Monday 06 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আয়নাবাজির বাজিমাত


৯ জুলাই ২০১৮ ২০:১৫ | আপডেট: ৯ জুলাই ২০১৮ ২০:১৬

আয়নাবাজি

এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট ।।

বাজিমাত করেদিল আয়নাবাজি। কীভাবে? সবভাবেই। একজন চলচ্চিত্র প্রযোজক বা পরিচালক, সবাই চান তার ছবিটি সর্বোচ্চ সংখ্যক দর্শক দেখুক। আয়নাবাজি সিনেমার ক্ষেত্রে তাই হয়েছে। অন্য যে কোনো সিনেমার চেয়ে আয়নাবাজি ছবিটি দেখেছে বেশি সংখ্যক দর্শক।

‘আমারো তাই মনে হয়। ছবিটি অনেক দর্শক দেখেছে। পুরনো দর্শকের সঙ্গে নতুন অনেক দর্শক ঢুকেছে সিনেমা হলে। আমরা যে মধ্যবিত্ত দর্শকদের কথা বলি, যারা কি না সিনেমা হলে আর যায় না, আয়নাবাজি দেখতে তারা এসেছে এই সিনেমা দেখতে।’ বলেছেন ছবির পরিচালক অমিতাভ রেজা।

গত রোববার (৮ জুলাই) অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ৪১তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান। আয়োজনে সবচেয়ে বেশি ৭টি বিভাগে পুরস্কার পেয়েছে আয়নাবাজি। এখানেও আয়নাবাজির জয়জয়কার।

২০১৬ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মুক্তি পায় আয়নাবাজি। মুক্তির পর থেকেই আর থেমে নেই ছবিটির সফল হওয়ার গল্প। বাংলাদেশের একমাত্র ছবি আয়নাবাজি যা ভারতে তামিল ও তেলেগু ভাষায় রিমেক হয়েছে। এছাড়াও এটি প্রথম বাংলা ছবি যার মূল গল্প থেকে প্রভাবিত হয়ে সাত পর্বের আয়নাবাজি অরিজিনাল সিরিজ নির্মিত হয়েছে।

সফল হওয়ার এই ধারাবাহিকতায় আরও কিছু করা কি বাকি থেকে গেল? ‘না, আরও অনেক কিছুই হতে পারে। কিন্তু সেটা আর করা ঠিক হবে কি না সেটা ভাবতে হবে। এর সিক্যুয়াল বা, আর কোনো অরিজিনাল সিরিজ নির্মাণের আপাতত কোনো ভাবনা নেই। আয়নাবাজি নাম ব্যবহার করে আরও কিছু করতে চাইলে টানাটানি হয়ে যাবে বলে মনে হচ্ছে।’ দেশের বাইরে থেকে সারাবাংলাকে জানান আয়নাবাজি সিনেমার চিত্রনাট্যকার গাউসুল আলম শাওন।

বিজ্ঞাপন

মুক্তির পর থেকেই সফলতা পেয়েছে ছবিটি। কিন্তু এই সফলতা পাবার পেছনে অনেক বড় একটা ভুমিকা রেখেছে বিপণন ব্যবস্থা। গতানুগতিক ধারাকে বাদ দিয়ে নতুন ও নান্দনিক উপায়ে প্রচারে নামে তার পেছনের কারিগররা।

এই চলচ্চিত্রকে গণমাধ্যমে প্রচারের কাজটি করেছে পিআর প্রতিষ্ঠান মাস্টহেড পিআর। মিডিয়া ক্যাম্পেইন চালিয়েছে টপ অব মাইন্ড। ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের দায়িত্ব পালন করেছে মেলোনেডস, স্ট্রাইক প্রটেকশন। সিনেমার কনটেন্ট নিয়ে অনলাইনে অনুমতিবিহীন কাজগুলো দেখভাল করেছে কন্টেন্ট মেটারস। ক্রিয়েটিভ ডিজাইনের সঙ্গে যুক্ত ছিল হাফ স্টপ ডাউন। মুক্তির আগে সবার সমন্বিত প্রয়াসে দেশের মানুষের কানে কানে পৌছে গেছে আয়নাবাজির নাম আর মুক্তির পর গল্প ও চিত্রনাট্যের কারণে সবার ভালোবাসার সিনেমায় পরিণত হয়েছে আয়নাবাজি।

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৬ পেয়েছেন শ্রেষ্ঠ পরিচালক অমিতাভ রেজা, প্রধান চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী, শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার গাউসুল আলম ও অনম বিশ্বাস, শ্রেষ্ঠ সম্পাদক ইকবাল আহসানুল কবির, শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক রাশেদ জামান, শব্দ গ্রহণে রিপন নাথ এবং শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজসজ্জায় ফারজানা সান ।

সারাবাংলা/পিএ

আয়নাবাজি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর