Monday 06 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘আমি বরাবরই মানের দিক থেকে সচেতন’


১৯ আগস্ট ২০১৮ ১৫:৩৮ | আপডেট: ১৯ আগস্ট ২০১৮ ১৭:২৩

মাবরুর রশীদ বান্নাহ

এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট।।

বাংলা নাটকে হাওয়া বদলের চেষ্টা চলছে। অনেক মেধাবী নির্মাতা চাইছেন ভালো নির্মাণের মাধ্যমে নাটকের পুরোনো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে। সেই বদলের চেষ্টায় শামিল হওয়া নির্মাতাদের মধ্যে মাবরুর রশীদ বান্নাহ একজন। তিনি চান নাটকের প্রচলিত ব্যাকরণকে ঠিক রেখে সব মানুষের কাছে মানসম্পন্ন নাটক পৌঁছে দিতে। হতে পারে সেটা টেলিভিশন বা অনলাইন মাধ্যম।

গত কয়েক বছর ধরে তিনি টেলিভিশনের পাশপাশি অনলাইনে একাধিক নাটক নির্মাণ করছেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। দর্শকদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে এবারের ঈদ উল আযহায় তিনি ঈদুল ভিন্নধর্মী গল্পের কিছু নাটক নিয়ে দর্শকদের সামনে হাজির হচ্ছেন। এসব নাটকের মধ্যে টেলিভিশনের জন্য নির্মিত নাটকগুলোর মধ্যে আছে,‘জীবন এখানে এমন’। নাটকটির গল্প লিখেছেন আব্দুল্লাহ আল মানী। কাওছার আহমেদ এর গল্প অবলম্বনে ‘কতোদিন পর হলো দেখা’। নির্মাতার নিজের কাহিনী, চিত্রনাট্যে ‘বাইকার’,‘একটু হাসো’। এবং আপেল মাহমুদের গল্পে ‘ফুল হাতা হাফ শার্ট’।


আরও পড়ুন :  ‘বেপরোয়া’ দেখার সময় নেই সেন্সর বোর্ডের


অনলাইনের জন্য নির্মাণ করেছেন, ‘সুখি পরিবার’, ‘কাঁদবো না’, ‘রক্তের রঙ লাল’, ‘আমার পক্ষে তোমাকে রাখা সম্ভব না’, ‘ক্লাস রুম’, ‘বেড সিন’। এগুলোর রচয়িতা নির্মাতা নিজেই। এছাড়া ‘লালাই’ এবং ‘মানুষ হবো’ নাটক দু’টি লিখেছেন যথাক্রমে আনিসুর বুলবুল ও ফাহাদ আল মুক্তাদির।

একসঙ্গে এতোগুলো নাটক নির্মাণ হলে মানের দিক থেকে প্রশ্ন থেকে যায়। সেক্ষেত্রে নাটক নির্মাণের ক্ষেত্রে মান বজায় রাখতে কতটা সচেতন ছিলেন?

‘আমি বরাবরই মানের দিক থেকে সচেতন। মানহীন কোন নাটক নির্মাণের পক্ষে আমি নই। দর্শকরা আমার নাটক দেখলে বুঝতে পারবেন যে, মান কেমন! আমি মনে করি কোনো নাটক দেখে দর্শক মান নিয়ে প্রশ্ন তুলবেন না। আগে যেসব নাটক নির্মাণ করেছি সেসব নাটকে আমি ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পেয়েছি। কেউ খারাপ বলেনি। তাছাড়া প্রচারিতব্য কয়েকটি নাটকের টিজার বেরিয়েছে। সেগুলো দেখে সবাই ভালো বলছে।’

বিজ্ঞাপন

এভাবে সারাবাংলার করা প্রশ্নের উত্তর দেন বান্নাহ। নাটকগুলোর একটি সঙ্গে আর একটি নাটকের কোন মিল খুঁজে পাওয়া যাবে না বলেও জানান তিনি। তার মতে, প্রতিটি নাটকের গল্প ভিন্ন ভিন্ন। গল্পকে কেন্দ্র করে নির্মাণ করা হয়েছে।


আরও পড়ুন :  ‘চলচ্চিত্রে এখন ছেলেখেলা হচ্ছে’


কিন্তু এত অল্প সময়ে এত কাজ করতে হলে কিভাবে মান বজায় রাখা সম্ভব? উত্তরে তিনি আরও বলেন, ‘আমার টিমটা খুব ভালো। টিমওয়ার্ক ভালো হওয়ার কারনে ভালো কাজ করতে পেরেছি। যারা অভিনয় করেছেন তারা সর্বোচ্চ সাধ্যমতো ভালো অভিনয় করেছেন। তারা আমাকে যথেষ্ট সাহায্য করেছেন। আফরান নিশো ব্যাকপেইন নিয়ে হুইল চেয়ারে করে এসে শট দিয়েছেন। এর থেকে বড় ডেডিকেশন আর কিছু হতে পারেনা। আমি আমার পুরো টিমের কাছে কৃতজ্ঞ।’

এতোদিন বান্নাহ নগরকেন্দ্রিক নাটক বেশী করেছেন। এবার গ্রামকেন্দ্রিক নাটক নির্মাণ করেছেন। কারন হিসেবে তিনি বলেন, ‘নগরকেন্দ্রিক অনেক নাটক নির্মাণ করেছি। এতোদিন দর্শক আমকে নাগরিক গল্পের নির্মাতা হিসেবে চিনেছেন। এবার চিনবে গ্রামের গল্পের নির্মাতা হিসেবে। যদিও আমি গ্রামে বড় হইনি। তবুও গ্রাম নিয়ে স্টাডি করেছি। অনেকের কাছ থেকে গ্রাম সম্পর্কে ধারণা নিয়েছি। দর্শক ফিডব্যাক দিলেই বুঝতে পারবো গ্রামের নাটক কতোটা ভালো বানিয়েছি। তবে আমি মনে করি তারা আশাহত হবে না।’


আরও পড়ুন :  চার কন্যা করলেন ‘তিনকন্যার গল্প’


নিজের নির্মিত নাটক ছাড়াও বান্নাহ অন্যান্য নির্মাতাদের নাটক উপভোগ করেন। এবার ঈদে তিনি ভাই ব্রাদার এক্সপ্রেস-এর গুচ্ছ নাটক প্রকল্পের নাটকগুলো দেখবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিশেষ করে মোস্তফা সারোয়ার ফারকীর ‘আয়েশা’ নাটকটি তিনি মনোযোগ দিয়ে দেখবেন।

বিজ্ঞাপন

বর্তমান সময়ে নতুন অনেক নির্মাতা এসেছেন। সেসব নির্মাতাদের মধ্যে তিনজন পছন্দের নির্মাতার নাম জানতে চাইলে বান্নাহ খানিক সময় নিলেন। তারপর বললেন তিনটি নাম- কাজল আরেফিন অমি, তপু খান ও সৈয়দ আহমেদ সাওকি। তার বিশ্বাস এই তিনজন আগামীতে আরও অনেক ভালো করবে।

সারাবাংলা/আরএসও/পিএম

ঈদ নাটক মাবরুর রশীদ বান্নাহ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর