Thursday 16 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কত্থক নৃত্যে মুগ্ধ সন্ধ্যা


২১ জুলাই ২০১৮ ১৩:৩৩ | আপডেট: ২৬ জুলাই ২০১৮ ১৪:৫৫

এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট।।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে গতকাল শুক্রবার (২০ জুলাই) অনুষ্ঠিত হলো ‘শাস্ত্রীয় সন্ধ্যা’। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে নৃত্যমঞ্চ ও শাস্ত্রীয় সঙ্গীত পরিষদ। অনুষ্ঠানে একক কত্থক নৃত্য পরিবেশন করেন অনন্যা ওয়াফি রহমান ও বেহালা বাজিয়ে শোনান মাহামুদুল হাসান।

কত্থকনৃত্য মুলত তাল নির্ভর, বিশেষত ধামার ও ঝাঁপতাল মুখ্য হলেও অনন্যা ত্রিতাল বা তিনতালেই কত্থক পরিবেশন করেন। কোনরকম বাধা-ধরা নিয়মে না গিয়ে সরাসরি সন্ধ্যা আলাপ, শঙ্খধ্বনি দিয়ে গুরু বন্দনা এবং তবলার লহড়ায় গতভাও ছিলো তার প্রথম পরিবেশনা।

দ্বিতীয় পরিবেশনা ছিলো মীরার ভজন, রাজস্থানি গানের সংগে বিরহ গাথাঁ। এরপর দ্রুতলয়ে তবলার ছন্দে পায়ের কাজ বা লাড়ী পরিবেশনা দিয়ে শেষ হয় অনন্যার একক কত্থক নৃত্য।

অনন্যা ওয়াফি রহমান একজন আন্তর্জাতিক পর্যায়ের গুণী শিল্পী। তিনি ভারতের শ্রীরাম কলাকেন্দ্র থেকে বৃত্তি নিয়ে কত্থক নৃত্যের উপর প্রথম বিভাগে পোস্ট গ্রাজুয়েট সম্পন্ন করেছেন। তিনি ২০০০ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত ভারতীয় প্রাচীন কলাকেন্দ্র থেকে কত্থকনৃত্যের উপর পরপর তিনবার পুরষ্কার পেয়েছেন।

এছাড়াও তিনি ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসে রাষ্ট্রপতি ভবনে নৃত্য পরিবেশনের জন্য নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ শিশু একাডেমীতে নৃত্য প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্বরত আছেন, পাশাপাশি ‘নৃত্যমঞ্চ’ নামে তার একটি স্কুলও রয়েছে।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পরিবেশনা ছিলো শিল্পী মাহামুদুল হাসান-এর একক বেহালা বাদন। তিনি  পাঁচ তারের বেহেলায় মীড় গমক দ্রুত তান ও তেহাই বাজিয়ে শোনান।

বিজ্ঞাপন

মাহামুদুল হাসান বাংলাদেশের একজন প্রথিতযশা বেহালাবাদক। ১৯৯২-৯৩ সালে ভারত সরকারের বৃত্তি নিয়ে তিনি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় শান্তিনিকেতন থেকে প্রথমে বি মিউজিক ডিগ্রী এবং এম এস ইউনিভার্সিটি অব বরোদা থেকে এম মিউজিক ডিগ্রী লাভ করেন। এছাড়াও তিনি পাঁচ বছর প্রশিক্ষণ নেন ভারতের বিশ্ববিখ্যাত বেহালাবাদক প্রফেসর পণ্ডিত ভি সি রানাডের কাছে – যিনি ওস্তাদ বাবা আলাউদ্দিন খাঁ ও ওস্তাদ আলী আকবর খাঁ’র শিষ্য ছিলেন। মাহামুদুল হাসান বর্তমানে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীতে চুক্তিভিত্তিক প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করছেন এবং ঢাকা সেন্ট যোশেফ স্কুলে সংগীত শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন।

ছবি : আশীষ সেনগুপ্ত

সারাবাংলা/এএসজি /আরএসও/পিএম

 

 

 

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর