গঠনতন্ত্রে মানা, গুজব ভাসে নানা
২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৪:৪১ | আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৪:৫৮
এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট।।
সিনেমা পাড়ায় নাট্য নির্মাতাদের আনাগোনা। দেখে ভ্রু কুঁচকে যেতে পারে কারও কারও। একটু বেশি অবাক হলে চোখ কপালেও উঠতে পারে। তবে বিষয়টি একদম সাদামাটা। নাট্য নির্মাতাদের সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ডের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনের কেন্দ্র এফডিসি। বিশেষ কারণে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি থেকে কেন্দ্র সরিয়ে আনা হয়। ফলে নির্বাচনকে ঘিরে ২৮ সেপ্টেম্বর এফডিসিতে বসে ছোট পর্দার নির্মাতাদের হাট।
গৃহত্যাগী সূর্য মাথার ওপরে। ভ্যাপসা গরম অস্বস্তি বাড়িয়ে দিচ্ছে। তারপরও উৎসবের আমেজে এতটুকু কমতি নেই। ভোটের আবহে এ যেন পুনর্মিলনের স্বাদ। অনেক দিন পর দেখা অনেকের সঙ্গে অনেকের।
আরও পড়ুন : প্রত্যাশা মাফিক এগোচ্ছে ‘সুই ধাগা’
তবে উৎসবের আমেজকে পাশে সরিয়ে অনুসন্ধানি মনের দরজা-জানালা খুললে নির্মাতাদের মাঝে এক ধরনের অন্তর্দ্বন্দ্বের আভাসও পাওয়া যায়। বিশেষ করে যারা ‘স্বতন্ত্র’ শব্দটাকে সামনে রেখে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন।
অভিযোগ, নির্বাচনকে ঘিরে সিন্ডিকেট তৈরির। ডিরেক্টরস গিল্ডের গঠনতন্ত্রে স্পষ্ট উল্লেখ আছে, নির্বাচনে কোনো প্যানেল করা যাবে না। কিন্তু নির্বাচন ময়দানে ফিসফাস, অঘোষিতভাবে দুটি প্যানেল তৈরি হয়ে গেছে। সালাহউদ্দিন লাভলু পরিষদ এবং সৈয়দ আওলাদ পরিষদ।
অঘোষিত প্যানেলের অভিযোগ নিয়ে কথা হয় বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এস এ হক অলিকের সঙ্গে। তিনি অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে ভিন্ন ব্যাখ্যা দেন। এ বিষয়ে অলিক সারাবাংলাকে বলেন, ‘অঘোষিত প্যানেল থেকে প্রার্থীরা নির্বাচন করছেন- এমন অভিযোগ কেনো করা হচ্ছে আমার জানা নেই। সবাই যে যার মতো করে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। আমাদের এই প্যানেল থেকে নির্বাচন করার কোন সুযোগ নেই।’
কিন্তু যারা একটু গভীরভাবে ভাবতে চান তারা বলছেন, অনেক প্রার্থীর পোস্টারের ডিজাইন, স্লোগান পর্যন্ত একজনের সঙ্গে আরেকজনের মিলে যাচ্ছে। তবে কি ধরে নেয়া যায় না যে তাদের মধ্যে অলিখিত কোনও বোঝাপড়া আছে?
আবার নির্বাচনে মাঠে এমনও কানাঘুষা শোনা গেছে, সভাপতি প্রার্থী সৈয়দ আওলাদের সমর্থকরা সাধারণ সম্পাদক পদে সমর্থন দিচ্ছেন এস এ হক অলিককে। আবার সালাহউদ্দিন লাভলুকে সভাপতি পদে যারা সমর্থন করছেন সাধারন সম্পাদক পদে তাদের পছন্দ মোস্তফা কামাল রাজকে। ফলে কেউ কেউ এমনটা ধরে নিতে চান যে নির্বাচনকে ঘিরে অলিখিত দুটি প্যানেল হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে সাধারন সম্পাদক অলিক আরও বলেন, ‘আমাদের তফসিলে আছে নির্বাচন প্যানেলভিত্তিক করা যাবেনা। যে কারণে আমরা এককভাবেই নির্বাচন করছি। তবে কারও সঙ্গে কারও মত কিংবা ইশতেহার মিলে গেলে সেটাকে প্যানেল বলা যাবেনা।’
আরও পড়ুন : ভোট ৪৫৬টি, ফল দিতে কত দেরি?
সাধারন সম্পাদক পদে আরেক প্রার্থী কামরুজ্জামান সাগর এ বিষয়ে কিছুটা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পরোক্ষভাবে সিন্ডিকেট তৈরী করে নির্বাচন করা সংবিধান পরিপন্থী।’
সারাবাংলা/আরএসও/পিএম
আরো দেখুন :
লুবনা মারিয়ামের সাক্ষাৎকার: নাচের মানুষ, কাছের মানুষ
https://www.youtube.com/watch?v=Vlz9HVc3_tY