সেলুলয়েডের ডায়ানা
৩১ আগস্ট ২০১৮ ১৪:০০ | আপডেট: ৩১ আগস্ট ২০১৮ ১৪:৩৮
এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক ।।
ব্রিটিশ রাজপরিবারের পুরনো আর সেকেলে নিয়মের বেড়াজালে আটকে থাকতে চাননি রাজকুমারী ডায়ানা। মহলের ভেতরে পুরুষতান্ত্রিক শাষন আর স্বামী চার্লসের পরকীয়াতেও ছিলেন কিছুটা বিরক্ত। ফলে একটা সময় মহল ছেড়ে বেড়িয়ে আসেন ডায়ানা। রাজকুমার চার্লসের সঙ্গে ঘটান বিচ্ছেদ। নিজে জড়িয়ে পড়েন বেশ কয়েকটি প্রেমের সম্পর্কে। এরপর একদিন প্রেমিকসহ প্যারিসের একটি টানেলে গাড়ী দূর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি। সহজ করে বললে এটাই রাজকুমারী ডায়ানার জীবন।
যতটা সহজে বলে ফেলা গেল, ততোটা সহজ ছিল না ডায়ানার জীবন। তার মৃত্যু নিয়েও রয়েছে অনেক রহস্য ও ষড়যন্ত্রতত্ত্ব। অনেক নির্মাতা আবার সেই সব ঘটনাপ্রবাহকে তুলে এনেছেন সেলুলয়েডে। প্রেক্ষাগৃহের পর্দায় ডায়ানার বর্ণিল জীবন ও নির্মম মৃত্যু দেখে কেঁদেছে দর্শক। রোমান্স শিখেছে দোদি আল ফায়েদ বা হাসনাত খানের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক থেকে। রাজকুমার চার্লসের প্রতি হয়েছে বিরক্ত।
ডায়ানাকে নিয়ে সবচেয়ে আলোচিত ছবিটির নামও ‘ডায়ানা’। ২০১৩ সালে নির্মিত এই ছবিটি নির্মাণ করেন অলিভার হির্শবিয়েগেল। ডায়ানার চরিত্রে অভিনয় করেন নাওমি ওয়াটস। তার প্রেমিক হাসনাত খানের চরিত্রে অভিনয় করেন নাবীন এণ্ড্রুস। কেট স্নেলের ‘ডায়ানা : হার লাস্ট লাভ’ উপন্যাসটি থেকে সাজানো হয় ছবিটির চিত্রনাট্য। পাকিস্তানি শল্য চিকিৎসক হাসনাত খানের সঙ্গে প্রেম নিয়েই এই ছবিটির গল্প। ফলে ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ ছিল না দোলি আল ফায়েদের চরিত্র।
মজার ব্যাপার হলো হাসনাত খান এখনও ডায়ানার সঙ্গে সম্পর্কের কথা স্বীকার করেননি। এমনকি তিনি ‘ডায়ানা : হার লাস্ট লাভ’ বইয়ের লেখক কেট স্নেলের সঙ্গেও কখনও কথা বলতে রাজি হননি। ফলে তাদের প্রেমকে সত্য ভাবার চেয়ে মিথ হিসেবে ভাবতেই বেশি পছন্দ করেন ভক্তেরা। ‘ডায়ানা’ ছবিটিতে তার মৃত্যুর পর তৈরি অনেক গল্পের ধারাবাহিকতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
১৯৬১ সালের ১ জুলাই জন্ম নিয়েছিলেন ডায়ানা। মৃত্যুবরণ করেন ১৯৯৭ সালের ৩১ আগস্ট। পৃথিবীর সুন্দরতম নারীদের একজন ভাবা হয় তাকে। আধুনিক সময়ে জন্ম নেয়া মানুষদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মিথও তৈরি হয়েছে তাকে নিয়েই। তাই জীবন থেকে বিদায় নিয়েও তিনি রেখে গেছেন এক মায়াময় আভিজাত্য।
সারাবাংলা/টিএস/পিএ