Friday 10 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নিরাপদ নন তারকারাও!


৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৮:২৬ | আপডেট: ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৮:৩৬

Ariana Grande

এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক ।। 

গেল শুক্রবার। আমেরিকার ডেট্রয়েট শহরের গ্রেটার গ্রেস গীর্জায় সমবেত হয়েছেন গায়িকা আরেথা ফ্রাঙ্কলিনের বন্ধু ও পরিবারের সদস্যরা। আছেন তার ভক্ত, সংগীত তারকা ও দেশটির ক্ষমতাবান রাজনৈতিক নেতারাও। উদ্দেশ্য আরেথার মৃতদেহকে বিদায় জানানো। সেখানেই শোকসঙ্গীত গাইতে উঠেন জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী ও অভিনেত্রী আরিয়ানা গ্রান্ডে। এরপরই তার সঙ্গে ঘটে যায় এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। যা থেকে এটা প্রমাণিত হয় যে, নারীদের জন্য আমেরিকা মোটেও নিরাপদ দেশ না।

বিজ্ঞাপন

ঘটনাটা খুলে বলি। আরিয়ানাকে চেনেন না সংগীতপ্রেমি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুস্কর। নিজের দেশ আমেরিকাতেও রয়েছে তার সমান জনপ্রিয়তা। অগ্রজ আরেথাকে বিদায় জানানোর জন্য তাই মঞ্চে আসেন আরিয়ানা। তার গান শেষ হবার পর মঞ্চে আসেন চার্চটির যাজক চার্লস এইচ এলিস থ্রি। উঠেই আরিয়ানাকে ডান বাহুতে জড়িয়ে ধরেন তিনি।

এটি আমেরিকার মতো দেশে অনেক স্বাভাবিক ঘটনা হলেও চার্লস আসলে আদরের আড়ালে করে বসেন ক্ষমার অযোগ্য এক কুকর্ম। ডান হাতে আরিয়ানার স্তন চেপে ধরেন এই যাজক। এই কাজটি তিনি মামুলী কোনও মঞ্চ বা চার্চে করেননি। করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সম্মানিত একজন গায়িকার শোকসভায়, হাজার মানুষের সামনে। সঙ্গে সঙ্গে দুঃশ্চিন্তা খেলে যায় আরিয়ানার চোখে। বোকা হাসিতে নিজেকে ছাড়িয়ে নেন যাজকের হাত থেকে।

পরে অবশ্য নিজের ভুল বুঝতে পারেন চার্লস। ক্ষমা চেয়ে নেন আরিয়ানা ও তার ভক্তদের কাছে। গণমাধ্যমকে দেয়া ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, ‘আমি আসলে বুঝতে পারিনি। আমি ওকে সাধারণভাবেই জড়িয়ে ধরতে চেয়েছিলাম। সম্ভবত আমার হাতটা সীমানা পেরিয়ে গিয়েছিল। তাছাড়া আমি একটু বেশিই বন্ধুত্ব পরায়ন অথবা সবার কাছে পরিচিত। আবারো দুঃখিত।’

বিজ্ঞাপন

চার্লসের ব্যাখ্যা অবশ্য সহজভাবে নিচ্ছে না আমেরিকান মিডিয়া ও নারীবাদীরা। সিএনএন এ ঘটনা নিয়ে প্রকাশিত এক খবরে লিখেছে, ‘এ থেকে এটাই প্রমাণিত হয় যে আমেরিকায় নারীরা যতোই ক্ষমতাবান বা বিখ্যাত হোক না কেন তারা পুরুষের জিম্মায় মোটেও নিরাপদ নয়।’

অন্ত্যোষ্টিক্রিয়ায় আরিয়ানাই প্রথম নারী নন যিনি যৌন হেনস্তার শিকার হয়েছেন। সোফি সেইন্ট থমাস নামের একজন স্বাধীন লেখিকাও কিছু দিন আগে হেনস্তার শিকার হয়েছিলেন। সেটি ছিলো তার দাদীর শোকসভা। তবে আরিয়ানা বা সোফি একা নয়, আমেরিকায় হেনস্তার শিকার হওয়া নারীদের মধ্যে ৭০ শতাংশ কোন অভিযোগই করেন না। তাদের ধারণা হেনস্তার অভিযোগ দেশটির প্রশাসন সহজে বিশ্বাস করবে না।

সারাবাংলা/টিএস/পিএম

আরিয়ানা গ্রান্ডে আরেথা ফ্রাঙ্কলিন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর