Monday 06 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শাহ আব্দুল করিম : নয়নে নয়নে নয় বছর


১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৬:২৫ | আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৬:৪২

শাহ আবদুল করিম

এন্টারটিইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট।।

শাহ আব্দুল করিম। বাউল গানের সম্রাট। বাংলা লোক সংগীতকে তিনি নিজের ভেতর ধারণ করে গান লিখেছেন। গান গেয়েছেন। বাউল গানকে তিনি ছড়িয়ে দিয়েছেন বিশ্বব্যাপী। তিনি গান লিখতেন জীবনবোধের জায়গা থেকে। জীবন সম্পর্কে তার ভাবনাগুলোকে নিয়ে গান বাঁধতেন। যে গান শ্রোতাদের ভাবনার জগতে নিয়ে যায়। যে জগত জীবনের যে জগত বাস্তবতার।

বাউল সংগীতের এই মরমী সাধক ১৯১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সুনামগঞ্জের দিরাই থানার ধলআশ্রম গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। দিনটি ছিল মঙ্গলবার। মঙ্গলবার জন্মগ্রহণ করলেও জীবনের শুরুটা মঙ্গলময় হয়নি তার। ছোটবেলা থেকেই নিত্য অভাবের সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছে। তবে সেই অভাবের ভেতর থেকেই তিনি সংগীত সাধনা শুরু করেন। কিশোর বয়স থেকে গণসংগীতের প্রতি তার প্রবল আগ্রহ তৈরি হয়। সেই আগ্রহ তাকে গান লেখায় উদ্বুদ্ধ করে। সেসব গানে তিনি নিজের জীবনের কঠিন বাস্তবতার কথা তুলে ধরতেন। যদিও তিনি লেখাপড়া জানতেন না। স্বশিক্ষায় শিক্ষিত এই সাধক গ্রামের নৈশো বিদ্যালয়ে অল্প কিছুদিন পড়ালেখা করেছেন।


আরও পড়ুন :  এক ছবিতে তিন হাজার টেকনিশিয়ান


শাহ আবদুল করিম জীবনভর বাংলার অসাম্প্রদায়িক সংস্কৃতির প্রতি অত্যন্ত আস্থাশীল ছিলেন। যা তার একাধিক গানে প্রমাণ মিলেছে। যদিও সাম্প্রদায়িক চেতনার কারনে তাকে ‘নাস্তিক’ বলে মনে করতেন অনেকে। তবে একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন-

‘আমি নাস্তিক বা কমিউনিস্ট নই। আমি আল্লাহর ওপর বিশ্বাসী। শেষ নিঃশ্বাস যেন ত্যাগ হয় আল্লাহ আল্লাহ বলে। এটাই আমার শেষ কথা। তারা আমাকে নাস্তিক কিংবা অন্য যা কিছু বলুক।’

বিজ্ঞাপন

শাহ আব্দুল করিম তার গানে ‘দেহতত্ত্ব’র কথা বেশি বলতেন। সেসব গানের মূল বিষয়বস্তু ছিল কামসাধনা, দেহসাধনার নানা বিষয়। এর বাইরেও তিনি তার গানে গণ মানুষকে সন্ধান করতেন।

২০০৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর বাউল সম্রাট পাড়ি জমান না ফেরার দেশে। আজ তার মৃত্যুর নয় বছর পূর্ণ হলো। জীবদ্দশায় শাহ আব্দুল করিম পাঁচ শতাধিক গান লিখেছেন এবং সুরারোপ করেছেন। তিনি তার কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ ২০০১ সালে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা একুশে পদক লাভ করেন। এছাড়া পেয়েছেন আরও অসংখ্য পুরস্কার।

তবে সবচেয়ে বড় পুরস্কার বোধহয় মানুষের ভালোবাসা। শাহ আবদুল করিমের গান মানুষের মুখে মুখে। আরও হাজার বছর বেঁচে থাকবে তার গান। তার গান গেয়ে অনেক শিল্পী জনপ্রিয় হয়েছেন। ভবিষ্যতেরও হবে। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও বহুল চর্চা হচ্ছে তার গান। একজন সুর সাধকের জন্য এরচেয়ে বড় পাওয়া আর কি হতে পারে।


আরও পড়ুন :

গানে গানে শাহ আবদুল করিম স্মরণ     *     শাহরুখকেই পছন্দ বিশ্ববিখ্যাত মার্ভেলের

কাটপিস সময়ের গল্প নিয়ে ‘কাটপিছ’


সারাবাংলা/আরএসও/পিএম

বাউল সংগীত বাউল সম্রাট মৃত্যুবার্ষিকী শাহ আব্দুল করিম

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর