Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ফাদার রিগানকে নিয়ে হচ্ছে ছবি


৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৪:৩৩ | আপডেট: ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৪:৩৫

বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননাপ্রাপ্ত ইতালিয়ান নাগরিক ফাদার মারিনো রিগানের ঘটনাবহুল জীবনকে আখ্যান করে নির্মিত ‘দ্য ফাদার; এন আনটোল্ড স্টোরি’। কথাসাহিত্যিক শাহাদুজ্জামান এর চিত্রনাট্যে চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করছেন হেমন্ত সাদীক। গতকাল ৫ ফেব্রুয়ারি ফাদারের ৯৫ তম জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষ্যে চলচ্চিত্রটির কলাকুশলী ও ফাদার রিগানের ঘনিষ্ঠজনদের নিয়ে একটি অনাড়ম্বর স্মরণানুষ্ঠানের আয়োজন করে চলচ্চিত্র সংসদ সিনেমা বাংলাদেশ ও ঢাকাস্থ ইএমকে সেন্টার।

বিজ্ঞাপন

সাবেক সচিব ড. নমিতা হালদার এনডিসি’র স্মৃতিচারণার মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। একে একে আলোচনায় অংশ নেন ইতালিয়ান দূতাবাসের উপ-প্রধান গিসেপে সেমেন্জা, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত বীরপ্রতীক লে. কর্নেল কাজী সাজ্জাদ জহির, অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব ড. মোহাম্মদ আলী খান এনডিসি, খুলনা ধর্মপ্রদেশের প্রদেশপাল বিশপ জেমস রমেন বৈরাগী, প্রখ্যাত নৃত্যশিল্পী শামীম আরা নীপা, সিআইডি খুলনা রেঞ্জের সাবেক ডেপুটি কমিশনার কামরুল ইসলাম, বরেণ্য গীতিকবি শহীদুল্লাহ ফরায়জী, বিআইএসি’র পরিচালক আকমল আজাদ, ক্যাথলিক বিশপস্ কনফারেন্স অব বাংলাদেশ এর ম্যানেজার সুকুমার মল্লিক, ফাদার রিগান শিক্ষা উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সুভাষ বিশ্বাস, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এসএম তানভীর আহমেদ, ছবিটির বাংলাদেশ অংশের অন্যতম নির্বাহী প্রযোজক লিজা আসমা, নির্মাতা হেমন্ত সাদীক প্রমুখ।

বিজ্ঞাপন

 

ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে ইতালি থেকে যুক্ত হন ফাদারের তিন বোন আনুনসিয়েত্তা, তেরেজা, মারিয়া লুইসা আর বোনের মেয়ে আলেজান্দ্রা জানিন। স্মৃতিচারণ শেষে কেক কেটে জন্মদিন উদযাপন করা হয়। ফাদার রিগানের জীবন ও কর্ম অবলম্বনে নির্মিত একটি তথ্যচিত্রের প্রদর্শণীর মধ্য দিয়ে আয়োজনের সমাপ্তি ঘটে।

প্রসঙ্গত, ফাদার রিগানই প্রথম ব্যক্তি, যিনি বাংলা সাহিত্যের গুরুত্বপূর্ণ অর্ধশতাধিত বই সরাসরি বাংলা থেকে ইতালিয়ান ভাষায় অনুবাদ করেছেন। অনুবাদ করেছেন লালনের ৩৫০ টি গানও। একজন দেশপ্রেমিক বাঙালীর মতো যুদ্ধপীড়িত সাধারণ মানুষ ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় ও চিকিৎসা দিয়েছেন। মানবসেবা ও সৃজনশীল কর্মকান্ডে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার তাঁকে প্রদান করেছে বাংলাদেশের সম্মানসূচক নাগরিকত্ব। মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অনন্য সাধারণ অবদানের জন্য বাঙালি জাতির শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার নিদর্শনস্বরূপ ২০১২ সালে তাঁকে দেয়া হয় “মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা”।

তার উদ্যোগে ইতালিতে একাধিক বাংলা নাটক ও নৃত্যনাট্য মঞ্চস্থ হয়েছে। রবীন্দ্রনাথের নামে ইতালির একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের নামকরণ করেছেন তিনি। মংলা, বাগেরহাট, খুলনা, যশোরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গড়ে তুলেছেন ১৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানের দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যবস্থা করেছেন বৃত্তিরও। দুঃস্থ নারীদের কর্মসংস্থানের জন্য গড়েছেন সেলাই কেন্দ্র।

ফাদার রিগান বার্ধক্যজনিত কারণে ২০১৭ সালের ১৯ অক্টোবর ৯২ বছর বয়সে ভিসেনজায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার শেষ ইচ্ছে অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় তাঁকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হয় এবং ২১ অক্টোবর ২০১৮ তে মংলার শেলাবুনিয়ায় সমাহিত করা হয়।

দ্য ফাদার; এন আনটোল্ড স্টোরি শাহাদুজ্জামান

বিজ্ঞাপন

রিশাদ-জাহানদাদে কুপোকাত সিলেট
৭ জানুয়ারি ২০২৫ ২০:২১

আরো

সম্পর্কিত খবর