Friday 10 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘এক যে আছে মা’


২ জুলাই ২০১৮ ১১:৩০ | আপডেট: ২ জুলাই ২০১৮ ১২:১২

এক যে আছে মা

এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট ।।

সমাজ জীবনে কখনও কখনও অনেক ছোট শব্দও খুব বড় আকারে প্রভাব ফেলে। ভ্রুণহত্যা শব্দটি ঠিক তেমন। মন্দের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে, ক্যারিয়ারের কথা চিন্তা করে কিংবা অন্য কোন কারনে অনেক সময় ভ্রুণহত্যার মতো ঘটনা ঘটে থাকে। যতোই দিন যাচ্ছে ততোই এর প্রবণতা বাড়ছে। অথচ ভ্রুণহত্যার কারনে একজন মা কতোটা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন সেটার খবর কেউ রাখে না।

বাস্তব জীবনের এরকম ঘটনাকে বিষয়বস্তু করে ‘এক যে আছে মা’ শিরোনামের নাটক নির্মাণ করেছে ছোট পর্দার নির্মাতা সঞ্জয় সমাদ্দার। মুহিত ও তমার দাম্পত্য জীবনের এই ধরনের একটি সঙ্কট নিয়ে নাটকটি নির্মিত হয়েছে। এটি রচনা করেছেন মেহরাব জাহিদ। এতে কেন্দ্রীয় দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন মোনালিসা এবং ইরফান সাজ্জাদ।

নাটক প্রসঙ্গে সারাবাংলাকে সঞ্জয় সমাদ্দার বলেন, ‘নাটকের গল্পটি খুব স্পর্শকাতর। আর দশটা নাটকের গল্পের মতো নয়। একজন মায়ের গর্ভেই সন্তান হত্যা করার পর সে জানতে পারে সে আর কোনদিন মা হতে পারবে না তখন তার যে আকুতি, মানসিক কষ্ট, সেটাই নাটকে তুলে ধরা হয়েছে। নাটকের মাধ্যমে আমি এক ধরনের বার্তা দেয়ার চেষ্টা করেছি।’

মায়ের চরিত্রে অভিনয় করা মোনালিসা মনে করেন, সন্তানের জন্য মায়ের ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে এই নাটকে। মোনালিসা বলেন, ‘নাটকে আমি একজন মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছি। যে মা স্বামীর চাপে পড়ে প্রথম সন্তান অ্যাবোরশন করতে রাজী হয়। এরপর আমি সন্তানধারণ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলি। পরবর্তীতে আমি মানসিকভাবে ভেঙে পড়ি। অচেতন মনে আমি কেবলই আমার পৃথিবীর আলো দেখতে না পারা বাচ্চাটিকে অনুভব করি। সন্তানের জন্য পাগলপ্রায় একজন মায়ের প্রতিরুপ হিসেবে নাটকটিতে অভিনয় করেছি।’

বিজ্ঞাপন

এদিকে ইরফান সাজ্জাদের মতে সমাজে এমন ঘটনা অহরহ ঘটছে। এটা থেকে বেরিয়ে আসা উচিত সকলের। তিনি বলেন, ‘এই নাটকটি এমন একটি ক্রাইসিস নিয়ে নির্মিত হয়েছে যে ক্রাইসিসের মধ্য দিয়ে অনেক পরিবারকে যেতে হয়। মানুষের জীবনে ক্যারিয়ার সবকিছু নয়। ক্যারিয়ার তৈরীর সময় মানুষ জীবনে এমন কিছু বিষয় এড়িয়ে যায় যা জীবনের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। মানুষকে হতাশার মধ্যে ফেলে দেয়। আমার চরিত্রটাও ঠিক তেমন। ক্যারিয়ারের কথা চিন্তা করতে গিয়ে এমন একটি ভুল করে যার জন্য আজীবন প্রায়শ্চিত্ত করতে হয়।’

সারাবাংলা/আরএসও/টিএস

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর