Tuesday 08 Apr 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঈদের তৃতীয় দিন: সড়কে পরিবহন কম, ভিড় মেট্রোরেলে

স্পেশাল করেসপনডেন্ট
২ এপ্রিল ২০২৫ ১২:৪০ | আপডেট: ২ এপ্রিল ২০২৫ ১৪:১৩

সড়কে ভিড় না থাকলেও মেট্রোরেলে মানুষের ভিড় দেখা গেছে। ছবি: সারাবাংলা

ঢাকা: ঈদের তৃতীয় দিনেও রাজধানী ঢাকার সড়ক ফাঁকা। ফাঁকা সড়কে তেমন বাড়েনি গণপরিবহন। যে সকল বাস চলাচল করছে তাতেও যাত্রী সংখ্যা একেবারেই কম। তবে চলাচল অব্যাহত থাকায়, যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে মাট্রোরেলে। টিকিট কাউন্টার থেকে শুরু করে প্লাটফর্ম পর্যন্ত যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে।

বুধবার (২ এপ্রিল) রাজধানী ঘুরে এসকল চিত্র চোখে পড়েছে।

এদিন দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর যাত্রাবাড়ি, মতিঝিল, গুলিস্তান, পল্টন, কাকরাইল, শাহাবাগ, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, আগারগাও, শেওড়াপাড়া, মিরপুর, ওইদিকে মিরপুর রোড, শান্তিনগর, মালিবাগ, বাড্ডা, রামপুরা, বিশ্বরোড, গুলশান, বনানী সড়কগুলো ছিলো গত কাল মঙ্গলবারের মতোই বেশ ফাঁকা। প্রধান সড়কগুলোর মতো অলি গলিতেও গাড়ীর সংখ্যা কম ছিল। তবে গত দুই দিনের চেয়ে বাসের সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। সে তুলনায় বাড়েনি যাত্রী সংখ্যা।

তাই বাসগুলোকে স্টপেজগুলোতে দীর্ঘ সময় যাত্রীদের জন্য দাড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। এ সময় রিক্সা বেশ জনপ্রিয় ছিল। স্বল্প দূরত্বে ভ্রমণের জন্য অনেকে রিকশাকে বেছে নিয়েছেন। একদিকে ফাঁকা সড়ক অন্যদিকে খোলা আকাশ দেখে দেখে ঢাকা ভ্রমণ বেশ উপভোগ্য বিষয়।

মতিঝিল থেকে বাংলামোটরের যাত্রী ইকবাল হোসেন বলেন, ‘আমি চাইলে বাসে বা মেট্রোরেল করে যেতে পারতাম। কিন্তু আজ রোদ কম আবার রাস্তা ফাঁকা, অন্যরকম পরিবেশ। তাই এটিকে উপভোগ করতেই রিক্সা নেব।’

আরেক যাত্রী ইমরান বলেন, ‘গোপীবাগ থেকে যাবো সেগুন বাগিচা। সাধারনত সব সময় রিকশাতেই যাতায়াত করি। তবে আজ ফাঁকা রাস্তায় যেতে একটু বেশি ভাল লাগবে। এদিন ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যাও কিছুটা বেড়েছে।

বিজ্ঞাপন

তবে একদম ঝিমিয়ে সময় পার করছেন সিএনজি চালক ও পাঠাও চালকরা। রাজধানীর অনেক সড়কের মোড়ে মোড়ে কেউ যাত্রীর আশায় সময় কাটাচ্ছেন মোবাইল দেখে। আবার কেউ চোখ বন্ধ করে গাড়িতেই শুয়ে।’

এদিকে ভিড় দেখা গেছে মেট্রোরেলে। রোজার দিনগুলোর মতোই যাত্রী ঠাঁসা মেট্রো স্টেশনের টিকিট কাউন্টারে। পা ফেলার জায়গা নেই পরিস্থিতি। মতিঝিল স্টেশনের প্রতিটি টিকিট কাউন্টার ছিল যাত্রীপূর্ণ। এ সব যাত্রী সিঙ্গেল ভ্রমণের জন্য টিকিট সংগ্রহ করতে লাইনে দাঁড়িয়েছেন। আবার আগে পরে নিয়ে তর্কেও জড়াচ্ছেন কেউ কেউ।

উত্তরা পথের যাত্রী ইব্রাহিম জানান, ১০ মিনিট ধরে লাইনে দাঁড়িয়েছেন। সাতটা টিকিট দরকার তার। পরিবার ও স্বজনদের নিয়ে উত্তরা ঘুরতে যাচ্ছেন। এরমধ্যে নিজ পরিবারের কয়েকজন জীবনে প্রথমবারের মতো মেট্রোরেল ভ্রমণ করতে যাচ্ছেন। তাই তাদের আগ্রহটা ভিন্ন দেখা গেল। ভিড় দেখা গেলো প্লাটফর্মেও। তবে অন্য দিনগুলোর মতো কোনো তাড়াহুড়া নেই। সবাই শান্ত হয়ে ট্রেনের অপেক্ষা করছেন।

আবার ট্রেন ছেড়ে গেলেও যেন আক্ষেপ নেই। এটা গেল তো আরেকটা আসবে। মেট্রোর ভেতরেও দাঁড়িয়ে থাকা লোক কম দেখা গেছে। নারীদের কামরা প্রায় ফাঁকা ছিল। কারণ সবাই পরিবার নিয়ে মেট্রোতে উঠেছেন, তাই একসঙ্গে বসার জন্য সাধারণ কামরাগুলোই তারা বেছে নিয়েছেন। আবার কিছু পুরুষ স্ত্রী পরিবারের সঙ্গে মহিলা কামরাতে বসে পড়ায় পুলিশ তাদের তুলে দিয়েছেন।

মতিঝিল স্টেশনের মতো ভিড় অন্য স্টেশনগুলোতে দেখা যায়নি। ফার্মগেট, কারওয়ানবাজার স্টেশনে সব সময় যাত্রীদের চাপ থাকলেও এদিন বেশ কম ছিল। মিরপুর ১১ নম্বরে একেবারেই কম ভিড় দেখা গেছে। টিকিট কাউন্টারও ফাঁকা। তাই কর্মীরা এক রকম গল্প আড্ডায় সময় পার করছেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেআর/এমপি

মেট্রোরেল যাত্রী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর