাহে কাল’ গানটি তুমুল জনপ্রিয়তা পায়। ওই বছরই হাম দিল দে চুকে সানাম সিনেমার ‘তাড়াপ তাড়াপ’ গানটি তাকে রাতারাতি খ্যাতি এনে দেয়। এরপর আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি। জারা সা দিলমে, তুহি মেরি সাব হে, ক্যায়া মুঝে পেয়ার হে, আলবিদা, পিয়া আয়ে না’র মতো একের পর এক সব গান দিয়ে মাতিয়ে রেখেছিলেন বলিউডকে।
ভক্তরা যেন এখনও কাটিয়েই উঠতে পারছেন না এই মৃত্যুশোক। মনের ভিতরে প্রেম-ভালোবাসা-বিরহ ঢুকিয়ে দেওয়া মানুষটাই আর নেই। কে কে চলে গিয়েছেন। যেতে যেতে তার গানটি গিয়েছেন ফেলে। সেই গান হারাবে না।
সারাবাংলা/এএসজি