Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বাংলাদেশ উৎসবে আজ দিনাজপুরের ‘পুতুলনাট্য’


১৩ জানুয়ারি ২০২০ ০৯:০০ | আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০২০ ১২:০৮

জমজমাট আয়োজনে চলছে ‘বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসব ২০২০’। জাতীয় সংস্কৃতি ও কৃষ্টির উন্নয়ন, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও প্রসারের মাধ্যমে শিল্প-সংস্কৃতি ঋদ্ধ সৃজনশীল মানবিক বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি বহুমূখী সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করে চলেছে। তারই ধারাবাহিকতায় দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজন করা হয়েছে ২১ দিনব্যাপী এই উৎসবের।

৩ থেকে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত ২১ দিনের এই উৎসবে প্রতিদিনই থাকছে তিনটি জেলা, তিনটি উপজেলার সঙ্গে জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী ও সংগঠনের পরিবেশনা। এছাড়াও একাডেমি প্রাঙ্গণে প্রতিদিন রাত ৮টা থেকে একটি লোকনাট্য পরিবেশিত হচ্ছে।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) এই আয়োজনের ১১তম দিন। বিকেল ৪টা থেকে নন্দনমঞ্চে পরিবেশিত হবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, পিরোজপুর ও কক্সবাজার জেলার সাংস্কৃতিক পরিবেশনা এবং রাত ৮টায় একাডেমি প্রাঙ্গণে দর্শনির বিনিময়ে ঐতিহ্যবাহী লোকনাট্য দিনাজপুরের ‘পুতুলনাট্য’ অনুষ্ঠিত হবে।

রোববার (১২ জানুয়ারি) উৎসবের দশম দিনে একাডেমি প্রাঙ্গণে বিকেলে অনুষ্ঠানের শুরুতেই পরিবেশিত হয় জাতীয় সংগীত। এদিন বিভিন্ন পরিবেশনায় ছিলেন মাদারীপুর, রংপুর ও পাবনা জেলার শিল্পীরা। জেলার পরিবেশনার আগে ছিল বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ঢাকার পরিবেশনায় অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের পরিবেশনা। এরপর একক আবৃত্তি করেন শিল্পী নায়লা তারান্নুম কাকলী। র‌্যাসেল প্রিয়াংকা প্যারিসের পরিচালনায় সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে গৌড়ীয় নৃত্য সারথী। সমবেত সংগীত পরিবেশন করে বাংলাদেশ নজরুল সংগীত সংস্থা।

বিজ্ঞাপন

মাদারীপুর জেলার পরিবেশনার শুরুতে জেলা ব্র্যান্ডিং। এরপর একে একে পরিবেশিত হয় সমবেত গান ও সমবেত নৃত্য। একক সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী হুমায়ুন খান ও শিল্পী মোহিত খান। ভূপালী রাগের আলাপে যন্ত্রে সুর তোলেন যন্ত্রসংগীত শিল্পী মিলন নাগ, নিরঞ্জন বালা, লিয়াকত সরদার ও আরিফ হোসেন।

রংপুর জেলার পরিবেশনার শুরুতে জেলা ব্র্যান্ডিং। এরপর একে একে পরিবেশিত হয় সমবেত গান ও সমবেত নৃত্য। একক সংগীত পরিবেশনায় ছিলেন জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী এস এক শানু এবং উপজেলা পর্যায়ের শিল্পী লুবনা ইয়াসমিন দোয়েল। যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী আহসান হাবীব হারামাইন, উজ্জ্বল, নারায়ণ চন্দ্র বর্মণ ও এখলাস মিয়া দুলু।

পাবনা জেলার পরিবেশনারও শুরুতে ছিল জেলা ব্র্যান্ডিং। এরপর একে একে পরিবেশিত হয় সমবেত গান ও সমবেত নৃত্য। একক সংগীত পরিবেশনায় ছিলেন জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী পূজন দাস এবং উপজেলা পর্যায়ের শিল্পী ফুলরেণু রায়। যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী সঞ্জীব দাস নন্দ, প্রিয়তোষ কুণ্ডু, অর্ণব সরকার, সৃষ্টি স্যান্যাল ও আকুশুর রহমান নাজমুল।

একাডেমি প্রাঙ্গণে রাত ৮টায় দর্শনীর বিনিময়ে মঞ্চস্থ হয় দিনাজপুরের ঐতিহ্যবাহী ‘পালাটিয়া’, যার পরিচালনায় ছিলেন শ্রী মঙ্গলু চন্দ্র রায়।

দেশের ৬৪টি জেলা, ৬৪টি উপজেলা ও জাতীয় পর্যায়ের পাঁচ হাজারের বেশি শিল্পী ও শতাধিক সংগঠনের অংশগ্রহণে ২১ দিনব্যাপী একাডেমির নন্দনমঞ্চে এই শিল্পযজ্ঞ পরিচালিত হচ্ছে। ঐহিত্যবাহী লোকজ খেলা, লোকনাট্য ও সারাদেশের শিল্পীদের বিভিন্ন নান্দনিক পরিবেশনার মাধ্যমে সাজানো হয়েছে এই উৎসবের অনুষ্ঠানমালা।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসব ২০২০

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর