‘নায়ক-ভিলেন যেটাই হোক, আমি অভিনেতা হতে চাই’
২৮ জুন ২০১৮ ১৬:৪৪ | আপডেট: ২৮ জুন ২০১৮ ১৬:৪৮
এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট ।।
তাসকিন রহমান, বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী অভিনেতা। দেশের চলচ্চিত্রে তিনি ক্যামেরার সামনে প্রথম দাঁড়িয়েছিলেন শিশুশিল্পী হিসেবে। এরপর পরিণত বয়সে তিনি অভিনয় করেন ছোটপর্দায়। অভিনয় করেছেন বেশ কয়েকটি খণ্ড নাটকে। যদিও সেসব কাজ তাকে পাদ প্রদীপের আলোয় আনতে পারেনি। তবে ২০১৭ সালে মুক্তি পাওয়া ‘ঢাকা অ্যাটাক’ চলচ্চিত্র তাকে তারকাখ্যাতি এনে দেয়। নীল চোখের এই অভিনেতা এখন অভিনয় করছেন ‘যদি একদিন’ চলচ্চিত্রে।
‘যদি একদিন’ ছবিতে আপনার চরিত্রটি নাকি গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু কতটা? কোনো ধারণা দিতে পারেন?
এই ছবিতে আমার চরিত্রের নাম জেমি। তাহসানের বন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেছি। খুবই আবেগি একটি চরিত্র বলতে পারেন। একই সঙ্গে এই চরিত্রে আছে ভয় ও হিংসা। যা কিনা সিনেমাকে করেছে মজার, স্পর্শকাতর ও চমকে যাবার মতো। তাই ছবিটিতে আমার চরিত্রটি গুরুত্বপূর্ণ।
সিনেমায় আপনার সহশিল্পী তাহসান খান। তিনি তো গানের মানুষ, অভিনয়ে কেমন তিনি?
সহশিল্পী হিসেবে তাহসানের কাছে অনেক কিছুই শিখেছি। সংগীত শিল্পী হলেও তার অভিনয়ের শিক্ষা আমাকে উন্নত করেছে। তার সঙ্গে আমি আরও কাজ করতে চাই।
শ্রাবন্তী দুই বাংলাতেই জনপ্রিয়। এমন একজন অভিনেত্রীর সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন?
‘যদি একদিন’ সিনেমার শুটিং প্রায় শেষ কিন্তু শ্রাবন্তীর সঙ্গে আমার এখনো কাজ করা হয়নি। একসঙ্গে আমাদের একটি গানের শুট করার কথা। আগামী দুই দিনের মধ্যে গানের দৃশ্যধারণ হওয়ার কথা। আশাকরছি শ্রাবন্তীর সঙ্গে আমার কাজের অভিজ্ঞতা ভালো হবে।
আপনি বললেন ছবিতে আপনার চরিত্রে বিভিন্ন অনুভূতির সংমিশ্রন রয়েছে। যা কি না সিনেমার টেস্ট বদলে দেবে। এমন কাজে নামার আগে কি কোনো প্রস্তুতি নিয়ে থাকেন?
এক চরিত্র থেকে বেরিয়ে অন্য চরিত্রে অভিনয় করা চ্যালেঞ্জের। নিজের অভিনয়ের প্রতি বিশ্বাস থাকলেই এটা সম্ভব হয়। অভিনয়ের মাধ্যমে মানুষের কাছাকাছি পৌঁছানো যায়। আর চরিত্রের প্রযোজনে তো অবশ্যই শুটিংয়ের আগে সেটা নিয়ে প্রস্তুতির ব্যাপার থাকে। তা নাহলে চরিত্র ফুটিয়ে তোলা কঠিন হয়ে পড়ে।
অস্ট্রেলিয়া প্রবাসি হওয়ার কারণে মাঝে মাঝে দেশে এসে কাজ করে চলে যাচ্ছেন। এতে সমস্যা হচ্ছে না? ভক্তদের কাছ থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন না?
আমার মনে হয়না বিচ্ছিন্ন হচ্ছি। তবে এটা ঠিক যে আমার হাতে আরও সময় থাকলে ভালো হতো। অনেককেই আমি সময় দিতে পারিনা। এটাই জীবন। আমি সবধরনের ছবি করছি না। কিছু বাছাইকৃত ছবি করছি। সেজন্য আসা যাওয়ার মাঝে অভিনয় করা আমার কাছে এখনো সমস্যা মনে হচ্ছে না।
একেবারে বাংলাদেশে থেকে যাওয়ার ইচ্ছা হয় কি?
পুরোপুরি দেশে থাকা হবে না। একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত দেশে থাকার ইচ্ছা আছে। সময়টা হতে পারে সাত থেকে আট মাস। বাকি মাসগুলো অস্ট্রেলিয়াতে থাকতে হবে। যেহেতু ওখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করছি সেহেতু থাকতে হবে। তবে এতোটুকু আশ্বস্ত করতে চাই, বাংলাদেশী মিডিয়াকে আমি লম্বা সময় দেবো।
শেষ প্রশ্ন, আপনি ভিলেন এবং হিরো-দুই ধরনের চরিত্রেই অভিনয় করছেন। এরমধ্যে নিজেকে কোন ধরনের চরিত্রে নিয়মিত দেখতে চান?
নিজেকে আমি একজন পুরোপুরি অভিনেতা হিসেবে দেখতে চাই। দর্শক আমাকে এর আগে ভিলেন চরিত্রে দেখে ঘৃণা করেছে। এবার নায়ক চরিত্রে দেখে ভালোবাসবে। অভিনয়ের মাধ্যমে যদি এটা করতে পারি তাহলেই আমার কৃতিত্ব এবং অভিনয়ের স্বার্থকতা।
সারাবাংলা/আরএসও/পিএ