Wednesday 26 Mar 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

লেবাননে ইসরায়েলের বিমান হামলা, নিহত ৭

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২৩ মার্চ ২০২৫ ০৯:১৪ | আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৫ ১১:৩৯

হামলায় লেবাননের বিধ্বস্ত এলাকা। ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েল লেবাননের একাধিক স্থানে বিমান হামলা চালিয়েছে, যা নভেম্বরের যুদ্ধবিরতির পর সবচেয়ে গুরুতর সহিংসতা। এর আগে লেবানন থেকে ইসরায়েলের দিকে বেশ কয়েকটি রকেট নিক্ষেপ করা হয়।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা দক্ষিণ লেবাননে ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর রকেট লঞ্চার ও একটি কমান্ড সেন্টার লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।

লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, শনিবারের (২২ মার্চ) এই বিমান হামলায় এক শিশুসহ সাতজন নিহত এবং ৪০ জন আহত হয়েছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, লেবানন থেকে ছোড়া তিনটি রকেট তারা মেতুলা শহরের কাছে প্রতিহত করেছে, এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, তারা এ হামলায় জড়িত নয় এবং যুদ্ধবিরতি মেনে চলছে।

লেবাননের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা দক্ষিণে তিনটি অস্থায়ী রকেট লঞ্চার ধ্বংস করেছে। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী হামলার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

এই পরিস্থিতি যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় হওয়া নাজুক যুদ্ধবিরতিকে আরও চাপের মুখে ফেলেছে। এই চুক্তির অধীনে লেবাননের সেনাবাহিনীকে দক্ষিণাঞ্চলে অতিরিক্ত সৈন্য মোতায়েন করতে বলা হয়েছিল, যাতে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো ইসরায়েলে হামলা চালাতে না পারে।

চুক্তি অনুসারে, হিজবুল্লাহকে তাদের যোদ্ধা ও অস্ত্র সরিয়ে নিতে হবে এবং ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তাদের দখল করা অবস্থান থেকে সরে যাবে। তবে ইসরায়েল প্রায় প্রতিদিনই হিজবুল্লাহর লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে এবং বলছে, গোষ্ঠীটির পুনরায় অস্ত্র সংগ্রহ ঠেকাতে তারা অভিযান চালিয়ে যাবে।

বিজ্ঞাপন

ইসরায়েল এখনো দক্ষিণ লেবাননের পাঁচটি স্থানে অবস্থান করছে, যা লেবানন সরকারের মতে দেশটির সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন এবং চুক্তির শর্ত ভঙ্গ। ইসরায়েল বলছে, লেবাননের সেনাবাহিনী এসব এলাকায় সম্পূর্ণ মোতায়েন হয়নি, তাই সীমান্ত এলাকার নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের সেখানে থাকা দরকার।

লেবাননের প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউন বলেছেন, দেশটিতে শুধুমাত্র রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে অস্ত্র থাকা উচিত, যা হিজবুল্লাহর অস্ত্রভাণ্ডারের বিরুদ্ধে একটি বার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় লেবাননকে সহায়তা করতে প্রস্তুত, তবে শর্ত দিয়েছে যে সরকারকে অবশ্যই হিজবুল্লাহর কার্যক্রম সীমিত করতে হবে, যা দেশটির সবচেয়ে শক্তিশালী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচিত হয়।

উল্লেখ্য, হিজবুল্লাহ ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের দক্ষিণ ইসরায়েলে হামলার পরদিন তাদের অভিযান শুরু করে, দাবি করে যে এটি গাজার ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতির প্রতিক্রিয়া। এই সংঘাত আরও তীব্র হয়ে ওঠে, যার ফলে ইসরায়েল লেবাননে ব্যাপক বিমান হামলা চালায় এবং দক্ষিণ লেবাননে স্থল অভিযান শুরু করে।

ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে প্রায় চার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে, যার বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক এবং ১২ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়।

সারাবাংলা/এনজে

ইসরায়েল নিহত লেবানন হামলা

বিজ্ঞাপন

পবিত্র লাইলাতুল কদর আজ
২৭ মার্চ ২০২৫ ০৩:৩০

আরো

সম্পর্কিত খবর