‘একসঙ্গে, হাতে হাত ধরে, প্রান্তরের শেষ রেখার দিকে ছুটব’
১ মে ২০২১ ১৩:৩৮
করোনাকালে খুব একটা কাজ করেননি বাংলাদেশ ও কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। চেষ্টা করছেন করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার। এ লকডাউনে রয়েছেন বাসায়। চারদিকে করোনার কারণে প্রচুর নেগেটিভ খবর। সবমিলিয়ে মন খারাপ এ অভিনেত্রীর। তবুও তিনি আশা করছেন একদিন এ মহামারী মুক্ত হবে পৃথিবী। আবার প্রাণ ভরে নিশ্বাস নিতে পারবো আমরা। তাই তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, ‘একসঙ্গে, হাতে হাত ধরে, প্রান্তরের শেষ রেখার দিকে ছুটব।’
এ আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন জয়া তার ফেসবুক ওয়ালে। তিনি বলছেন, ‘বন্ধুরা, মন শক্ত করে বাঁধো। সময় আসছে।’
জয়া লিখেন, ‘মনটাকে জাগিয়ে রাখা কী যে কঠিন মনে হচ্ছে আজকাল। এত ক্ষয়, এত মৃত্যু, এত হাহাকার! চারদিকে যেন শুধু একটাই চিহ্ন, বিয়োগের। আমাদের কত না আপনজন উষ্ণ হাতের মুঠো ছেড়ে বিদায় নিচ্ছেন। যাঁরা আমাদের আনন্দের সময়ের বন্ধু, বেদনার সময়ের আশ্রয়, বিপদের সময়ের ভরসা, তাঁরা চলে যাচ্ছেন একে একে। চলে গেলেন সৌমিত্র কাকুর মতো মেঘ–সমান উঁচু একজন মানুষ, চলে গেলেন আরও কত কত কবি, লেখক, শিল্পী। ঢাকায়, কলকাতায় একই অন্ধকার ছবি। সমস্ত ভারতেই করোনার ভয়ংকর থাবায় মানুষ বড় নিঃসহায়।’
তিনি লিখেন, ‘মন খারাপ করা নিউজ ফিডের সোশ্যাল মিডিয়া যেন মৃত্যুর প্রান্তর। খবরের কাগজ হাতে নেওয়ার আগেই বুক ধক করে ওঠে, আজ জানি আবার কে! কলকাতায় আমার বন্ধু সহকর্মীদের কথা ভাবি।কতদিন দেখা হয়নি। অসম্ভব কষ্টের একটা সময় পার করছে তারা। একটা করে মন্দ খবর শুনি, আর আমার মনটা নিভে আসে একটু একটু করে। যাঁদের সঙ্গে এতদিন ধরে কাজ করছি কলকাতায়, পরিচালক–শিল্পী–কুশলী–সহযোগী, শুনি তাঁদের কষ্ট, অসুস্থতা আর বিদায়ের খবর। আমার আলো কমে যায়।’
সবশেষ তিনি লিখেন, ‘আমার কেবলই মঙ্গল কামনা। আলো ফিরে আসুক সবার জীবনে। হতাশার এই অন্ধকারে মন যেন পথ না হারায়। তোমার মুক্তি আর আমার মুক্তি আলোয় আলোয়, এই আঁধারে। বন্ধুরা, মন শক্ত করে বাঁধো। সময় আসছে। আবার আমরা একসঙ্গে, হাতে হাত ধরে, প্রান্তরের শেষ রেখার দিকে ছুটব। ওই রেখাটা পার হতে এখনো যে বাকি।’
সারাবাংলা/এজেডএস