Friday 17 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

৮৫’র সনজীদা খাতুনকে বাংলা একাডেমির সংবর্ধনা


৪ এপ্রিল ২০১৮ ১৭:১১ | আপডেট: ৪ এপ্রিল ২০১৮ ১৭:২৪

এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক ।।

বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব সনজীদা খাতুন। তিনি একাধারে রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী, লেখক, গবেষক, সংগঠক, সঙ্গীতজ্ঞ এবং শিক্ষক, দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানটের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং বর্তমান সভাপতি। এছাড়া তিনি জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদেরও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। প্রচলিত ধারার বাইরের ভিন্নধর্মী শিশুশিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নালন্দা’রও সভাপতি তিনি।

বিজ্ঞাপন

৪ এপ্রিল ৮৫ বছরে পা দিলেন বর্ষীয়ান এই সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। এ উপলক্ষে বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে তাঁকে দেয়া হয় উষ্ণ সংবর্ধনা। একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, বাংলা একাডেমি’র মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান, ইমেরিটাস অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম, রামেন্দু মজুমদার, বিশিষ্ট রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাসহ আরও অনেকে।

শিল্পী পাপিয়া সারোয়ারের কণ্ঠে ‘দাও হে হৃদয় ভরে’ গানের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে সনজীদা খাতুনের উদ্দেশ্যে শংসাবচন পাঠ করেন ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। সনজীদা খাতুনকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।

অনুষ্ঠানে সনজীদা খাতুন সম্পর্কে বলতে গিয়ে বক্তারা বলেন, বাঙালি সংস্কৃতিচর্চা সনজীদা খাতুনের সত্তার অবিচ্ছেদ্য অংশ। তিনি একাধারে সংগীতশিল্পী, সংগীত-শিক্ষক, কবিতা ও গানের বিশ্লেষক, তুলনাহীন সংগঠক। নিজ নীতি ও আদর্শে অবিচল থেকে তিনি সংস্কৃতিসাধনার অবিস্মরণীয় লড়াই করে গেছেন।

বিজ্ঞাপন

সংবর্ধনার উত্তরে সনজীদা খাতুন বলেন, আজ যেভাবে আমাকে ভালোবাসা জানানো হলো তাতে আমি অভিভূত। জীবনচলার পথে আমি দ্বন্দ্ব ও ছন্দ উভয়কে স্বীকার করে নিয়েছি। আমি মনে করি জীবনের মার আমাদের যেমন পর্যুদস্ত করে তেমনি আবার সেই মার আমাদের জাগিয়েও তোলে।

সনজীদা খাতুন শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে স্বকণ্ঠে ‘না বাঁচাবে আমায় যদি’ গানটি পরিবেশন করেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে আরও গান করেন শিল্পী অদিতি মহসিন ও লাইসা আহমেদ লিসা।

সংর্বধনা উপলক্ষে সংস্কৃতিসাধক সনজীদা খাতুন শীর্ষক একটি স্মারকপত্রও প্রকাশ করে বাংলা একাডেমি।

সারাবাংলা/টিএস/পিএম

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর