Monday 06 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ফারুকীর ফ্রেম, চঞ্চলের কণ্ঠ!


৮ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৭:৪৮ | আপডেট: ৮ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৮:২৬

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে একাত্তরের ষোল ডিসেম্বর। ১৯৫৬-তে রাষ্ট্রভাষা বাংলার স্বীকৃতি আর ’৬৬-র ছয় দফা আন্দোলন। এই দীর্ঘ সময় উঠে এলো এক মিনিটে। আর ইতিহাসের অলিগলি থেকে দর্শকদেরকে আরেকবার ঘুরিয়ে আনলেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। কথা হচ্ছে তার নতুন বিজ্ঞাপনচিত্র প্রসঙ্গে। কথা চলছে চঞ্চল চৌধুরীকে ঘিরে।

ফারুকী-চঞ্চল আর বিজ্ঞাপনচিত্র- এ তিনটি একসূত্রে গাঁথলেই ফিরে আসে ২০০৪ সাল। ওই বছর গ্রামীণফোনের বিজ্ঞাপনচিত্র ‘মা’ দিয়ে যে চঞ্চলের আবির্ভাব, ২০১৭-তে সেই চঞ্চল এবং ফারুকী- দু’জনেই প্রতিষ্ঠিত। তাই যখন তারা কোনো কাজের প্রয়োজনে, স্বপ্ন বাস্তবায়নের প্রয়োজনে একত্র হন; প্রত্যাশার চাপ থাকে বেশি। সেটা উৎরে গেলেই সাফল্য এবং স্বস্তি।

নতুন বিজ্ঞাপনচিত্র রবির বিজয়ের ইতিহাসে তারা আরেকবার সেটা করে দেখালেন। যদিও এতে চঞ্চলকে দেখা যায়নি, তিনি ছিলেন শুধু কণ্ঠ নিয়ে; তবুও সবকিছু ছাপিয়ে চঞ্চলের কণ্ঠই প্রধান নায়ক হয়ে উঠেছে। আবু জাফর ওবায়দুল্লাহর ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ থেকে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি লাইন ভয়েসওভার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে এতে। চঞ্চল চৌধুরীর কণ্ঠে এ কবিতা পেয়েছে অন্যমাত্রা, অন্যভাবনা।

ফারুকী বলছেন, ‘শুটিংয়ের পর ভাবছিলাম কবিতায় ভয়েসটা কার হবে? যারা আবৃত্তি করেন তাদের কাছে যেতে চাইনি। আমাদের কাছে আবৃত্তির চেয়ে আবেগটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। যেন আবেগটা তৈরি হয়। আমার কাছে মনে হয়েছে চঞ্চলের ভয়েস অনেক ইমোশনাল এবং সে অনেক ইমোশন দিয়ে অভিনয় করে।’

প্রস্তুতি ছিলো মাত্র সাত দিনের। মাথায় ছিলো চ্যালেঞ্জ। এ প্রসঙ্গে ফারুকীর বয়ান, ‘বায়ান্ন, একাত্তর এগুলো এতোবার দেখেছি পর্দায়! আরেকবার যদি একই দৃশ্য দেখাই তাহলে যাদেরকে দেখাতে চাই, সেই নতুন প্রজন্ম দেখতে আগ্রহবোধ করবে না। ফলে নতুন ভাবনা জাগানো, নতুন প্রাণ সঞ্চার করা ছিলো বড় চ্যালেঞ্জ। একইসঙ্গে ইতিহাসকে রিক্রিয়েট করতে গিয়ে যেন এটা ক্লিশে না হয়ে যায়- সেদিকেও খেয়াল ছিলো।’

বিজ্ঞাপন

চঞ্চল বলছেন, ‘গর্ব হচ্ছে এ রকম একটি কাজের সঙ্গে থাকতে পারলাম।’

সারাবাংলা/কেবিএন/পিএ

চঞ্চল ফারুকী বিজ্ঞাপনচিত্র

বিজ্ঞাপন

চলে গেলেন প্রবীর মিত্র
৫ জানুয়ারি ২০২৫ ২৩:৪২

আরো

সম্পর্কিত খবর