কলকাতার নাট্যোৎসবে বাংলাদেশের ‘আষাঢ়স্য প্রথম দিবসে’
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৯:৫৫ | আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ২১:৪৩
‘আষাঢ়স্য প্রথম দিবসে’ নিয়ে এবার কলকাতায় যাচ্ছে ঢাকার নতুন নাট্য সংগঠন থিয়েটার ফ্যাক্টরি। আলোচিত এই নাটকের পঞ্চদশ মঞ্চায়ন হবে কলকাতার তপন থিয়েটারের মঞ্চে। আগামী বুধবার (২৬ ফেব্ররুয়ারি) কলকাতার খ্যাতিমান নাট্য সংগঠন অনীক আয়োজিত ‘দ্বাবিংশ গঙ্গা যমুনা নাট্যোৎসব’র উদ্বোধনী সন্ধ্যায় প্রদর্শিত হবে নাটকটি।
কলকাতায় ‘আষাঢ়স্য প্রথম দিবসে’র প্রদর্শনীর ব্যাপারে বেশ উৎসাহ প্রকাশ করে থিয়েটার ফ্যাক্টরির প্রধান কারিগর অলোক বসু বলেন, ‘কলকাতার প্রদর্শনীটি আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উৎসব। গত ২২ বছর ধরে এ উৎসবটি আয়োজিত হচ্ছে। আমরা বাংলাদেশের নাটক ও বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে যাচ্ছি কলকাতায়। একটু টেনশনেও আছি, কারণ আমাদের নাটকটি নিয়ে কলকাতার দর্শকদের মাঝে এরই মধ্যে যে আগ্রহ লক্ষ্য করেছি, তাদের সেই প্রত্যাশা পূরণের চাপ তো রয়েছেই। তবে আমরা আশাবাদী, সেই প্রত্যাশা পূরণ করেই আমরা সফল হব।’
‘আষাঢ়স্য প্রথম দিবসে’ নাটকের আখ্যান রচিত হয়েছে কবি কালিদাসকে কেন্দ্র করে। তবে এটি কালিদাসের জীবনী নয়। এ নাটকে মল্লিকা এক অনিবার্য চরিত্র। কালিদাস আর মল্লিকার জীবনের নানা মর্মস্পর্শী ঘটনা নিয়ে এই নাটক। প্রকৃতি ও প্রেম কিভাবে হাত ধরাধরি করে চলে, প্রেম কীভাবে শিল্পসৃষ্টির রসদ জোগান দেয়, প্রেম কত আদরে-যতনে-অপেক্ষায়-উপেক্ষায় ধ্রুবতারার মতো জেগে থাকে জীবনের আঙিনায়— এমন অনেক গহন-অবগাহনের ডাক পাঠায় এ নাটকে। আলোকিত হয় শিল্পীর সঙ্গে রাষ্ট্রের সম্পর্কের বহু জানা-অজানা দিক।
ক্ষমতার সঙ্গে সৃজনশীলতার যে দ্বন্দ্ব এবং সেই দ্বন্দ্ব থেকে নিজেকে মুক্ত করার চেষ্টা, কবিতার কাছেই কালিদাসের নিজেকে উৎসর্গ করার আগ্রহ— তা অত্যন্ত হৃদয়স্পর্শীভাবে উঠে এসেছে এ নাটকে। এ নাটকে কবি কালিদাসকে দেখা যাবে এক ভিন্ন আলোয়। আর সেই আলোক বর্তিকাটি বয়ে বেড়ায় মল্লিকা। এটি কালিদাসের জীবনীনাট্য নয়, বরং কালিদাস আর মল্লিকার প্রেমে উত্তাপ-অনুতাপ, অপেক্ষা-উপেক্ষার আখ্যান। ‘আষাঢ়স্য প্রথম দিবসে’ নাটকটি রচনা করেছেন মোহন রাকেশ। অনুবাদ করেছেন অংশুমান ভৌমিক। নিদের্শনা দিয়েছেন অলোক বসু।
এ নাটকে অভিনয় করেছেন সঞ্জিতা শারমীন, শামসুন নাহার বিউটি, রামিজ রাজু, সুরভী রায়, হাসানুজ্জামান খান, আর কে এম মোহ্সেন, মিশাল সমাপ্ত, অলোক বসু, শারমীন মাসরুরা খানম ও বৃষ্টি। আলোক পরিকল্পনায় করেছেন ঠান্ডু রায়হান। মঞ্চ পরিকল্পনায় কামালউদ্দিন কবির। সংগীত, পোশাক ও দ্রব্যসামগ্রী পরিকল্পনা করেছেন যথাক্রমে রামিজ রাজু, মহসিনা আক্তার ও শামসুন নাহার বিউটি এবং কোরিওগ্রাফি করেছেন আমিনুল আশরাফ।
অলোক বসু আষাঢ়স্য প্রথম দিবসে থিয়েটার ফ্যাক্টরি দ্বাবিংশ গঙ্গা যমুনা নাট্যোৎসব