নিঃশব্দে ঘুমের মধ্যেই বিদায় নিলেন ‘জেমস বন্ড’ শন কনারি
৩১ অক্টোবর ২০২০ ২০:৩৭ | আপডেট: ১ নভেম্বর ২০২০ ০১:৪৯
নিঃশব্দে ঘুমের মধ্যেই বিদায় নিলেন সর্বকালের সেরা জেমস বন্ড শন কনারি। শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) রাতে ক্যারিবিয়ান দ্বীপরাষ্ট্র বাহামার রাজধানী নাসাউতে নিজের বাড়িতেই মারা যান তিনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে এ খবর জানিয়েছেন তার ছেলে জ্যাসন কনারি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় ভুগছিলেন শন কনারি।
বিখ্যাত ব্রিটিশ লেখক ইয়ান ফ্লেমিংয়ের সৃষ্ট এই অনবদ্য চরিত্র জেমস বন্ড চরিত্রে সিনেমার পর্দায় যাকে সর্বপ্রথম দেখা গিয়েছিল এবং যাকে এখনও সেরা হিসেবে বিবেচনা করা হয়, তিনি শন কনারি। জেমস বন্ড সিরিজের মোট সাতটি সিনেমায় বন্ড চরিত্রে অভিনয় করেন শন কনারি। ‘ড. নো’ (১৯৬২), ‘ফ্রম রাশিয়া উইথ লাভ’ (১৯৬৩), ‘গোল্ডফিঙ্গার’ (১৯৬৪), ‘থান্ডারবল’ (১৯৬৫) এবং ‘ইউ অনলি লাইভ টুয়াইস’ (১৯৬৭) নামে প্রথম পাঁচটি সিনেমায় গুপ্তচর জেমস বন্ড হিসেবে দর্শক পেয়েছিল শন কনারিকে। এরপর ‘ডায়মন্ডস আর ফরএভার’ (১৯৭১) এবং ‘নেভার সে নেভার অ্যাগেইন’ (১৯৮৩) সিনেমায় আবার বন্ডের ভূমিকায় অভিনয় করেন কনারি। ১৯৮৮ সালে তিনি অস্কার পান।
খুব সাধারণ এক পরিবারে জন্ম শন কনারির। বাবা একটি ফ্যাক্টরিতে কাজ করতেন এবং লরি চালাতেন। অল্প বয়সেই কাজে যোগ দিতে হয়েছে শন কনারিকে। তার কর্মজীবন শুরু হয় দুধ বিক্রির মাধ্যমে। এডিনবার্গে তিনি ঘুরে ঘুরে দুধ বিক্রি করতেন। এরপর নেভিতে যোগ দেন। কিন্তু সে চাকরি হারান তিনি। এরপর বাবার মতো লরি চালিয়েছেন, লাইফগার্ডের চাকরি করেছেন, দৈনিক মজুরিতে শ্রমিকের কাজও করেছেন শন কনারি।
পঞ্চাশের দশকে শুরু হয় শন কনারির অভিনয় ক্যারিয়ার। ১৯৫১ সালে তিনি আয়ের আশায় ‘কিংস থিয়েটার’-এর ব্যাকস্টেজে সহযোগিতার কাজ করতেন । বডি বিল্ডিংয়ের সুবাদে ১৯৫৪ সালের দিকে ‘সাউথ প্যাসিফিক’ মিউজিক্যালে কাজের সুযোগ পান শন কনারি। এরপর ধীরে ধীরে থিয়েটারের প্রতি আগ্রহ বাড়ে শন কনারির। পাশাপাশি সুযোগ পান সিনেমায়। তবে সেটা এক্সট্রা আর্টিস্ট হিসেবে। ১৯৫৪ সালে ‘লিল্যাকস ইন দ্য স্প্রিং’-এ তিনি খুব ছোট একটি চরিত্রে অভিনয় করেন। শন কনারি উল্লেখযোগ্য চরিত্রে প্রথম অভিনয় করেন ১৯৫৭ সালে ‘নো রোড ব্যাক’ সিনেমায়। ১৯৬২ সালে জেমস বন্ড নিয়ে প্রথম সিনেমা নির্মিত হয়। ‘ড. নো’ সিনেমায় ০০৭ তথা জেমস বন্ডের রূপে হাজির হন শন কনারি। এরপর থেকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।