সিনেমা হলের জন্য হাজার কোটির তহবিল, সর্বোচ্চ ঋণ ৫ কোটি টাকা
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৮:৩৮ | আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৮:৫৮
গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে হুট করে জানা যায় সিনেমা হলের জন্য সরকারের তরফ থেকে তহবিল আসছে। ৫ অক্টোবর তথ্যমন্ত্রী জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ তহবিল গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। যার পরিমাণ ১ হাজার কোটি টাকা। অবশেষে তহবিলটি গঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ তহবিল গঠনের কথা জানায়।
প্রজ্ঞাপনে জানা হয়, এ তহবিলের নাম হবে ‘সিনেমা হল মালিকদের অনুকূলে মেয়াদী ঋণ/বিনিয়োগ সুবিধা প্রধানের জন্য পুনঃঅর্থায়ন স্কীম’। এ অর্থ বিভিন্ন ব্যাংকের মাধ্যমে দেওয়া হবে। ব্যাংক কোম্পানী আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হয়।
তহবিলের অর্থ ব্যয় করা যাবে, বিদ্যমান সিনেমা হল সংস্কার, আধুনিকায়ন ও এতদসংশ্লিষ্ট মেশিনারি/যন্ত্রাংশ/প্রযুক্তি ক্রয় এবং নতুন সিনেমা হল নির্মাণের জন্য। বিভিন্ন শর্ত পালন সাপেক্ষে বিভিন্ন শপিং কমপ্লেক্সে বিদ্যমান সিনেমা হলসহ নতুনতাবে নির্মিতব্য সিনেমা হলগুলোও এ ঋণ সুবিধা প্রাপ্য হবে।
১ হাজার কোটি টাকার মধ্যে প্রথম পর্যায়ে দেওয়া হবে ৫০০ কোটি টাকা। এ টাকা সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত হবার পর দ্বিতীয় পর্যায়ে ৫০০ কোটি বিতরণযোগ্য হবে বলে জানানো হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।
কোনোভাবে প্রতিটি সিনেমা হলের বিপরীতে ৫ কোটি টাকার অধিক ঋণ পাওয়া যাবে না। মেট্রোপলিটন এলাকায় সুদের হার হবে ৫ শতাংশ এবং এর বাইরের শহরে এর পরিমাণ হবে সাড়ে ৪ শতাংশ।
ঋণের পরিশোধের মেয়াদ আট বছর। গ্রহিতা প্রথম এক বছর গ্রেড পিরিয়ড হিসেবে পাবেন অর্থাৎ প্রথম বছর তাকে কোনো অর্থ পরিশোধ করতে হবে না। বাকি সাত বছরে সুদসহ ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে ঋণ পরিশোধ করতে হবে। এ তহবিল থেকে ঋণ সুবিধার জন্য আবেদন করা যাবে আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত।
সিনেমা হল সংস্কার, আধুনিকায়ন ও এতদসংশ্লিষ্ট মেশিনারি/যন্ত্রাংশ/প্রযুক্তি ক্রয় এবং নতুন সিনেমা হল নির্মাণ ব্যতীত অন্য কোন আতে ব্যবহৃত হলে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক সে পরিমাণ অর্থের উপর নির্ধারিত সুদ/মুনাফা হারের অতিরিক্ত দুই শতাংশ অর্থ সুদ/মুনাফাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের কাছ থেকে এককালীন আদায় করা হবে।
সারাবাংলা/এজেডএস