Wednesday 08 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘ঝান্ডির গান’ ও ‘সাইদুলের কিচ্ছা’য় জমজমাট সাংস্কৃতিক উৎসব


২০ জানুয়ারি ২০২০ ০৯:৩০ | আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২০ ২২:০৩

জমজমাট আয়োজনে চলছে ‘বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসব ২০২০’। জাতীয় সংস্কৃতি ও কৃষ্টির উন্নয়ন, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও প্রসারের মাধ্যমে শিল্প-সংস্কৃতি ঋদ্ধ সৃজনশীল মানবিক বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি বহুমূখী সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করে চলেছে। তারই ধারাবাহিকতায় দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজন করা হয়েছে ২১ দিনব্যাপী এই উৎসবের।

৩ থেকে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত ২১ দিনের এই উৎসবে প্রতিদিনই থাকছে ৩টি জেলা, ৩টি উপজেলার সাথে জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী ও সংগঠনের পরিবেশনা। এছাড়াও একাডেমি প্রাঙ্গণে প্রতিদিন রাত ৮টা থেকে একটি লোকনাট্য পরিবেশিত হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (২০ জানুয়ারি) এই আয়োজনের ১৮তম দিন। বিকেল ৪টা থেকে নন্দনমঞ্চে পরিবেশিত হবে শরিয়তপুর, ফেনী ও নওগাঁ জেলার সাংস্কৃতিক পরিবেশনা এবং রাত ৮ টায় একাডেমি প্রাঙ্গণে দর্শনির বিনিময়ে ঐতিহ্যবাহী লোকনাট্য ‘সাইদুলের কিচ্ছা’ অনুষ্ঠিত হবে।

রবিবার (১৯ জানুয়ারি) উৎসবের ১৭তম দিনে একাডেমি প্রাঙ্গণে বিকেলে অনুষ্ঠানের শুরুতেই পরিবেশিত হয় জাতীয় সঙ্গীত। এদিন বিভিন্ন পরিবেশনায় ছিলেন ফরিদুপুর, নোয়াখালী ও শেরপুর জেলার শিল্পীরা। জেলার পরিবেশনার আগে ছিল বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ঢাকার পরিবেশনায় অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের পরিবেশনা। এরপর একক সংগীত পরিবেশন করে শিল্পী প্রিয়াংকা রবি দাস। সুপ্রভা সেবতী’র পরিচালনায় বৃন্দ আবৃত্তি করে স্বরব্যাঞ্জন এবং একক আবৃত্তি করেন শিমুল মুস্তাফা। উজ্জল’র নৃত্য পরিচালনায় ২টি সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে নৃত্যাঙ্গন এবং সমবেত যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির বাঁশি বাদক শিল্পীবৃন্দ।

বিজ্ঞাপন

ফরিদপুর জেলার পরিবেশনার শুরুতে জেলা ব্রান্ডিং। এরপর একেএকে পরিবেশিত হয় সমবেত গান ও আলকাপ গম্ভীরা মিউজিকের সাথে সমবেত নৃত্য। একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী সাজিদ আকবর এবং উপজেলা পর্যায়ের শিল্পী খায়রুল ওয়াসি। যন্ত্রসঙ্গীত পরিবেশন করে শিল্পী মোঃ আলাউদ্দিন, ফারুক হোসেন, হায়াতুল ইসলাম টুটুল, শাহজাহান এবং বুরহান উদ্দিন।

নোয়াখালী জেলার পরিবেশনার শুরুতে জেলা ব্রান্ডিং। এরপর একেএকে পরিবেশিত হয় সমবেত গান ও সমবেত নৃত্য। যন্ত্রসঙ্গীত পরিবেশন করে শিল্পী মহাদেব, শিমুল দাস, সবুজ দেবনাথ, মোজাম্মেল হক এবং কাকন। একক সংগীত পরিবেশন করে জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী মো: কামাল উদ্দিন এবং উপজেলা পর্যায়ের শিল্পী মো: বেলাল। কৌতুক অভিনয় করেন শিল্পী জামিল।

শেরপুর জেলার পরিবেশনার শুরুতে জেলা ব্রান্ডিং। এরপর একেএকে পরিবেশিত হয় সমবেত গান ও সমবেত নৃত্য। যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করে শিল্পী রাজন, টিপু, ইসরাফিল ও আজাদুল। একক সংগীত পরিবেশন করে জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী হাসনাহেনা এবং উপজেলা পর্যায়ের শিল্পী আলেয়া। জেলার অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেরপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব গোলাম মোঃ কিবরিয়া লিটন।

একাডেমি প্রাঙ্গণে রাত ৮টায় দর্শনীর বিনিময়ে মঞ্চস্থ হয় মোঃ আলাম হোসেন ওরফে আলী হোসেন’র পরিচালনায় কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী ‘ঝান্ডির গান’।

দেশের ৬৪টি জেলা, ৬৪টি উপজেলা এবং জাতীয় পর্যায়ের পাঁচ হাজারের অধিক শিল্পী ও শতাধিক সংগঠনের অংশগ্রহণে ২১ দিনব্যাপী একাডেমির নন্দনমঞ্চে এই শিল্পযজ্ঞ পরিচালিত হবে। ঐহিত্যবাহী লোকজ খেলা, লোকনাট্য ও সারাদেশের শিল্পীদের বিভিন্ন নান্দনিক পরিবেশনার মাধ্যমে সাজানো হয়েছে এই উৎসবের অনুষ্ঠানমালা।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসব ২০২০

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর