মৃত্যুর আগে পুত্র বাবিলকে কি বলেছিলেন ইরফান?
২৮ এপ্রিল ২০২১ ১১:৩১ | আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২১ ১১:৩৩
২০২০ সালে বলিউডের মৃত্যুর প্রথম পথযাত্রি ইরফান খান। মরণব্যাধি ক্যান্সারের কাছে হেরে না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন বলিউডের অন্যতম সেরা এই অভিনেতা। ২৯ এপ্রিল মাত্র ৫৪ বছরে এ অভিনেতার মৃত্যুতে পুরো বলিউড থমকে যায়। এক বছর পেরিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু এখনো মৃত্যু শোক কাটিয়ে উঠতে পারেনি অনেকেই। অভিনেতার মৃত্যুবার্ষিকীতে ইরফান-পুত্র বাবিল জানালেন মৃত্যুর আগে তাকে কাছে টেনে ইরফান বলেছিলেন, তিনি আর বাঁচবেন না। মৃত্যুশয্যায় তার ‘বাবার’ বলা শেষ কিছু কথার মধ্যে যা অন্যতম ছিল বলেই জানিয়েছেন বাবিল।
সম্প্রতি দেওয়া ভারতীয় গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাবিল আরও জানান যে ইরফানের মৃত্যুর দু’তিনদিন আগে হাসপাতালে গিয়েছিলেন তিনি। ধীরে ধীরে তখন জ্ঞান হারাচ্ছেন মৃত্যুমুখী ইরফান। এরপর ইশারায় বাবিলকে ডেকে হাসিমুখে, ধীর স্বরে তিনি বলেন, ‘আমার যাওয়ার সময় হয়ে এসেছে এবার’। যা শুনে তৎক্ষণাৎ মাথা ঝাঁকিয়ে প্রতিবাদ করে ওঠে ইরফান-পুত্র। বাবিলের কথায়, ‘আমার মুখে একথা শোনার পর ফের একবার মুখে হাসি ফুটিয়ে আস্তে আস্তে ঘুমিয়ে পড়েন বাবা।’
ওই সাক্ষাৎকারে বাবিলের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তার মা সুতপা সিকদারও। স্বামীর ব্যাপারে স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে ইরফান-স্ত্রী জানান, ‘ইরফানের অন্যতম গুণ ছিল যে উনি মিথ্যা কথা বলতেন না। কোনওরকম ভণিতা করতেন না। যদি রেগে যেতেন সেটা যতটা সত্যিভাবে প্রকাশ করতেন আবার যখন ভালোবাসতেন কোনও কিছু সেটাও উচ্চঃস্বরে খোলাখুলি প্রকাশ করতেন!’
মৃত্যুর আগে, ২০১৮ সালের মার্চ মাসে ইরফান জানিয়েছিলেন চিকিৎসার জন্য অভিনয় থেকে বিরতি নিচ্ছেন। কারণটি জানা গিয়েছিল অল্প কয়েকদিনেই। নিউরো এন্ডোক্রিন টিউমার বাসা বেঁধেছে ইরফান খানের শরীরে। চিকিৎসার জন্য দীর্ঘদিন বিদেশে ছিলেন। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মুম্বাই ফিরেছিলেন। তারপর ২৯ এপ্রিল সব শেষ। কোলন ইনফেকশনই কাল হল। চলমান চিত্র হারাল প্রিয় এক অভিনেতাকে। এখনও সিনেপ্রেমীদের কাছে ইরফান খান মানেই অভিনয়ের উজ্জ্বল উদাহরণ। গত বছর ইরফানের মৃত্যুর কিছুদিন পর থেকেই তার স্ত্রী ও পুত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় এই প্রয়াত জনপ্রিয় অভিনেতার বিভিন্ন অদেখা ছবি যেমন পোস্ট করে আসছেন, তেমনই ইরফানের বিষয়ে অজানা নানান ঘটনা কিংবা তাদের স্মৃতি ভাগ করে নিচ্ছেন।
ইরফান খান ইরফান পুত্র বাবিল ইরফান স্ত্রী সুতপা বাবিল খান সুতপা শিকদার