Tuesday 01 Apr 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

৭১ আর ২৪ নিয়ে বিতর্ক না করার আহ্বান চসিক মেয়রের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৬ মার্চ ২০২৫ ১৪:৪৪

মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ

চট্টগ্রাম ব্যুরো: একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ও চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান নিয়ে কোনো ধরণের বিতর্ক বা বিভেদ না করার আহ্বান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।

বুধবার (২৬ মার্চ) ভোরে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে জাতির বীর সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি তার বক্তব্যে এ আহ্বান জানান।

চসিক মেয়র বলেন, ‘২০২৪ আর ৭১-কে নিয়ে কোন ধরনের বিভেদ কিংবা কোনো ধরনের বিতর্কে যাওয়া কখনও উচিত হবে না। ৭১ এবং ২৪ ইতিহাসে নিজ নিজ জায়গায় থাকবে। কোনো একটিকে দিয়ে আরেকটি ঢেকে দেওয়ার চিন্তাভাবনা আমাদের করা উচিত নয় বলে আমি মনে করি। কারণ ৭১ এ একটি দেশ সৃষ্টি হয়েছে। দেশের জন্য মানুষ যুদ্ধ করেছে এবং এমন একটা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি।’

‘আর ২০২৪ এ একটি দল যারা ১৬ বছর ধরে ফ্যাসিস্ট কায়দায় মানুষের মৌলিক অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকারকে শেষ করে দিয়েছে সেটা রোধ করেছে ছাত্র-জনতা রক্তদানের মধ্য দিয়ে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আজ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হয়েছে এবং আমরা আশা করছি অনতিবিলম্বে এ সরকার একটি বৈধ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি বৈধ সংসদ দিয়ে মানুষের মৌলিক অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার বাস্তবায়ন করবে।’

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন রক্ষায় সিটি করপোরেশনের পরিকল্পনা তুলে ধরে মেয়র বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের ববধ্যভূমিগুলো নতুন প্রজন্মের জন্য সংরক্ষণ করা জরুরি। আপনারা জানেন ১৯৭১ সালের ১০ নভেম্বর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর পায়োনিয়ার ফোর্স চট্টগ্রামের পাহাড়তলি অঞ্চলে এক নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালায়। পাঞ্জাবি লেইন, বিহারী লেইন, ওয়ারলেস কলোনিসহ বিভিন্ন স্থানে নির্বিচারে গণহত্যা চালিয়ে ছিল।’

বিজ্ঞাপন

‘পরবর্তী প্রজন্মের জন্য মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংরক্ষণে পাহাড়তলীতে বধ্যভূমি স্মৃতিস্তম্ভ নিয়ে আমাদের পরিকল্পনা আছে। বধ্যভূমির পিছনে যে জায়গাগুলো এখনো বেদখল আছে এবং বিভিন্ন মামলার কারণে বধ্যভূমির জায়গা সংরক্ষণ করা যাচ্ছে না আমরা চেষ্টা করছি সেগুলোর সমাধান করে কীভাবে বধ্যভূমি সম্প্রসারণ করা যায় সে বিষয়ে আমরা কাজ করব।’

মেয়র শাহাদাত বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে যারা এখনও বেঁচে আছেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের গবেষণা করেন তাদেরকে নিয়ে আমরা কমিটি করে বধ্যভূমি সংরক্ষণ করার চিন্তাভাবনা করছি। এছাড়া বধ্যভূমিতে প্রাণ হারানো শহিদদের নামের নামফলক স্থাপনের পরিকল্পনা আছে আমাদের।’

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সচিব আশরাফুল আমিনসহ প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

সারাবাংলা/আইসি/এসআর

কাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ চট্টগ্রাম চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান চসিক মেয়রের আহ্বান

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর