সমাজ পরিবর্তনের গল্প নিয়ে ‘ইচ্ছে ডানা’
১ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৬:০৪ | আপডেট: ১ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৮:৪০
একদল মেয়ের নানা সামাজিক প্রতিবন্ধকতা জয়ের গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে টেলিভিশন ধারাবাহিক ‘ইচ্ছে ডানা’। যেখানে তুলে ধরা হয়েছে ওই সব মেয়েদের প্রতি হওয়া নানা সামাজিক অনাচারের চিত্র। বাল্যবিবাহ, ধর্ষণ কিংবা যৌন হয়রানি ছাড়াও নারী-পুরুষের সামাজিক বৈষম্যও ভীষণভাবে প্রতিবন্ধক হিসেবে দাঁড়ায় ওই সব মেয়েদের সামনে। সব বাধা পেরিয়ে সামাজিক পরিবর্তনের গল্প ইচ্ছে ডানা।
ইউনিসেফ বাংলাদেশের সহযোগিতায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাল্টিমিডিয়া ক্যাম্পেইনের উদ্যোগে টেলিভিশন ধারাবাহিকটি নির্মাণ করা হয়েছে। পরিচালনা করেছেন আর বি প্রীতম ও তানিম পারভেজ।
আগামী ২১ ডিসেম্বর, শনিবার থেকে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন বাংলা, এশিয়ান টিভি ও বাংলা টিভিতে ধারাবাহিকটি প্রচার করা হবে। এছাড়া ইউটিউব ও ফেসবুকেও দেখা যাবে ধারাবাহিকটি।
রোববার (১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ শিশু একাডেমি অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় ‘ইচ্ছে ডানা’ টিভি সিরিয়াল সিজন-২-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন্নেসা ইন্দিরা এমপি অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।
ফজিলাতুন্নেসা ইন্দিরা বলেন, ‘নারীরা সেই আবহমান কাল থেকে নির্যাতিত, নিপিড়ীত ও বঞ্চিত। শিশুরাও এর ব্যতিক্রম না। শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে শিশু অধিকার আইন প্রতিষ্ঠা করে। তারই ধারাবাহিকতায় জননেত্রী শেখ হাসিনা শিশুদের উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের জন্য শিশুদেরকে এ দেশের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা ও দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য নানা ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে।’
ধারাবাহিকটির পরিচালক আর বি প্রীতম বলেন, ‘গ্রামের পটভূমিতে গল্প তৈরি করা একটু কঠিন কাজ। তার চেয়ে বড় কথা আমাদের গল্পটা ছিল মেয়েদের একটি ফুটবল দলকে নিয়ে। গ্রামে মেয়েদের একটি ফুটবল টিম তৈরি করা যে কতবড় কঠিন সেটা আমরা দুজন ছেলে ডিরেক্টরই জানতাম না। তবে কাজ করতে গিয়ে বুঝতে পেরেছি, তারা আসলে কতটা প্রতিবন্ধকতার মধ্যে দিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, ধারাবাহিকটির মাধ্যমে সাইবার অপরাধ, প্রজনন সাস্থ, যৌন হয়রানি, শিশুশ্রম ও বাল্যবিবাহ বন্ধে সচেতনতা তৈরির জন্য নানা বার্তা দেওয়া হয়েছে। মোট ২৬টি পর্বে এবারের সিজনটি তৈরি করা হয়েছে।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব কামরুন্নাহারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউনিসেফ বাংলাদেশের বাংলাদেশ প্রতিনিধি জনাব টমো হজুমি।