Wednesday 08 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বাংলাদেশ উৎসবে আজ ঐতিহ্যবাহী ‘গম্ভীরা’


১৪ জানুয়ারি ২০২০ ০৯:১৫ | আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২০ ১২:১১

জমজমাট আয়োজনে চলছে ‘বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসব ২০২০’। জাতীয় সংস্কৃতি ও কৃষ্টির উন্নয়ন, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও প্রসারের মাধ্যমে শিল্প-সংস্কৃতি ঋদ্ধ সৃজনশীল মানবিক বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি বহুমূখী সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করে চলেছে। তারই ধারাবাহিকতায় দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজন করা হয়েছে ২১ দিনব্যাপী এই উৎসবের।

৩ থেকে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত ২১ দিনের এই উৎসবে প্রতিদিনই থাকছে ৩টি জেলা, ৩টি উপজেলার সাথে জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী ও সংগঠনের পরিবেশনা। এছাড়াও একাডেমি প্রাঙ্গণে প্রতিদিন রাত ৮টা থেকে একটি লোকনাট্য পরিবেশিত হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) এই আয়োজনের ১২তম দিন। বিকেল ৪টা থেকে নন্দনমঞ্চে পরিবেশিত হবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ঝালকাঠি ও মাগুরা জেলার সাংস্কৃতিক পরিবেশনা এবং রাত ৮ টায় একাডেমি প্রাঙ্গণে দর্শনির বিনিময়ে ঐতিহ্যবাহী ‘গম্ভীরা’ অনুষ্ঠিত হবে।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) উৎসবের ১১তম দিনে একাডেমি প্রাঙ্গণে বিকেলে অনুষ্ঠানের শুরুতেই পরিবেশিত হয় জাতীয় সঙ্গীত। এদিন বিভিন্ন পরিবেশনায় ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া, পিরোজপুর ও কক্সবাজার জেলার শিল্পীরা। জেলার পরিবেশনার আগে ছিল বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ঢাকার পরিবেশনায় অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের পরিবেশনা। এরপর পরিবেশিত হয় সোহেল রহমানের পরিচালনায় সমবেত নৃত্য। পিপলস্ থিয়েটার এসোসিয়েশনের প্রায় তিনশতাধিক শিশুর অংশগ্রহণে পরিবেশিত হয় শিশু সংগীত এবং ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায় এর পরিচালনায় বৃন্দ আবৃত্তি পরিবেশন করে ‘কথা আবৃত্তি সংগঠন’।

বিজ্ঞাপন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার পরিবেশনার শুরুতে জেলা ব্রান্ডিং। এরপর একেএকে পরিবেশিত হয় সমবেত গান ও সমবেত নৃত্য। একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন উপজেলা পর্যায়ের শিল্পী রাজু চক্রবর্তী। যন্ত্রসঙ্গীত পরিবেশন করে শিল্পী রাজু চক্রবর্তী, অভিনাশ মন্ডল এবং শ্রী চরণ দাস।

পিরোজপুর জেলার পরিবেশনার শুরুতে জেলা ব্রান্ডিং। এরপর একেএকে পরিবেশিত হয় সমবেত গান ও সমবেত নৃত্য। একক সঙ্গীতে পরিবেশনায় ছিলেন জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী এজাজ আহমেদ খান এবং উপজেলা পর্যায়ের শিল্পী তানজিম আহমেদ জিসা। যন্ত্রসঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী বিজয় মন্ডল, স্মৃতি রাণী বড়াল, কামরুল ইসলাম, ইমন ও অনুপ।

কক্সবাজার জেলার পরিবেশনার শুরুতে জেলা ব্রান্ডিং। এরপর একেএকে পরিবেশিত হয় সমবেত গান ও সমবেত নৃত্য। একক সঙ্গীতে পরিবেশনায় ছিলেন জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী সমরজিৎ রায় এবং উপজেলা পর্যায়ের শিল্পী অধ্যাপক রায়হান উদ্দিন। যন্ত্রসঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী সচিব কর্মকার, হাসান উল্লাহ ও আবছার। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্পী সমরজিৎ রায়।

একাডেমি প্রাঙ্গণে রাত ৮টায় দর্শনীর বিনিময়ে মঞ্চস্থ হয় শ্রী মঙ্গলুচন্দ্র রায়ের পরিচালনায় দিনাজপুরের ঐতিহ্যবাহী ‘পুতুলনাট্য’।

দেশের ৬৪টি জেলা, ৬৪টি উপজেলা এবং জাতীয় পর্যায়ের পাঁচ হাজারের অধিক শিল্পী ও শতাধিক সংগঠনের অংশগ্রহণে ২১ দিনব্যাপী একাডেমির নন্দনমঞ্চে এই শিল্পযজ্ঞ পরিচালিত হবে। ঐহিত্যবাহী লোকজ খেলা, লোকনাট্য ও সারাদেশের শিল্পীদের বিভিন্ন নান্দনিক পরিবেশনার মাধ্যমে সাজানো হয়েছে এই উৎসবের অনুষ্ঠানমালা।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসব ২০২০

বিজ্ঞাপন

জীবন থামে সড়কে — এ দায় কার?
৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:৫২

বাসচাপায় ২ কলেজছাত্র নিহত
৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:৩৮

আরো

সম্পর্কিত খবর