আত্মহত্যা করেছিলেন সুপারম্যানের নায়িকা
৯ আগস্ট ২০১৮ ১৩:০৫ | আপডেট: ৯ আগস্ট ২০১৮ ১৩:৫৯
এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক ।।
সত্তরের দশকে সুপারম্যানকে নিয়ে যে কয়টি সিনেমা হয়েছে, তার সবকটিতেই নায়িকা ছিলেন মারগট কিডার। সুপারম্যান তথা ক্লার্ক কেন্টের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অভিনয় করেছেন তিনি। তার অভিনীত লুইস লেন চরিত্রটি সমাদৃত হয়েছে সারা দুনিয়ায়। বাংলাদেশেও রয়েছে তার অসংখ্য ভক্ত-অনুরাগী।
মারগট মারা গেছেন এ বছরের মে মাসের ১৩ তারিখে। মন্টানায় নিজের বাড়িতেই পাওয়া গিয়েছিল তার লাশ। সেসময় এটিকে স্বাভাবিক মৃত্যু ধরে নেয়া হয়েছিল। তার ম্যানেজারও বলেছিলেন, ঘুমের ভেতর শান্তিতে বিদায় নিয়েছেন মারগট। কিন্তু সম্প্রতি জানা গেছে, মাত্রাতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবনের ফলেই মারা গেছেন এই অভিনেত্রী। অ্যালকোহল সেবনের প্রক্রিয়াটাও ছিল তার নিজস্ব উদ্ভাবন।’
আরও পড়ুন : পরিবর্তন আসছে অস্কারে
কিডারের মেয়ে ম্যাগি ম্যাকগোয়ান বলেছেন, ‘আমি জানতাম মা আত্মহত্যা করেছেন। যাক শেষ পর্যন্ত সত্যটা উন্মোচিত হল। এতে লজ্জার কিছু নেই। আমরা এটা সামলাতে পারব।’
ম্যাকগোয়ান আরও বলেছেন, ‘মন্টানায় হঠাৎ করেই আত্মহত্যার হার বেড়ে গেছে। সরকারের উচিত এই দিকটায় নজর দেয়া। সবাইকে মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে। বেঁচে থাকতে হবে। কারণ জীবন সুন্দর।’
চলতি বছরে মারগট কিডার ছাড়াও অ্যান্থনি বৌর্দেইন ও কেট স্পেডের মতো তারকাও আত্মহত্যা করেছেন। নব্বইয়ের দশকে একটি গাড়ি দূর্ঘটনা থেকে বেঁচে যাওয়ার পর থেকেই মানসিক পীড়ায় ভুগছিলেন মারগট। শেষ দিকে ঋণও করে ফেলেছিলেন অনেক। এসব কারণেই জীবনের প্রতি বিরক্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। ২০১৬ থেকে মৃত্যু অবধি হুইল চেয়ারে বসে কাটিয়েছেন মারগট।
উল্লেখ্য, কিডার মারগট চারটি সুপারম্যান ছবিতে নায়িকা চরিত্রে অভিনয় করেছেন। ছবিগুলোতে তিনি সহ-অভিনেতা হিসেবে পেয়েছিলেন ক্রিস্টোফার রিভ ও মারলন ব্রান্ডোর মতো তারকাদের।
সারাবাংলা/টিএস/পিএম