Sunday 29 Dec 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সুয়াচান ঘুমিয়ে গেছে


২৪ নভেম্বর ২০১৭ ০৯:২০ | আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ২০:১৩

না ফেরার দেশে বারী সিদ্দিকী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

একটি সংবাদ সারাদেশ এবং দেশের বাইরেও সমস্ত বাংলাভাষী মানুষকে কাঁদিয়ে গেলো শুক্রবার। এদিন সকালে ঘুম ভেঙ্গে অথবা দিবাগত গভীর রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে যারা চোখ রেখেছিলেন সংবাদ মাধ্যমগুলোতে; তারা শুনলেন সেই হৃদয়বিদারক খবরটি- বারী সিদ্দিকী আর নেই! বাঁশি ফেলে, কণ্ঠের মায়া ফেলে তিনি পাড়ি জমিয়েছেন অজানা গন্তব্যে। থেমে যায় একটি সুর। চারিদিকে যেনো বেজে ওঠে… সুয়াচান পাখি… আমি ডাকিতাছি তুমি ঘুমাইছো নাকি!

বিজ্ঞাপন

এক সপ্তাহ ধরে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে মৃত্যুর প্রহর গুণছিলেন এই খ্যাতিমান সংগীতশিল্পী, গীতিকার ও বংশীবাদক। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে। রাতেই তার মরদেহ মোহাম্মদপুরের আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে নেওয়া হয় তার ধানমন্ডির বাড়িতে। সকাল সাড়ে নয়টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে প্রথম এবং বাংলাদেশ টেলিভিশন ভবনে দ্বিতীয় জানাযা শেষে বারী সিদ্দিকীকে নিয়ে একটি অ্যাম্বুলেন্স যাত্রা করে নেত্রকোণা শহর থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে কারলি গ্রামে ‘বাউল বাড়ি’তে। ওখানেই যেন তাঁকে সমাহিত করা হয়- মৃত্যুর আগে এমন ইচ্ছার কথা জানিয়ে গিয়েছিলেন ছেলে সাব্বির সিদ্দিকীকে।

বছর দুয়েক ধরে বারী সিদ্দিকী কিডনি সমস্যায় ভুগছিলেন। দু’টি কিডনি অকার্যকর ছিলো। ভুগছিলেন বহুমুত্র রোগেও। ২০১৬ সাল থেকে সপ্তাহে তিন দিন বারী সিদ্দিকীর কিডনির ডায়ালাইসিস চলছিলো। তবুও গান ছাড়েননি এই বাংলা গানের এই মহান পুরুষ। চিকিৎসকরা বিশ্রামের পরামর্শ দিলে তিনি বলতেন, ‘আমি গান গাইতে গাইতে মরতে চাই। আমার মৃত্যু যদি মঞ্চে হয়, তবে সেটাই হবে আমার জন্য সবচেয়ে আনন্দের।’

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর